ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গড়চাপড়া গ্রামের বাবু হত্যার ঘটনায় আটক দুজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:১০:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুন ২০১৮
  • / ৫২৫ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার গড়চাপড়া গ্রামের বাবু হত্যার কথা স্বীকার করেছে আটককৃত রাজিব ও তার স্ত্রী মাহিমা খাতুনকে। গতকাল শুক্রবার তাদের আটকের পর ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়চাপড়া গ্রামের বাবু হত্যার সময় লাশের কাছ থেকে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়। এ আলামতের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তে এক পর্যায়ে মোবাইল ট্র্যাকিং করে দেখা যায় বাবুর মোবাইলে সর্বশেষ গড়চাপড়া গ্রামের রাজিবের স্ত্রী মাহিমা ওরফে ফুটুরি ওরফে লাবনীর কল ছিল। এসব তথ্যের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফুল বিষদভাবে তদন্তের এক পর্যায়ে মাহিমা ও তার স্বামী রাজিবকে আটক করে। আটকের পর তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হলে তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, আলমডাঙ্গার গড়চাপড়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে হত্যা মামলার আসামী বাবু গত ১৮ এপ্রিল রাতে তামাক জ্বালানোর সময় নিখোঁজ হয়। গ্রামে গুঞ্জন ওঠে বাবুকে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ওই রাতে তাকে অনেক খুঁজে কোথাও না পেলে ফিরে যান। পর দিন সকালে গ্রামের মাঠ ঘেষে অশিতিপর বৃদ্ধ উজির আলীর কঁড়ে ঘরে বাবুর লাশ পড়ে রয়েছে বলে পুলিশ সংবাদ পায়। সেখান থেকে পুলিশ তার কুপিয়ে হত্যা করা ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। লাশের পাশ থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করে পুলিশ। পরে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরণ করে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গড়চাপড়া গ্রামের বাবু হত্যার ঘটনায় আটক দুজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি

আপলোড টাইম : ০৬:১০:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুন ২০১৮

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার গড়চাপড়া গ্রামের বাবু হত্যার কথা স্বীকার করেছে আটককৃত রাজিব ও তার স্ত্রী মাহিমা খাতুনকে। গতকাল শুক্রবার তাদের আটকের পর ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়চাপড়া গ্রামের বাবু হত্যার সময় লাশের কাছ থেকে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়। এ আলামতের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তে এক পর্যায়ে মোবাইল ট্র্যাকিং করে দেখা যায় বাবুর মোবাইলে সর্বশেষ গড়চাপড়া গ্রামের রাজিবের স্ত্রী মাহিমা ওরফে ফুটুরি ওরফে লাবনীর কল ছিল। এসব তথ্যের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাইফুল বিষদভাবে তদন্তের এক পর্যায়ে মাহিমা ও তার স্বামী রাজিবকে আটক করে। আটকের পর তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হলে তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, আলমডাঙ্গার গড়চাপড়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে হত্যা মামলার আসামী বাবু গত ১৮ এপ্রিল রাতে তামাক জ্বালানোর সময় নিখোঁজ হয়। গ্রামে গুঞ্জন ওঠে বাবুকে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ওই রাতে তাকে অনেক খুঁজে কোথাও না পেলে ফিরে যান। পর দিন সকালে গ্রামের মাঠ ঘেষে অশিতিপর বৃদ্ধ উজির আলীর কঁড়ে ঘরে বাবুর লাশ পড়ে রয়েছে বলে পুলিশ সংবাদ পায়। সেখান থেকে পুলিশ তার কুপিয়ে হত্যা করা ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। লাশের পাশ থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করে পুলিশ। পরে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরণ করে।