ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে ইবি ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী-শ্বশুর জেলহাজতে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: গাংনীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যায় (ইবি) ছাত্রী নিশাত তাসনীম উর্মি (২৪) হত্যার অভিযোগে তাঁর স্বামী আফাকুজ্জামান প্রিন্স ও শ্বশুর হাসেম শাহের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত। উর্মির পিতার দায়ের করা মামলায় তাঁদেরকে জেলহাজতে আটক রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার মেহেরপুর আদালতে তাঁদের জামিন আবেদন করা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ। এদিকে উর্মির মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বামীর বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের শিকারের অভিযোগে উর্মির পিতা গোলাম কিবরিয়া গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামি করা হয়েছে স্বামী প্রিন্স, প্রিন্সের পিতা হাসেম শাহ ও প্রিন্সের মা রিক্তা খাতুনকে। গত শুক্রবার সকালে প্রিন্স ও তার পিতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আর আত্মগোপন করে প্রিন্সের মা। তাকে গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, উর্মির পিতার দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার প্রিন্স ও হাসেম শাহকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল। গতকাল তাদের জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত নামঞ্জুর করে তাঁদেরকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ বহাল রেখেছেন। গৃহবধূর মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য যেমনি ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে, তেমনি আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই বিজ্ঞ আদালতের কাছে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত এই ঘটনার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। পাশাপাশি মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার এবং এই ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গাংনীর বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়া ও চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লায়লা আরজুমান বানুর বড় মেয়ে নিশাত শারমিন উর্মির বিয়ে হয় গাংনীর কাথুলী মোড় পাড়ার ব্যবসায়ী হাসেম শাহের ছেলে প্রিন্সের সাথে। প্রিন্স কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ আর উর্মি ইবিতে অধ্যায়নরত। তাদের ১৩ বছরী বয়সী এক পুত্র সন্তান রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উর্মিকে পিটিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তার পরিবার। এমন অভিযোগে তাদের নামে মামলা দায়ের করে নিহতের পরিবার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গাংনীতে ইবি ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী-শ্বশুর জেলহাজতে

আপলোড টাইম : ০৯:১৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: গাংনীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যায় (ইবি) ছাত্রী নিশাত তাসনীম উর্মি (২৪) হত্যার অভিযোগে তাঁর স্বামী আফাকুজ্জামান প্রিন্স ও শ্বশুর হাসেম শাহের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত। উর্মির পিতার দায়ের করা মামলায় তাঁদেরকে জেলহাজতে আটক রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার মেহেরপুর আদালতে তাঁদের জামিন আবেদন করা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ। এদিকে উর্মির মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বামীর বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের শিকারের অভিযোগে উর্মির পিতা গোলাম কিবরিয়া গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামি করা হয়েছে স্বামী প্রিন্স, প্রিন্সের পিতা হাসেম শাহ ও প্রিন্সের মা রিক্তা খাতুনকে। গত শুক্রবার সকালে প্রিন্স ও তার পিতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আর আত্মগোপন করে প্রিন্সের মা। তাকে গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, উর্মির পিতার দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার প্রিন্স ও হাসেম শাহকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল। গতকাল তাদের জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত নামঞ্জুর করে তাঁদেরকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ বহাল রেখেছেন। গৃহবধূর মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য যেমনি ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে, তেমনি আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই বিজ্ঞ আদালতের কাছে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত এই ঘটনার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। পাশাপাশি মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার এবং এই ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গাংনীর বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়া ও চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লায়লা আরজুমান বানুর বড় মেয়ে নিশাত শারমিন উর্মির বিয়ে হয় গাংনীর কাথুলী মোড় পাড়ার ব্যবসায়ী হাসেম শাহের ছেলে প্রিন্সের সাথে। প্রিন্স কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ আর উর্মি ইবিতে অধ্যায়নরত। তাদের ১৩ বছরী বয়সী এক পুত্র সন্তান রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উর্মিকে পিটিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তার পরিবার। এমন অভিযোগে তাদের নামে মামলা দায়ের করে নিহতের পরিবার।