ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকে যুবক আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১
  • / ৪১ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:
মেহেরপুরের গাংনীতে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে সোহেল রানা (৩৫) নামে এক যুবক অনৈতিক কাজের সময় হাতেনাতে আটক হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের ঈদগাহ পাড়াতে। দুই সন্তানের জনক সোহেল রানা উপজেলার মটমুড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম ছেলে এবং বাওট বাজারের রানা ফার্মেসির মালিক। এক সন্তানের জননী মেরিনা খাতুন (২৭) ছাতিয়ান গ্রামের ঈদগাহপাড়ার জালাল উদ্দীনের ছেলে বাহারাইন প্রবাসীর স্ত্রী ও বাওট গ্রামের মৃত একরাম আলীর মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, সোহেল রানার সাথে প্রবাসীর স্ত্রী মেরিনা খাতুনের সাথে দীর্ঘদিনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন অজুহাতে তিনি মেরিনা খাতুনের বাড়িতে আসতেন। এই পরকীয়া সম্পর্কের জেরে গত সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় মেরিনা খাতুনের ঘরে আসেন সোহেল। আনুমানিক ভোর চারটার দিকে মেরিনার ঘর থেকে বের হতে দেখে তাঁকে আটক করা হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা সোহেল রানাকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মেরে পুলিশে খবর দেয়। পরে কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আব্দুর রাজ্জাক ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
পরে মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের মটমুড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সাজাহান আলী, মটমুড়া গ্রামের রশিদুল ইসলাম, তাহাজ আলী, ছাতিয়ান ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জাহাঙ্গীর আলম লিটন, একই গ্রামের মাহবুব আলম মাস্টার, জিল্লুর রহমানসহ উভয় গ্রামের বেশ কিছু লোকজন সোহেল রানা ও মেরিনার কাছ থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাঁদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, বছর খানেক আগেও সোহেল রানাকে মধ্যরাতে ওই বাসা থেকে বেরিয়ে চলে যাওয়ার সময় বাড়ির পাশের বাগানের মধ্যে আটক করেছিল স্থানীয়রা। মান-সম্মানের দিকে তাকিয়ে সে সময় উত্তম-মধ্যম দিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ছাতিয়ান গ্রামের মাহাবুব আলম মাস্টার জানান, ফাঁকা স্ট্যাম্পে উভরের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। ইউপি সদস্য ও মুহুরারকে লিখে নিতে বলা হয়েছে। ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, উভয় পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ফাঁকা স্ট্যাম্পে ছেলে ও মেয়ের স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ইউপি সদস্য সাজাহান আলী জানান, ‘আমরা উভয় গ্রামের মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা একত্রে বসে মীমাংসা করে দিয়েছে।’
মটমুড়া গ্রামের রশিদুল ইসলাম জানান, এ আর নতুন কী। তাদের অনেক আগে থেকেই প্রেম সম্পর্ক রয়েছে। কোন পরিবারের অভিযোগ না থাকায় স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই লিয়াকত আলী জানান, অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ওই যুবককে আটক করে ৯৯৯ ফোন দেয় স্থানীয়রা। ঘটনা জানার পরপরই এএসআই আব্দুর রাজ্জাককে সংগীয় ফোর্স দিয়ে পাঠানো হয়েছিল। পরে শুনেছি তারা স্থানীয়ভাবে মিটিয়ে ফেলেছে। গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, ঘটনা শুনার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গাংনীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকে যুবক আটক

আপলোড টাইম : ১০:২৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:
মেহেরপুরের গাংনীতে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে সোহেল রানা (৩৫) নামে এক যুবক অনৈতিক কাজের সময় হাতেনাতে আটক হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের ঈদগাহ পাড়াতে। দুই সন্তানের জনক সোহেল রানা উপজেলার মটমুড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম ছেলে এবং বাওট বাজারের রানা ফার্মেসির মালিক। এক সন্তানের জননী মেরিনা খাতুন (২৭) ছাতিয়ান গ্রামের ঈদগাহপাড়ার জালাল উদ্দীনের ছেলে বাহারাইন প্রবাসীর স্ত্রী ও বাওট গ্রামের মৃত একরাম আলীর মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, সোহেল রানার সাথে প্রবাসীর স্ত্রী মেরিনা খাতুনের সাথে দীর্ঘদিনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন অজুহাতে তিনি মেরিনা খাতুনের বাড়িতে আসতেন। এই পরকীয়া সম্পর্কের জেরে গত সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় মেরিনা খাতুনের ঘরে আসেন সোহেল। আনুমানিক ভোর চারটার দিকে মেরিনার ঘর থেকে বের হতে দেখে তাঁকে আটক করা হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা সোহেল রানাকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মেরে পুলিশে খবর দেয়। পরে কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আব্দুর রাজ্জাক ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
পরে মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের মটমুড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সাজাহান আলী, মটমুড়া গ্রামের রশিদুল ইসলাম, তাহাজ আলী, ছাতিয়ান ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জাহাঙ্গীর আলম লিটন, একই গ্রামের মাহবুব আলম মাস্টার, জিল্লুর রহমানসহ উভয় গ্রামের বেশ কিছু লোকজন সোহেল রানা ও মেরিনার কাছ থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাঁদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, বছর খানেক আগেও সোহেল রানাকে মধ্যরাতে ওই বাসা থেকে বেরিয়ে চলে যাওয়ার সময় বাড়ির পাশের বাগানের মধ্যে আটক করেছিল স্থানীয়রা। মান-সম্মানের দিকে তাকিয়ে সে সময় উত্তম-মধ্যম দিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ছাতিয়ান গ্রামের মাহাবুব আলম মাস্টার জানান, ফাঁকা স্ট্যাম্পে উভরের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। ইউপি সদস্য ও মুহুরারকে লিখে নিতে বলা হয়েছে। ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, উভয় পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ফাঁকা স্ট্যাম্পে ছেলে ও মেয়ের স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ইউপি সদস্য সাজাহান আলী জানান, ‘আমরা উভয় গ্রামের মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা একত্রে বসে মীমাংসা করে দিয়েছে।’
মটমুড়া গ্রামের রশিদুল ইসলাম জানান, এ আর নতুন কী। তাদের অনেক আগে থেকেই প্রেম সম্পর্ক রয়েছে। কোন পরিবারের অভিযোগ না থাকায় স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই লিয়াকত আলী জানান, অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ওই যুবককে আটক করে ৯৯৯ ফোন দেয় স্থানীয়রা। ঘটনা জানার পরপরই এএসআই আব্দুর রাজ্জাককে সংগীয় ফোর্স দিয়ে পাঠানো হয়েছিল। পরে শুনেছি তারা স্থানীয়ভাবে মিটিয়ে ফেলেছে। গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, ঘটনা শুনার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।