ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চলমান লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্যর হিড়িক!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১
  • / ৬০ বার পড়া হয়েছে

সরকারি নির্দেশনা অমান্য : চুয়াডাঙ্গায় ভ্রাম্যমান আদালতে ১৭ জনের জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
লকডাউন এখন নামমাত্র। সাধারণ মানুষ মানতেই চাচ্ছেন না। অঘোষিতভাবেই লুকিয়ে দোকানপাট খুলছেন অনেকেই। অপর দিকে, প্রশাসনের তৎপরতা, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি দোকান, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিদিনই এ ধরণের অভিযান পরিচালনা করছে প্রশাসন। তারপরেও চলমান লকডাউনে ‘স্বাস্থ্যবিধি’ অগ্রাহ্য করার হিড়িক চোখে পড়েছে।
এদিকে, লকডাউন যেমন নামমাত্র, তেমনি স্বাস্থ্যবিধি এখন শুধু মুখের কথায়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশে যেখানে মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ঠিক তার উল্টোভাবে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা এবছর অনেক কম। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের ৮ম দিনে এমনই চিত্র দেখা গেছে চুয়াডাঙ্গা শহরে। শহরের পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই, দেশে লকডাউন চলছে। প্রচুর মানুষ রাস্তায়। জরুরি প্রয়োজন হোক আর নাই বা হোক, সাধারণ মানুষ বাইরে বোরোবেই। লকডাউনের মধ্যেও কেনাকাটা থেমে নেই অনেকের। যেটার স্পষ্ট চিত্র দেখা যাবে বড় বাজার বড় গলিতে। বড় বাজারে বড় গলির মধ্যে দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা দোকানের সামনেই বসে থাকছেন। ক্রেতা আসলে দোকানের শার্টার উঠিয়ে চলছে পণ্য কেনাবেচা। প্রায় একই রকম অবস্থা সমবায় নিউ মার্কেটেও। আজব বিষয় লকডাউনের মধ্যেও ক্রেতা আসছেন এবং কিনছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন, জনসমাবেশ বন্ধ করা, বাজার মনিটরিং এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে দিনব্যাপী পুলিশের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। দিনব্যাপী ৬টি মোবাইল কোর্টে ১৭টি মামলায় ১৭ জনের কাছ ৭ হাজার ১ শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চলমান লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্যর হিড়িক!

আপলোড টাইম : ০৯:০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১

সরকারি নির্দেশনা অমান্য : চুয়াডাঙ্গায় ভ্রাম্যমান আদালতে ১৭ জনের জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
লকডাউন এখন নামমাত্র। সাধারণ মানুষ মানতেই চাচ্ছেন না। অঘোষিতভাবেই লুকিয়ে দোকানপাট খুলছেন অনেকেই। অপর দিকে, প্রশাসনের তৎপরতা, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি দোকান, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিদিনই এ ধরণের অভিযান পরিচালনা করছে প্রশাসন। তারপরেও চলমান লকডাউনে ‘স্বাস্থ্যবিধি’ অগ্রাহ্য করার হিড়িক চোখে পড়েছে।
এদিকে, লকডাউন যেমন নামমাত্র, তেমনি স্বাস্থ্যবিধি এখন শুধু মুখের কথায়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশে যেখানে মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ঠিক তার উল্টোভাবে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা এবছর অনেক কম। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের ৮ম দিনে এমনই চিত্র দেখা গেছে চুয়াডাঙ্গা শহরে। শহরের পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই, দেশে লকডাউন চলছে। প্রচুর মানুষ রাস্তায়। জরুরি প্রয়োজন হোক আর নাই বা হোক, সাধারণ মানুষ বাইরে বোরোবেই। লকডাউনের মধ্যেও কেনাকাটা থেমে নেই অনেকের। যেটার স্পষ্ট চিত্র দেখা যাবে বড় বাজার বড় গলিতে। বড় বাজারে বড় গলির মধ্যে দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা দোকানের সামনেই বসে থাকছেন। ক্রেতা আসলে দোকানের শার্টার উঠিয়ে চলছে পণ্য কেনাবেচা। প্রায় একই রকম অবস্থা সমবায় নিউ মার্কেটেও। আজব বিষয় লকডাউনের মধ্যেও ক্রেতা আসছেন এবং কিনছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন, জনসমাবেশ বন্ধ করা, বাজার মনিটরিং এবং সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে দিনব্যাপী পুলিশের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। দিনব্যাপী ৬টি মোবাইল কোর্টে ১৭টি মামলায় ১৭ জনের কাছ ৭ হাজার ১ শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।