ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে পরকীয়া প্রেমিকের প্রতারণার শিকার প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মœহত্যা : প্রেমিকের গা ঢাকা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫২:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০১৭
  • / ৩৮১ বার পড়া হয়েছে

প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গিয়েও টাকা না দেয়ায় ঘরে নিলেন না প্রতারক সেন্টু : ভাঙতে যাচ্ছে স্বামীর সংসার

গাংনী অফিস: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহিশাখোলা গ্রামের পরকীয়া প্রেমিকের প্রতারণার শিকার হয়ে রেশমা খাতুন (২৬) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। এক কন্যাসন্তানের জননী রেশমা খাতুন গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের কসবা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল জাব্বারের স্ত্রী ও রাইপুর ইউনিয়নের বড় বামন্দী (কড়ুইগাছি) গ্রামের আহসান আলীর মেয়ে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, রেশমা খাতুন প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে অভিমানে গত শনিবার তার বাবার বাড়ি বড় বামন্দী গ্রামে বিষপান করেন। রেশমা তিনদিন ধরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। স্থানীয়রা জানান, বড় বামন্দী গ্রামের আহসান আলীর মেয়ে রেশমা খাতুনের সাথে গত ৯ বছর আগে বিয়ে হয় কসবা গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে আব্দুল জাব্বারের। বিয়ের পর রেশমা-জাব্বারের সংসারে আসে একটি কন্যাসন্তান। জাব্বার তার ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে ৩ বছর আগে মালয়েশিয়ায় যান। এ সুযোগে রেশমাকে নানা প্রলোভন দিয়ে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলেন মহিষাখোলা গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সেন্টু আলী (২৮)। গত সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখের দিকে সর্ম্পকের সূত্র ধরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রেশমাকে নিয়ে সেন্টু পালিয়ে যায়। পালিয়ে গিয়ে গোপনে বিয়েও করে তারা। কয়েকদিন একসাথে বিভিন্ন জায়গায় থাকার পর রেশমাকে নিয়ে বাড়ি ফেরে সেন্টু। তারপর রেশমার কাছে তার প্রবাসী স্বামীর দেয়া টাকা দাবি করে সেন্টু। কিন্তু রেশমা জানায় তার ব্যাংক একাউন্টে কোন টাকা পয়সা নেয়। তারপর রেশমাকে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে সেন্টু।
এদিকে, রেশমা পর-পুরুষের সাথে বাইরে গিয়ে রাত কাটিয়েছে এ খবর পেয়ে স্বামী আব্দুল জাব্বার স্ত্রী হিসেবে রেশমাকে নেবে না বলে মোবাইলফোনে জানিয়ে দেয়। একদিকে স্বামীকে না পেয়ে, অন্যদিকে প্রেমিক সেন্টুর নিকট প্রতারণার শিকার হয়ে অভিমানে রেশমা বিষপান করেন। এ সময় প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নেয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে, ওইদিনই তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেন্টুর স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্বামীর পাঠানো টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল বেছে নিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। এদিকে, প্রেমিকা রেশমার আতœহত্যার খবর পেয়ে প্রেমিক সেন্টু আত্মগোপন করেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গাংনীতে পরকীয়া প্রেমিকের প্রতারণার শিকার প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মœহত্যা : প্রেমিকের গা ঢাকা

আপলোড টাইম : ০৯:৫২:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০১৭

প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গিয়েও টাকা না দেয়ায় ঘরে নিলেন না প্রতারক সেন্টু : ভাঙতে যাচ্ছে স্বামীর সংসার

গাংনী অফিস: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহিশাখোলা গ্রামের পরকীয়া প্রেমিকের প্রতারণার শিকার হয়ে রেশমা খাতুন (২৬) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। এক কন্যাসন্তানের জননী রেশমা খাতুন গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের কসবা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুল জাব্বারের স্ত্রী ও রাইপুর ইউনিয়নের বড় বামন্দী (কড়ুইগাছি) গ্রামের আহসান আলীর মেয়ে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, রেশমা খাতুন প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে অভিমানে গত শনিবার তার বাবার বাড়ি বড় বামন্দী গ্রামে বিষপান করেন। রেশমা তিনদিন ধরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। স্থানীয়রা জানান, বড় বামন্দী গ্রামের আহসান আলীর মেয়ে রেশমা খাতুনের সাথে গত ৯ বছর আগে বিয়ে হয় কসবা গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে আব্দুল জাব্বারের। বিয়ের পর রেশমা-জাব্বারের সংসারে আসে একটি কন্যাসন্তান। জাব্বার তার ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে ৩ বছর আগে মালয়েশিয়ায় যান। এ সুযোগে রেশমাকে নানা প্রলোভন দিয়ে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলেন মহিষাখোলা গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সেন্টু আলী (২৮)। গত সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখের দিকে সর্ম্পকের সূত্র ধরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রেশমাকে নিয়ে সেন্টু পালিয়ে যায়। পালিয়ে গিয়ে গোপনে বিয়েও করে তারা। কয়েকদিন একসাথে বিভিন্ন জায়গায় থাকার পর রেশমাকে নিয়ে বাড়ি ফেরে সেন্টু। তারপর রেশমার কাছে তার প্রবাসী স্বামীর দেয়া টাকা দাবি করে সেন্টু। কিন্তু রেশমা জানায় তার ব্যাংক একাউন্টে কোন টাকা পয়সা নেয়। তারপর রেশমাকে তার বাবার বাড়ি পাঠিয়ে সেন্টু।
এদিকে, রেশমা পর-পুরুষের সাথে বাইরে গিয়ে রাত কাটিয়েছে এ খবর পেয়ে স্বামী আব্দুল জাব্বার স্ত্রী হিসেবে রেশমাকে নেবে না বলে মোবাইলফোনে জানিয়ে দেয়। একদিকে স্বামীকে না পেয়ে, অন্যদিকে প্রেমিক সেন্টুর নিকট প্রতারণার শিকার হয়ে অভিমানে রেশমা বিষপান করেন। এ সময় প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নেয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে, ওইদিনই তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেন্টুর স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্বামীর পাঠানো টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল বেছে নিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। এদিকে, প্রেমিকা রেশমার আতœহত্যার খবর পেয়ে প্রেমিক সেন্টু আত্মগোপন করেছেন।