ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গ্রীন ফুড-রতন ডিপার্টমেন্টালসহ ৬ প্রতিষ্ঠানকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৫৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মে ২০১৮
  • / ৫৬৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অব্যহত অভিযান
নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরী, ওজনে কারচুপি, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ৪টিসহ মুন্সিগঞ্জ নীলমনিগঞ্জ বাজারের দুই মিষ্টির দোকানীকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান চালায়।
গতকাল বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার ও ফেরীঘাট রোডে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী মোস্তাফিজুর রহমান এবং সিব্বির আহমেদ। কোর্ট সূত্র জানায়, অভিযানকালে চুয়াডাঙ্গা ফেরীঘাট রোডের বসু সুইটস’র মালিক নীল কমল চাকীকে ২ হাজার টাকা ও জলযোগ’র মালিক গিয়াস উদ্দীনকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উভয় দোকানের ফ্রিজে পঁচা-বাসী ও নি¤œ মানের মিষ্টান্ন এবং কাঁচামাল মজুত রাখায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯’র ৫৩ ধারায় এ দন্ড দেয়া হয়। অপরদিকে পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করাসহ একাধিক অভিযোগে গ্রীন ফুড’র মালিক ঘুরী হাসান জোয়ার্দ্দারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয় ও ভোক্তার স্বাস্থ্য হানিকর পণ্য বিক্রয়ের অভিযোগে রতন ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরের মালিক মুন্সী আলমগীরকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উভয়কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯’র ৩৭/৩৮/৫১/৫২/৫৩ ধারায় অর্থদন্ড দেয়া হয়। অভিযানে অংশ নেন জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর গোলাম ফারুক ও পেশকার আব্দুল লতিফ।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াশীমুল বারীর নেতৃত্বে মোমিনপুর ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ নীলমনিগঞ্জ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় দু’টি হোটেল মালিককে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কোর্ট সূত্র জানায়, খালি মিষ্টির প্যাকেটে ওজন/পরিমাপে কারচুপি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরীর অভিযোগে মকবুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক মকবুল হোসেনকে ৫ হাজার টাকা ও সীপন মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক শরিফুল ইসলামকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৮ ও ৫২ ধারা ঘোষণা করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গ্রীন ফুড-রতন ডিপার্টমেন্টালসহ ৬ প্রতিষ্ঠানকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা

আপলোড টাইম : ০৫:৫৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মে ২০১৮

চুয়াডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অব্যহত অভিযান
নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরী, ওজনে কারচুপি, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ৪টিসহ মুন্সিগঞ্জ নীলমনিগঞ্জ বাজারের দুই মিষ্টির দোকানীকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান চালায়।
গতকাল বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার ও ফেরীঘাট রোডে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী মোস্তাফিজুর রহমান এবং সিব্বির আহমেদ। কোর্ট সূত্র জানায়, অভিযানকালে চুয়াডাঙ্গা ফেরীঘাট রোডের বসু সুইটস’র মালিক নীল কমল চাকীকে ২ হাজার টাকা ও জলযোগ’র মালিক গিয়াস উদ্দীনকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উভয় দোকানের ফ্রিজে পঁচা-বাসী ও নি¤œ মানের মিষ্টান্ন এবং কাঁচামাল মজুত রাখায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯’র ৫৩ ধারায় এ দন্ড দেয়া হয়। অপরদিকে পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করাসহ একাধিক অভিযোগে গ্রীন ফুড’র মালিক ঘুরী হাসান জোয়ার্দ্দারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয় ও ভোক্তার স্বাস্থ্য হানিকর পণ্য বিক্রয়ের অভিযোগে রতন ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরের মালিক মুন্সী আলমগীরকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উভয়কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯’র ৩৭/৩৮/৫১/৫২/৫৩ ধারায় অর্থদন্ড দেয়া হয়। অভিযানে অংশ নেন জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর গোলাম ফারুক ও পেশকার আব্দুল লতিফ।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াশীমুল বারীর নেতৃত্বে মোমিনপুর ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ নীলমনিগঞ্জ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় দু’টি হোটেল মালিককে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কোর্ট সূত্র জানায়, খালি মিষ্টির প্যাকেটে ওজন/পরিমাপে কারচুপি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরীর অভিযোগে মকবুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক মকবুল হোসেনকে ৫ হাজার টাকা ও সীপন মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক শরিফুল ইসলামকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৮ ও ৫২ ধারা ঘোষণা করা হয়।