ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০
  • / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

গাংনী অফিস:
মেহেরপুরের গাংনীতে এক বিজিবির সদস্যর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁর প্রথম স্ত্রী নাসিমা খাতুন। গতকাল শনিবার দুপুরে গাংনী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই বিজিবি সদস্য গাংনীর নওদাপাড়া গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে লিটন মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাসিমা খাতুন জানান, বছর দশেক আগে তার প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই সন্তানসহ স্বামীর বাড়ি নওদাপাড়া গ্রামে ও তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে পিতা আরোজ উল্লাহর বাড়িতে অবস্থান করতেন। ২০১৫ সালের প্রথমে লিটনের সাথে পরিচয় ঘটে। ওই বছরের মে মাসে চুয়াডাঙ্গার আলোকদিয়ার নিকাহ রেজিস্টার নাসির উদ্দীনের কার্যালয়ে তিন লাখ টাকা মোহরানা ধার্য করে বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং ঢাকাতে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় বসবাস শুরু করেন। সেসময় চট্টগ্রাম চকোরিয়াতে চাকুরির কথা বলে চলে যান লিটন। স্বামীর কথা অনুযায়ী নাসিমা একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকরী নেন। চাকুরী করাকালীণ সময়ে প্রাপ্য বেতনে নিজের খরচ মেটানো ছাড়াও বাকী টাকা তুলে দিতেন স্বামী লিটনের হাতে। এভাবেই কেটে যায় পাঁচটি বছর। গত পাঁচ মাস আগে লিটন নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে গাংনীর বজ্রপুর গ্রামে ইন্তাজ আলীর মেয়ে অনামিকার সাথে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রথম স্ত্রী নাসিমা ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন ও স্ত্রীর অধিকার আদায়ে শ্বশুর বাড়িতে গেলে ওই বাড়ির লোকজন নাসিমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। স্ত্রীর অধিকার পেতে বিভিন্ন জনের কাছে ঘুরেও কোন সমাধান না পেয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।
নাসিমা আরো জানান, স্বামী লিটন তার অধিকার হরণ করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ ও বিচার দাবী করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গাংনীতে বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০৯:১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০

গাংনী অফিস:
মেহেরপুরের গাংনীতে এক বিজিবির সদস্যর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁর প্রথম স্ত্রী নাসিমা খাতুন। গতকাল শনিবার দুপুরে গাংনী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই বিজিবি সদস্য গাংনীর নওদাপাড়া গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে লিটন মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাসিমা খাতুন জানান, বছর দশেক আগে তার প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই সন্তানসহ স্বামীর বাড়ি নওদাপাড়া গ্রামে ও তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে পিতা আরোজ উল্লাহর বাড়িতে অবস্থান করতেন। ২০১৫ সালের প্রথমে লিটনের সাথে পরিচয় ঘটে। ওই বছরের মে মাসে চুয়াডাঙ্গার আলোকদিয়ার নিকাহ রেজিস্টার নাসির উদ্দীনের কার্যালয়ে তিন লাখ টাকা মোহরানা ধার্য করে বিবাহ সম্পন্ন হয় এবং ঢাকাতে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় বসবাস শুরু করেন। সেসময় চট্টগ্রাম চকোরিয়াতে চাকুরির কথা বলে চলে যান লিটন। স্বামীর কথা অনুযায়ী নাসিমা একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকরী নেন। চাকুরী করাকালীণ সময়ে প্রাপ্য বেতনে নিজের খরচ মেটানো ছাড়াও বাকী টাকা তুলে দিতেন স্বামী লিটনের হাতে। এভাবেই কেটে যায় পাঁচটি বছর। গত পাঁচ মাস আগে লিটন নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে গাংনীর বজ্রপুর গ্রামে ইন্তাজ আলীর মেয়ে অনামিকার সাথে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রথম স্ত্রী নাসিমা ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন ও স্ত্রীর অধিকার আদায়ে শ্বশুর বাড়িতে গেলে ওই বাড়ির লোকজন নাসিমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। স্ত্রীর অধিকার পেতে বিভিন্ন জনের কাছে ঘুরেও কোন সমাধান না পেয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।
নাসিমা আরো জানান, স্বামী লিটন তার অধিকার হরণ করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ ও বিচার দাবী করেন।