ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খুলনা সিটি নির্বাচন : প্রচার উৎসব শেষ কাল ভোট

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ মে ২০১৮
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে রবিবার মধ্যরাতে প্রচারণা শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৫ মে) ভোটগ্রহণ শুরু হবে। গতকাল রবিবার দুপুর থেকে টহল শুরু করে বিজিবি। নির্বাচনের জন্য ১৬ প্লাটুনে মোট ৬৪০ জন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি খুলনা সদর দফতরের টুআইসি মেজর হান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রবিবার প্রচারণার শেষ দিনে খ- খ- আকারে মিছিল করেছে প্রার্থীদের সমর্থকরা। এদিকে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেনের নেতৃত্বে ২৯ সদস্যের নির্বাচনি পর্যবেক্ষক টিম রবিবার দুপুর থেকে পর্যবেক্ষণ কাজ শুরু করে। সোমবার দুপুর থেকে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স বিতরণ করা হবে। ১ হাজার ৫৬১টি ভোটকক্ষের প্রতিটির জন্য একটি করে ও মোট ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের প্রত্যেকটির জন্য অতিরিক্ত হিসেব আরও একটি করে ব্যালট বাক্স বরাদ্দ রাখা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে আজ দুপুরে এগুলো বিতরণ করা হবে। প্রিজাইডিং অফিসাররা এসব সামগ্রী গ্রহণ করবেন। নির্বাচনে মোট পাঁচজন মেয়র প্রার্থী, সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। মোট ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি ও ভোটকক্ষ ১ হাজার ৫৬১টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯২ জন। নির্বাচনের দিন ২৮৯ কেন্দ্রে ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৬০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ৩২টি টিমে বিজিবির সদস্যরা ও ৩১টি টিম র‌্যাবের সদস্যরা টহল দেবেন। ২৫৪টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের প্রতিটিতে আনসার ও পুলিশ মিলিয়ে ১৪ জন এবং বাকি কেন্দ্রগুলোতে ১২ জন করে সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে রবিবার রাতে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে বিএনপি সরে দাঁড়াবে না। নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খুলনা শহরব্যাপী পুলিশের ধরপাকড় অভিযান চলছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা-ভাঙচুর হচ্ছে। সারা শহরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।’ নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘সরকারের হস্তক্ষেপে কোনও নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না— কেসিসির নির্বাচনেও সেটা প্রমাণ হচ্ছে। এত কিছুর পরও বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে না। কারণ, সরকারের আসল চেহারা জনগণের কাছে তুলে ধরার এটাই হচ্ছে সর্বোচ্চ সুযোগ। এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে জনগণ আওয়ামী লীগের প্রকৃত চরিত্র উপলব্ধি করছে এবং করবে। জনগণ সঠিক রায় দিয়ে এর জবাব দিতে পারবে— যদি নির্বাচন সুষ্ঠু হয় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবশে বজায় থাকে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

খুলনা সিটি নির্বাচন : প্রচার উৎসব শেষ কাল ভোট

আপলোড টাইম : ১০:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ মে ২০১৮

সমীকরণ ডেস্ক: খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে রবিবার মধ্যরাতে প্রচারণা শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৫ মে) ভোটগ্রহণ শুরু হবে। গতকাল রবিবার দুপুর থেকে টহল শুরু করে বিজিবি। নির্বাচনের জন্য ১৬ প্লাটুনে মোট ৬৪০ জন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি খুলনা সদর দফতরের টুআইসি মেজর হান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রবিবার প্রচারণার শেষ দিনে খ- খ- আকারে মিছিল করেছে প্রার্থীদের সমর্থকরা। এদিকে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেনের নেতৃত্বে ২৯ সদস্যের নির্বাচনি পর্যবেক্ষক টিম রবিবার দুপুর থেকে পর্যবেক্ষণ কাজ শুরু করে। সোমবার দুপুর থেকে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্স বিতরণ করা হবে। ১ হাজার ৫৬১টি ভোটকক্ষের প্রতিটির জন্য একটি করে ও মোট ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের প্রত্যেকটির জন্য অতিরিক্ত হিসেব আরও একটি করে ব্যালট বাক্স বরাদ্দ রাখা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে আজ দুপুরে এগুলো বিতরণ করা হবে। প্রিজাইডিং অফিসাররা এসব সামগ্রী গ্রহণ করবেন। নির্বাচনে মোট পাঁচজন মেয়র প্রার্থী, সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। মোট ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি ও ভোটকক্ষ ১ হাজার ৫৬১টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯২ জন। নির্বাচনের দিন ২৮৯ কেন্দ্রে ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৬০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ৩২টি টিমে বিজিবির সদস্যরা ও ৩১টি টিম র‌্যাবের সদস্যরা টহল দেবেন। ২৫৪টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের প্রতিটিতে আনসার ও পুলিশ মিলিয়ে ১৪ জন এবং বাকি কেন্দ্রগুলোতে ১২ জন করে সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে রবিবার রাতে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে বিএনপি সরে দাঁড়াবে না। নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খুলনা শহরব্যাপী পুলিশের ধরপাকড় অভিযান চলছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা-ভাঙচুর হচ্ছে। সারা শহরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।’ নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘সরকারের হস্তক্ষেপে কোনও নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না— কেসিসির নির্বাচনেও সেটা প্রমাণ হচ্ছে। এত কিছুর পরও বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে না। কারণ, সরকারের আসল চেহারা জনগণের কাছে তুলে ধরার এটাই হচ্ছে সর্বোচ্চ সুযোগ। এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে জনগণ আওয়ামী লীগের প্রকৃত চরিত্র উপলব্ধি করছে এবং করবে। জনগণ সঠিক রায় দিয়ে এর জবাব দিতে পারবে— যদি নির্বাচন সুষ্ঠু হয় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবশে বজায় থাকে।’