ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘গরু-মহিষ পাচারের পূর্ব দ্বন্দ্বে দুজনকে পিটানো হয়’

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
  • / ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

দর্শনার ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ, দুই বাংলাদেশি জখমের ঘটনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দর্শনা থানার ঠাকুরপুর সীমান্তের নিকট থেকে দুজন বাংলাদেশিকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় বিজিবি জওয়ানরা আরও সর্তক অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়া জোরদার করা হয়েছে পুলিশি টহল। এদিকে, আহত দুই বাংলাদেশির মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড হওয়া কদম আলী ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবুর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে আজ অবস্থার উন্নতি না হলে বাবুকেও রেফার্ড করা হতে পারে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এ ছাড়া কদম আলী ও বাবু হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরলেই অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে কদম আলী ও বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের জখম হওয়ার বিষয়ে বারবার জিজ্ঞাসার পরেও কিছুই জানানো হয়নি।
এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠাকুরপুর এলাকার অনেকে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘কদম আলী ও বাবু দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় গরু-মহিষ পাচারের সঙ্গে জড়িত। ভারতীয় কিছু দালালের সঙ্গে তাঁদের বেশ সখ্যতাও রয়েছে। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে গরু ও মহিষ পাচারের পর ভাগাভাগি নিয়ে ভারতীয় দালাল সিন্ডিকেটের সঙ্গে কদম আলী ও বাবুর ঝামেলা বাধে। গত শুক্রবার কদম আলী ও বাবু মিয়া বিকেলের কোনো এক সময় অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে তারই জেরধরে তাঁদেরকে বেদম প্রহার করা হয়। পরে ভারতীয় দালাল সিন্ডিকেটের সদস্যরা কদম ও বাবুকে বাংলাদেশি সীমানার অভ্যান্তরে ফেলে রেখে যায় এবং পরবর্তীতে তাদের গ্রামবাসী উদ্ধার করে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির বলেন, ‘শুক্রবার রাতে দর্শনার ঠাকুরপুর সীমান্তের নিকট থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় দুজন বাংলাদেশিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই দিনই কদম আলী নামের একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাবু নামের একজন এখনো চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি নেই, আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। তবে বাবুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হতে পারে।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে সাতটার দিকে দর্শনা থানার ঠাকুরপুর সীমান্তের নিকট থেকে দুজন বাংলাদেশিকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রামবাসী। পরে ওইদিনই রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই প্রাথমিকভাবে জানা যায়, জখম ওই দুজন বাংলাদেশি শুক্রবার বিকেলে কোনো একসময় অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে পূর্বশত্রুতায় কে বা কারা তাঁদেরকে বেদম প্রহার করে বাংলাদেশি সীমানার অভ্যান্তরে ফেলে রেখে যায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

‘গরু-মহিষ পাচারের পূর্ব দ্বন্দ্বে দুজনকে পিটানো হয়’

আপলোড টাইম : ০৯:২২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

দর্শনার ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ, দুই বাংলাদেশি জখমের ঘটনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দর্শনা থানার ঠাকুরপুর সীমান্তের নিকট থেকে দুজন বাংলাদেশিকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় বিজিবি জওয়ানরা আরও সর্তক অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়া জোরদার করা হয়েছে পুলিশি টহল। এদিকে, আহত দুই বাংলাদেশির মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড হওয়া কদম আলী ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবুর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে আজ অবস্থার উন্নতি না হলে বাবুকেও রেফার্ড করা হতে পারে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এ ছাড়া কদম আলী ও বাবু হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরলেই অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে কদম আলী ও বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের জখম হওয়ার বিষয়ে বারবার জিজ্ঞাসার পরেও কিছুই জানানো হয়নি।
এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠাকুরপুর এলাকার অনেকে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘কদম আলী ও বাবু দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় গরু-মহিষ পাচারের সঙ্গে জড়িত। ভারতীয় কিছু দালালের সঙ্গে তাঁদের বেশ সখ্যতাও রয়েছে। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে গরু ও মহিষ পাচারের পর ভাগাভাগি নিয়ে ভারতীয় দালাল সিন্ডিকেটের সঙ্গে কদম আলী ও বাবুর ঝামেলা বাধে। গত শুক্রবার কদম আলী ও বাবু মিয়া বিকেলের কোনো এক সময় অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে তারই জেরধরে তাঁদেরকে বেদম প্রহার করা হয়। পরে ভারতীয় দালাল সিন্ডিকেটের সদস্যরা কদম ও বাবুকে বাংলাদেশি সীমানার অভ্যান্তরে ফেলে রেখে যায় এবং পরবর্তীতে তাদের গ্রামবাসী উদ্ধার করে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির বলেন, ‘শুক্রবার রাতে দর্শনার ঠাকুরপুর সীমান্তের নিকট থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় দুজন বাংলাদেশিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই দিনই কদম আলী নামের একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাবু নামের একজন এখনো চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি নেই, আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। তবে বাবুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হতে পারে।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে সাতটার দিকে দর্শনা থানার ঠাকুরপুর সীমান্তের নিকট থেকে দুজন বাংলাদেশিকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রামবাসী। পরে ওইদিনই রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই প্রাথমিকভাবে জানা যায়, জখম ওই দুজন বাংলাদেশি শুক্রবার বিকেলে কোনো একসময় অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে পূর্বশত্রুতায় কে বা কারা তাঁদেরকে বেদম প্রহার করে বাংলাদেশি সীমানার অভ্যান্তরে ফেলে রেখে যায়।