ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন, সরকারকে আইনি নোটিশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৬৪ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিআরটিএ চেয়ারম্যান, পরিবহন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, অনন্যা ক্লাসিক পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৮ জনকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে পরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অ্যাডভোকেট মো. আতিকুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হাসিম উদ্দিন গতকাল বুধবার এই আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত ৩১ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ (বিআরটিএ সংস্থাপন শাখা) থেকে বাসের ভাড়া শতকরা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে এবং প্রতি দুই জনের সিটে একজন যাত্রী বসার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু সরকারি প্রজ্ঞাপন লঙ্ঘন করে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী অনন্যা ক্লাসিক পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেড এর একটি বাসে প্রতি দুই জনের সিটে একজন যাত্রী না বসে দুজন যাত্রী বসানো হয়। অর্থাৎ ৪১ সিটের বাসে সর্ব মোট ৪১ জন যাত্রী নিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসে। এমনকি বনারের ওপর তিনজন যাত্রী বহন করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, সামাজিক দূরত্ব ও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করার ফলে করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার ঘটলে তার দায়-দায়িত্ব নোটিশ গ্রহীতাদের বহন করতে হবে। দায়-দায়িত্ব নোটিশে বলা হয়, এই গাদাগাদি সরকারি বিধি লঙ্ঘনের প্রতিষ্ঠাতা ও তার পরিবার আক্রান্ত হলে তার দায়ভার এবং ক্ষতিপূরণ নোটিশ প্রাপ্তদের করতে হবে অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দেওয়ানী ও ফৌজদারী আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নোটিশে বলা হয়, গত ৮ আগস্ট অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান তার স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে অনন্যা ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো ব ১৩-১৫৫১) কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসেন। পরিবহন কর্তৃপক্ষ এজন্য একটি সিটের স্বাভাবিক ভাড়া ২২০ টাকার পরিবর্তে শতকরা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করে মোট তিনটি টিকিটের বাবদ একহাজার ৫০ টাকা নেয়। ৪১ সিটের ওই বাসটিতে ৪৪ জন যাত্রী বহন করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন, সরকারকে আইনি নোটিশ

আপলোড টাইম : ১০:২৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদন:
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিআরটিএ চেয়ারম্যান, পরিবহন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, অনন্যা ক্লাসিক পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৮ জনকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে পরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অ্যাডভোকেট মো. আতিকুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হাসিম উদ্দিন গতকাল বুধবার এই আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত ৩১ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ (বিআরটিএ সংস্থাপন শাখা) থেকে বাসের ভাড়া শতকরা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে এবং প্রতি দুই জনের সিটে একজন যাত্রী বসার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু সরকারি প্রজ্ঞাপন লঙ্ঘন করে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী অনন্যা ক্লাসিক পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেড এর একটি বাসে প্রতি দুই জনের সিটে একজন যাত্রী না বসে দুজন যাত্রী বসানো হয়। অর্থাৎ ৪১ সিটের বাসে সর্ব মোট ৪১ জন যাত্রী নিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসে। এমনকি বনারের ওপর তিনজন যাত্রী বহন করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, সামাজিক দূরত্ব ও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করার ফলে করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার ঘটলে তার দায়-দায়িত্ব নোটিশ গ্রহীতাদের বহন করতে হবে। দায়-দায়িত্ব নোটিশে বলা হয়, এই গাদাগাদি সরকারি বিধি লঙ্ঘনের প্রতিষ্ঠাতা ও তার পরিবার আক্রান্ত হলে তার দায়ভার এবং ক্ষতিপূরণ নোটিশ প্রাপ্তদের করতে হবে অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দেওয়ানী ও ফৌজদারী আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নোটিশে বলা হয়, গত ৮ আগস্ট অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান তার স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে অনন্যা ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো ব ১৩-১৫৫১) কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসেন। পরিবহন কর্তৃপক্ষ এজন্য একটি সিটের স্বাভাবিক ভাড়া ২২০ টাকার পরিবর্তে শতকরা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করে মোট তিনটি টিকিটের বাবদ একহাজার ৫০ টাকা নেয়। ৪১ সিটের ওই বাসটিতে ৪৪ জন যাত্রী বহন করা হয়।