গাংনীর চিৎলা পাটবীজ খামারে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
- আপলোড টাইম : ০৯:৪৫:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুলাই ২০২০
- / ১৫০ বার পড়া হয়েছে
গাংনী অফিস:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চিৎলা পাটবীজ খামারে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন গাংনীর সর্বস্তরের মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিৎলা পাটবীজ খামারে জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখনের সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
চিৎলা পাটবীজ খামার এ অঞ্চলের মধ্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উপযুক্ত ও গুরুত্বপর্ণ স্থান উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের আয়োজক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন বলেন, প্রায় ১৩ শ বিঘা জমি নিয়ে গঠিত চিৎলা পাটবীজ খামার দেশের তৃতীয় বৃহত্তম পাটবীজ খামার। কৃষিতে মেহেরপুর জেলাসহ আশেপাশের এলাকার গৌরাবান্বিত সফলতা অব্যহত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার ছেলে-মেয়েরা সহজেই উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিতে পারবে। অন্যদিকে কৃষিতে এ নবযুুগের সূচনা হবে। দেশের সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসেবে চিৎলা পাটবীজ খামারে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি করেন তিনি।
মানববন্ধনে তিনি বলেন, ‘আমি যখন মেহেরপুর সরকারি কলেজের ভিপি-জিএস নির্বাচিত হয়েছিলাম, তখন থেকেই নানা দাবি করে আসছি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর মেহেরপুর জেলার উন্নয়ন নিয়ে যে পরিকল্পনা দাবি উত্থাপন করা হয়, তার মধ্যে মুজিবনগর কমপ্লেক্স, ভৈরব নদী পুনর্খনন ও চিৎলা পাটবীজ খামারে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি ছিল প্রধান তিনটি দাবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ দাবি সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ও আমজাদ হোসেন সংসদে উত্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন সংসদে উত্থাপন পূর্বক জোরালো ভূমিকা রাখেন। এটি আমাদের জন্য অত্যান্ত আনন্দের ও গর্বের। কেননা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি এখন সবার প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।’ দাবি পূরণে পৃথিবীর বিভিন্ন ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেকোনো যৌক্তিক দাবি কাউকে না কাউকে প্রথম উত্থাপন করতে হয়। এক দিন সেই দাবি জনদাবিতে পরিণত হয়। একপর্যায়ে দাবি পূরণ হয়। কৃষি ও শিক্ষাবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনদাবি আমলে নিয়ে আমাদেরকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দেবেন এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।’
বিশেষ কোনো কারণ নয়, স্থান নির্বাচনের উপযুক্ততা যাচাই করে চিৎলা পাটবীজ খামারে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান, সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান, পৌর প্যানেল মেয়র নবীর উদ্দীন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পৌর কৃষক লীগের সভাপতি বদরুল আলম, ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, উপজেরা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আবুল বাসার, সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম আম্বিয়া, জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, গাংনী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসিব, সংগঠক মামুনুর রশিদ বিজন প্রমুখ।