ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চলতি বছরে অর্ধেক বিশ্ব আসছে অনলাইনে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:২২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৩৬১ বার পড়া হয়েছে

Almosthalftheworldwillbeonlinebyendof2016poorercountrieswilllag

প্রযুক্তি ডেস্ক: মোবাইল নেটওয়ার্কের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি ও মূল্য হ্রাসের ফলে ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার হাতের নাগালে চলে আসবে ইন্টারনেট। তবে, মূলত উন্নত দেশগুলোকে কেন্দ্র করেই এই পরিবর্তন আসবে, মঙ্গলবার জাতিসংঘের এক সংস্থার বরাতে এমনটাই জানিয়েছে রয়টার্স। তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ‘ইউনাইটেড টেলিকমিউনিকেশনস ইউনিয়ন’ বা আইটিইউ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর হার মাত্র ৪০ শতাংশ আর স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে এটি ১৫ শতাংশেরও কম।  আফ্রিকার দরিদ্র এবং ভঙ্গুর দেশগুলোতে প্রতি ১০ জনের মধ্যে মাত্র একজন  ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। যারা এই সেবা ব্যবহার করেন না তাদের মধ্যে নারী, বৃদ্ধ, স্বল্প শিক্ষিত, দরিদ্র এবং গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারীরা অন্যতম বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ৪৭ শতাংশ মানুষ অনলাইনের সঙ্গে যুক্ত, যা ২০২০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের এই সেবায় মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ যুক্ত করার লক্ষ্যের অনেক কম। ৩৯০ কোটি মানুষ যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। এই বছরের শেষ নাগাদ সর্বমোট ৩৫০ কোটি মানুষ এই সেবার অন্তর্ভুক্ত হবেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। “২০১৬ সালে মানুষ আর অনলাইনে যাবে না, তারা নিজেরাই হবে অনলাইনের অংশ। বিশ্বব্যাপী থ্রিজি এবং ফোরজি নেটওয়ার্কের বিস্তার আরও অনেক অনেক মানুষের নিকট ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়েছে”-বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন গ্রাহকদের বেশি বেশি করে ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করছে যার ফলে টেলিকম ও ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলি ব্যাপকহারে বিস্তুৃত হচ্ছে। যদিও স্বল্পোন্নত দেশগুলো এখনো বাকি বিশ্বের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে। ১৯৯৮ সালে উন্নত দেশগুলোর ইন্টারনেট ব্যবস্থা যে পর্যায়ে ছিল, স্বল্পোন্নত দেশগুলো বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছে। সে হিসেবে তারা উন্নত দেশগুলোর তুলনায় প্রায় ২০ বছর পিছিয়ে আছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। অধিক পরিসেবা মূল্য, গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের ঘাটতি এবং মোবাইল সেবার অতিরিক্ত মূল্যকে এর জন্য দায়ী করেছে সংস্থাটি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চলতি বছরে অর্ধেক বিশ্ব আসছে অনলাইনে

আপলোড টাইম : ০৬:২২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৬

Almosthalftheworldwillbeonlinebyendof2016poorercountrieswilllag

প্রযুক্তি ডেস্ক: মোবাইল নেটওয়ার্কের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি ও মূল্য হ্রাসের ফলে ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার হাতের নাগালে চলে আসবে ইন্টারনেট। তবে, মূলত উন্নত দেশগুলোকে কেন্দ্র করেই এই পরিবর্তন আসবে, মঙ্গলবার জাতিসংঘের এক সংস্থার বরাতে এমনটাই জানিয়েছে রয়টার্স। তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ‘ইউনাইটেড টেলিকমিউনিকেশনস ইউনিয়ন’ বা আইটিইউ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর হার মাত্র ৪০ শতাংশ আর স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে এটি ১৫ শতাংশেরও কম।  আফ্রিকার দরিদ্র এবং ভঙ্গুর দেশগুলোতে প্রতি ১০ জনের মধ্যে মাত্র একজন  ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। যারা এই সেবা ব্যবহার করেন না তাদের মধ্যে নারী, বৃদ্ধ, স্বল্প শিক্ষিত, দরিদ্র এবং গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারীরা অন্যতম বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ৪৭ শতাংশ মানুষ অনলাইনের সঙ্গে যুক্ত, যা ২০২০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের এই সেবায় মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ যুক্ত করার লক্ষ্যের অনেক কম। ৩৯০ কোটি মানুষ যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। এই বছরের শেষ নাগাদ সর্বমোট ৩৫০ কোটি মানুষ এই সেবার অন্তর্ভুক্ত হবেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। “২০১৬ সালে মানুষ আর অনলাইনে যাবে না, তারা নিজেরাই হবে অনলাইনের অংশ। বিশ্বব্যাপী থ্রিজি এবং ফোরজি নেটওয়ার্কের বিস্তার আরও অনেক অনেক মানুষের নিকট ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়েছে”-বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন গ্রাহকদের বেশি বেশি করে ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করছে যার ফলে টেলিকম ও ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলি ব্যাপকহারে বিস্তুৃত হচ্ছে। যদিও স্বল্পোন্নত দেশগুলো এখনো বাকি বিশ্বের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে। ১৯৯৮ সালে উন্নত দেশগুলোর ইন্টারনেট ব্যবস্থা যে পর্যায়ে ছিল, স্বল্পোন্নত দেশগুলো বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছে। সে হিসেবে তারা উন্নত দেশগুলোর তুলনায় প্রায় ২০ বছর পিছিয়ে আছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। অধিক পরিসেবা মূল্য, গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের ঘাটতি এবং মোবাইল সেবার অতিরিক্ত মূল্যকে এর জন্য দায়ী করেছে সংস্থাটি।