ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গ্রিসে গুম আতঙ্কে বাংলাদেশীরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৪০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: ইউরোপের দেশ গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের লাপাস শহর থেকে সম্প্রতি একজন বাংলাদেশী গুম হওয়ার পর আতঙ্কে দিন কাটছে অন্য বাংলাদেশীদের মধ্যে। লাপাসে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশী মোহাম্মদ হোসেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে তার মতামত জানিয়ে বলেছেন, লাপাসে আমি ১০ বছর ধরে আছি। এখানকার পরিবেশ অনেক শান্ত। কিছু দিন আগে একজন গুম হয়েছে। ওই ব্যক্তি একটি দোকানে চাকরি করতেন। কে বা কারা তাকে গুম করেছে তা আমরা জানি না। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর শুধু আমি না, আমার মতো লাপাসে বর্তমানে যারা আছেন সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছেন। কারণ আমাদের রাত বিরাতে চলাফেরা করতে হয়। আরেক অভিবাসী ফারুক বলেন, গুমের ঘটনাটি আমরা মেনে নিতে পারছি না। এ নিয়ে আতঙ্কে আছি।
ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুম হওয়া ওয়াহিদ মিয়া বাংলাদেশী একটি দোকানে কাজ করতেন। সেই সাথে তিনি ‘হুন্ডি ব্যবসার’ সাথেও জড়িত ছিলেন। গুম হওয়ার পর ওয়াহিদের মামা স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিবাসী বাংলাদেশীদের অনেকেই কৃষি কাজে জড়িত। বাংলাদেশ থেকে বীজ এনে তারা নানা ধরনের সবজি চাষ করছেন। ভূমধ্যসাগরের দেশ গ্রীসের আবহাওয়া অনেকটা বাংলাদেশের মতো হওয়ায় সেখানে কৃষিক্ষেতে বাংলাদেশী সবজির উৎপাদন ভালো হয়। এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে গ্রীস সরকারের শ্রমিক আনার বিষয়ে সম্পাদিত চুক্তির বিষয়ে বেশ আশাবাদী প্রবাসী বাংলাদেশী রফিক। তার মতে, দেশটিতে চাকরির নানান সুবিধা রয়েছে যা বাংলাদেশী অভিবাসীদের জন্য একটি সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। তবে বাংলাদেশীদের নির্বিঘ্নে ও কম খরচে গ্রীসে আসার সুযোগ তৈরি করে দেয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, ইউরোপের দেশ গ্রীসে বর্তমানে কয়েক হাজার বাংলাদেশী বসবাস করছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গ্রিসে গুম আতঙ্কে বাংলাদেশীরা

আপলোড টাইম : ০৩:৪০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন: ইউরোপের দেশ গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের লাপাস শহর থেকে সম্প্রতি একজন বাংলাদেশী গুম হওয়ার পর আতঙ্কে দিন কাটছে অন্য বাংলাদেশীদের মধ্যে। লাপাসে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশী মোহাম্মদ হোসেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে তার মতামত জানিয়ে বলেছেন, লাপাসে আমি ১০ বছর ধরে আছি। এখানকার পরিবেশ অনেক শান্ত। কিছু দিন আগে একজন গুম হয়েছে। ওই ব্যক্তি একটি দোকানে চাকরি করতেন। কে বা কারা তাকে গুম করেছে তা আমরা জানি না। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর শুধু আমি না, আমার মতো লাপাসে বর্তমানে যারা আছেন সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছেন। কারণ আমাদের রাত বিরাতে চলাফেরা করতে হয়। আরেক অভিবাসী ফারুক বলেন, গুমের ঘটনাটি আমরা মেনে নিতে পারছি না। এ নিয়ে আতঙ্কে আছি।
ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুম হওয়া ওয়াহিদ মিয়া বাংলাদেশী একটি দোকানে কাজ করতেন। সেই সাথে তিনি ‘হুন্ডি ব্যবসার’ সাথেও জড়িত ছিলেন। গুম হওয়ার পর ওয়াহিদের মামা স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিবাসী বাংলাদেশীদের অনেকেই কৃষি কাজে জড়িত। বাংলাদেশ থেকে বীজ এনে তারা নানা ধরনের সবজি চাষ করছেন। ভূমধ্যসাগরের দেশ গ্রীসের আবহাওয়া অনেকটা বাংলাদেশের মতো হওয়ায় সেখানে কৃষিক্ষেতে বাংলাদেশী সবজির উৎপাদন ভালো হয়। এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে গ্রীস সরকারের শ্রমিক আনার বিষয়ে সম্পাদিত চুক্তির বিষয়ে বেশ আশাবাদী প্রবাসী বাংলাদেশী রফিক। তার মতে, দেশটিতে চাকরির নানান সুবিধা রয়েছে যা বাংলাদেশী অভিবাসীদের জন্য একটি সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। তবে বাংলাদেশীদের নির্বিঘ্নে ও কম খরচে গ্রীসে আসার সুযোগ তৈরি করে দেয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, ইউরোপের দেশ গ্রীসে বর্তমানে কয়েক হাজার বাংলাদেশী বসবাস করছেন।