ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে স্কুলের বাগান নিলামকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০২:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১
  • / ৫৬ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:
মেহেরপুরের গাংনীতে একটি স্কুলের বাগানের নিলামকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার করমদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল ইসলাম আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও স্কুলের বাগানের নিলাম চলছিল। হঠাৎ কয়েকজন ছেলে এসে নিলাম কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এসময় স্থানীয় লোকজনের সাথে তাঁদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
করমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ জানান, তিন দিন আগে স্কুলের বাগান নিলামের ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সকলের সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ম্যানেজিং কমিটি ও গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে নিলাম কার্যক্রম চলছিল। নিলামে ৯ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন। এসময় মোসলেম উদ্দীন শাহের ছেলে আলমগীর হোসেন এসে বলে ম্যানেজিং কমিটির দুজন মহিলা সদস্য আসেননি। যার কারণে নিলাম স্থগিত করতে হবে। তার কথামতো স্কুলের দপ্তরিকে দিয়ে ওই দুইজন মহিলা সদস্যকে ডাকতে পাঠানো হয়। এরপর আলমগীর হোসেন অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করে। তার সাথে সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল ইসলাম, আবু বক্করের ছেলে রাজু, আয়ুব আলীর ছেলে লিটন আলী, রিপন আলী নিলাম প্রক্রিয়াকে বাঞ্চাল করার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয় এবং তাদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, গত বছরেও ওই ছেলেগুলো নিলাম কাজে ঝামেলা করেছিল।
ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, নিলাম চলাকালীন সময়ে কিছু ছেলে হট্টগোল শুরু করলে স্থানীয় লোকজনের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
মোসলেম উদ্দীনের শাহের ছেলে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির সবাই নিলাম কার্যক্রমের সময় উপস্থিল ছিলেন না। তাই আমরা সুষ্ঠুভাবে সকলের উপস্থিতিতে নিলাম করার দাবি জানলে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।’
গাংনী থানার এএসআই বিপ্লব হোসেন জানান, ‘ওসি স্যারের নির্দেশে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে সুষ্ঠু পরিবেশে বাগানের নিলাম চলছিল। এসময় ওই ছেলেগুলো গিয়ে উচ্চ বাক্যে কথাবার্তা বলা শুরু করে। এতে গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয় এবং একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আমি উভয়পক্ষকে শান্ত করি। আমি নিজেও তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। তারা ছোট হিসেবে ভদ্রতা বজায় রেখে কথা বলা উচিৎ ছিল।’
গাংনী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গাংনীতে স্কুলের বাগান নিলামকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

আপলোড টাইম : ১০:০২:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:
মেহেরপুরের গাংনীতে একটি স্কুলের বাগানের নিলামকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার করমদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল ইসলাম আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও স্কুলের বাগানের নিলাম চলছিল। হঠাৎ কয়েকজন ছেলে এসে নিলাম কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এসময় স্থানীয় লোকজনের সাথে তাঁদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
করমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ জানান, তিন দিন আগে স্কুলের বাগান নিলামের ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সকলের সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ম্যানেজিং কমিটি ও গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে নিলাম কার্যক্রম চলছিল। নিলামে ৯ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন। এসময় মোসলেম উদ্দীন শাহের ছেলে আলমগীর হোসেন এসে বলে ম্যানেজিং কমিটির দুজন মহিলা সদস্য আসেননি। যার কারণে নিলাম স্থগিত করতে হবে। তার কথামতো স্কুলের দপ্তরিকে দিয়ে ওই দুইজন মহিলা সদস্যকে ডাকতে পাঠানো হয়। এরপর আলমগীর হোসেন অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করে। তার সাথে সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল ইসলাম, আবু বক্করের ছেলে রাজু, আয়ুব আলীর ছেলে লিটন আলী, রিপন আলী নিলাম প্রক্রিয়াকে বাঞ্চাল করার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয় এবং তাদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, গত বছরেও ওই ছেলেগুলো নিলাম কাজে ঝামেলা করেছিল।
ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, নিলাম চলাকালীন সময়ে কিছু ছেলে হট্টগোল শুরু করলে স্থানীয় লোকজনের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
মোসলেম উদ্দীনের শাহের ছেলে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির সবাই নিলাম কার্যক্রমের সময় উপস্থিল ছিলেন না। তাই আমরা সুষ্ঠুভাবে সকলের উপস্থিতিতে নিলাম করার দাবি জানলে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।’
গাংনী থানার এএসআই বিপ্লব হোসেন জানান, ‘ওসি স্যারের নির্দেশে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে সুষ্ঠু পরিবেশে বাগানের নিলাম চলছিল। এসময় ওই ছেলেগুলো গিয়ে উচ্চ বাক্যে কথাবার্তা বলা শুরু করে। এতে গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয় এবং একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আমি উভয়পক্ষকে শান্ত করি। আমি নিজেও তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। তারা ছোট হিসেবে ভদ্রতা বজায় রেখে কথা বলা উচিৎ ছিল।’
গাংনী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।