ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আর জনগণের ত্রাহিদশা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০১৯
  • / ২৯০ বার পড়া হয়েছে

আবাসিক গ্যাসের চুলার গ্যাসের দাম প্রায় শতভাগ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি। এক চুলার জন্য যারা এখন মাসে বিল দেন ৭৫০ টাকা, তা ১ হাজার ৩৫০ টাকা করার প্রস্তাব এসেছে। এ ছাড়া ৮০০ টাকার দুই চুলার বিল প্রস্তাব করেছে ১ হাজার ৪৪০ টাকা করার জন্য। শতাংশ হিসেবে এই বাড়ানোর প্রস্তাব গড়ে প্রায় ১০৩%। বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সর্বস্তরের জনগণ। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাসের দাম বাড়ানো-নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। গত বছরের অক্টোবরে সংস্থাটি গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল কমিশন। তবে তখন তা জনগণকে দিতে হয়নি, সরকার ভর্তুকি হিসেবে এক বছরের জন্য সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। আর এই দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানি করেছে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবির মিলনায়তনে। গণশুনানিতে উপস্থিত থাকা নাগরিকদের বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা গণশুনানিকে ‘বেআইনি’ উল্লেখ করে অবিলম্বে তা বন্ধের দাবি জানান। ব্যবসায়ীরা এই দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আবার গ্যাসের দাম বাড়ালে উদ্যোক্তারা দেউলিয়া হয়ে যাবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা। গণশুনানিতে আবাসিকের পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও যানবাহনে ব্যবহৃত সিএনজির দামও মিটার প্রতি সর্বনি¤œ ৬ টাকা ও সব্বোর্চ ১৬ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে তিতাস গ্যাস। এক অর্থবছরে গ্যাসের মূল্য একবারের বেশি বৃদ্ধি করা যায় না মর্মে বিইআরসির আইনে উল্লেখ থাকলেও আবার এই গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া আমাদের ভাবাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যেতে পারে আবারও গ্যামের দাম বাড়ালে। আয়-ব্যয়ের হিসেবে বর্তমানে লাভে থাকা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের উপরে বাড়তি মূল্যের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে কেন, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার না। বিষয়গুলোর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নানা প্রেক্ষাপট চিন্তা করে সংশ্লিষ্টরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমাদের আশাবাদ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আর জনগণের ত্রাহিদশা

আপলোড টাইম : ০৯:১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০১৯

আবাসিক গ্যাসের চুলার গ্যাসের দাম প্রায় শতভাগ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি। এক চুলার জন্য যারা এখন মাসে বিল দেন ৭৫০ টাকা, তা ১ হাজার ৩৫০ টাকা করার প্রস্তাব এসেছে। এ ছাড়া ৮০০ টাকার দুই চুলার বিল প্রস্তাব করেছে ১ হাজার ৪৪০ টাকা করার জন্য। শতাংশ হিসেবে এই বাড়ানোর প্রস্তাব গড়ে প্রায় ১০৩%। বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সর্বস্তরের জনগণ। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাসের দাম বাড়ানো-নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। গত বছরের অক্টোবরে সংস্থাটি গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল কমিশন। তবে তখন তা জনগণকে দিতে হয়নি, সরকার ভর্তুকি হিসেবে এক বছরের জন্য সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। আর এই দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানি করেছে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবির মিলনায়তনে। গণশুনানিতে উপস্থিত থাকা নাগরিকদের বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা গণশুনানিকে ‘বেআইনি’ উল্লেখ করে অবিলম্বে তা বন্ধের দাবি জানান। ব্যবসায়ীরা এই দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আবার গ্যাসের দাম বাড়ালে উদ্যোক্তারা দেউলিয়া হয়ে যাবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা। গণশুনানিতে আবাসিকের পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও যানবাহনে ব্যবহৃত সিএনজির দামও মিটার প্রতি সর্বনি¤œ ৬ টাকা ও সব্বোর্চ ১৬ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে তিতাস গ্যাস। এক অর্থবছরে গ্যাসের মূল্য একবারের বেশি বৃদ্ধি করা যায় না মর্মে বিইআরসির আইনে উল্লেখ থাকলেও আবার এই গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া আমাদের ভাবাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যেতে পারে আবারও গ্যামের দাম বাড়ালে। আয়-ব্যয়ের হিসেবে বর্তমানে লাভে থাকা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের উপরে বাড়তি মূল্যের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে কেন, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার না। বিষয়গুলোর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নানা প্রেক্ষাপট চিন্তা করে সংশ্লিষ্টরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমাদের আশাবাদ।