ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গৃহবধূর মৃত্যু: লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৭:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯
  • / ২৭৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গোয়ালখালি গ্রামে স্বামী-শ্বাশুড়ীর বিরুদ্ধে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ ও থানায় মামলা না নেওয়ার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে নিহতের স্বজনরা। গতকাল সোমবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার ভাইট বাজারে মহাসড়কে লাশ রেখে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে।
নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে এক বছর আগে গোয়ালখালি গ্রামের ফিরোজ হোসেনের মেয়ে সোনিয়ার বিয়ে হয় একই গ্রামের বাদশা হোসেনের ছেলে সজিবের সাথে। বিয়ের পর থেকে সোনিয়াকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরই জের ধরে রোববার সকালে সোনিয়াকে হত্যা করে গলায় ওড়না দিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রেখে ঘরে তালা দিয়ে পলিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে নিহতের পিতা-মাতা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পরিবারের লোকজন থানায় হত্যা মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে। সেই সাথে আটক হওয়া শ্বাশুড়ী ও শ্বশুরকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে মহাসড়কে লাশ রেখে অবরোধ করে তার স্বজনরা। পরে থানায় মামলা ও দোষিদের গ্রেফতারে পুলিশের আশ্বাসে প্রায় দেড় ঘন্টা পরে সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) তারেক আল মেহেদি বলেন, রোববার সোনিয়া আত্মহত্যা করেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, সোনিয়ার মৃত্যুর আগে একটি সুইসাইডাল নোট লিখে গেছে। সেখানে তার মৃত্যুর জন্য কে দায়ী তার বর্ণনা রয়েছে। তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যার বিষয়টি স্পষ্ট হলে হত্যা মামলা হবে। নতুবা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গৃহবধূর মৃত্যু: লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ!

আপলোড টাইম : ০৯:২৭:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গোয়ালখালি গ্রামে স্বামী-শ্বাশুড়ীর বিরুদ্ধে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ ও থানায় মামলা না নেওয়ার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে নিহতের স্বজনরা। গতকাল সোমবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার ভাইট বাজারে মহাসড়কে লাশ রেখে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে।
নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে এক বছর আগে গোয়ালখালি গ্রামের ফিরোজ হোসেনের মেয়ে সোনিয়ার বিয়ে হয় একই গ্রামের বাদশা হোসেনের ছেলে সজিবের সাথে। বিয়ের পর থেকে সোনিয়াকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরই জের ধরে রোববার সকালে সোনিয়াকে হত্যা করে গলায় ওড়না দিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রেখে ঘরে তালা দিয়ে পলিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে নিহতের পিতা-মাতা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পরিবারের লোকজন থানায় হত্যা মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে। সেই সাথে আটক হওয়া শ্বাশুড়ী ও শ্বশুরকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে মহাসড়কে লাশ রেখে অবরোধ করে তার স্বজনরা। পরে থানায় মামলা ও দোষিদের গ্রেফতারে পুলিশের আশ্বাসে প্রায় দেড় ঘন্টা পরে সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) তারেক আল মেহেদি বলেন, রোববার সোনিয়া আত্মহত্যা করেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, সোনিয়ার মৃত্যুর আগে একটি সুইসাইডাল নোট লিখে গেছে। সেখানে তার মৃত্যুর জন্য কে দায়ী তার বর্ণনা রয়েছে। তাই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যার বিষয়টি স্পষ্ট হলে হত্যা মামলা হবে। নতুবা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা নেওয়া হবে।