ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খালেদার জামিন বহাল : তবে এখনই মুক্তি মিলছে না

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মে ২০১৮
  • / ৩১৫ বার পড়া হয়েছে

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা : ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
সমীকরণ ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাদ-প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে, এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রইলো। একই সঙ্গে এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের করা আপিল আগামী ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত চার বিচারপতির আপিল বিভাগ গতকাল বুধবার সকালে এ রায় দেন। তবে, জামিন বহাল থাকলেও খালেদা জিয়া এখনই কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানান উভয়পক্ষের আইনজীবীরা। এদিকে কারামুক্তির জন্য কয়টি মামলায় খালেদা জিয়াকে জামিন নিতে হবে সে বিষয়ে তার আইনজীবীদের কাছ থেকে সম্মিলিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আইনজীবীরা জানান, অন্তত ছয় থেকে সাতটি মামলায় খালেদা জিয়াকে জামিন নিতে হবে। এরমধ্যে কুমিল্লায় দুটি মামলায় (বাসে পেট্রল বোমা মেরে মানুষ হত্যা ও নাশকতার মামলা) ইতিমধ্যে খালেদা জিয়াকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে বলে জানান তার আইনজীবীরা। খালেদা জিয়ার আইনজীবী মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নি¤œ আদালতে বেশকিছু মামলা আছে। সেইসব মামলাগুলোতে জামিন পেলেই তিনি কারামুক্তি পাবেন। এজন্য তারা আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, খালেদা জিয়াকে কারামুক্তি পেতে হলে অন্য সবগুলো মামলাতেও জামিন পেতে হবে। তিনি আরো বলেছেন, আপিল শুনানির ব্যাপারে আমরা প্রস্তুতি নেব এবং সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত হবো। এর আগে গত ১৫ই মে খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে দিন ধার্য ছিল। ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতের অনুমতি নিয়ে অধিকতর শুনানি করেন। পরে রায়ের জন্য বুধবার দিন ধার্য রাখেন আপিল বিভাগ। এর আগে গত ৮ ও ৯ই মে উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর এবং অন্য আসামিদের ১০ বছর করে কারাদ- দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। পাশাপাশি আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা অর্থদ- দেয়া হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

খালেদার জামিন বহাল : তবে এখনই মুক্তি মিলছে না

আপলোড টাইম : ১০:১৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মে ২০১৮

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা : ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
সমীকরণ ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাদ-প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে, এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রইলো। একই সঙ্গে এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের করা আপিল আগামী ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত চার বিচারপতির আপিল বিভাগ গতকাল বুধবার সকালে এ রায় দেন। তবে, জামিন বহাল থাকলেও খালেদা জিয়া এখনই কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানান উভয়পক্ষের আইনজীবীরা। এদিকে কারামুক্তির জন্য কয়টি মামলায় খালেদা জিয়াকে জামিন নিতে হবে সে বিষয়ে তার আইনজীবীদের কাছ থেকে সম্মিলিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আইনজীবীরা জানান, অন্তত ছয় থেকে সাতটি মামলায় খালেদা জিয়াকে জামিন নিতে হবে। এরমধ্যে কুমিল্লায় দুটি মামলায় (বাসে পেট্রল বোমা মেরে মানুষ হত্যা ও নাশকতার মামলা) ইতিমধ্যে খালেদা জিয়াকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে বলে জানান তার আইনজীবীরা। খালেদা জিয়ার আইনজীবী মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নি¤œ আদালতে বেশকিছু মামলা আছে। সেইসব মামলাগুলোতে জামিন পেলেই তিনি কারামুক্তি পাবেন। এজন্য তারা আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, খালেদা জিয়াকে কারামুক্তি পেতে হলে অন্য সবগুলো মামলাতেও জামিন পেতে হবে। তিনি আরো বলেছেন, আপিল শুনানির ব্যাপারে আমরা প্রস্তুতি নেব এবং সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত হবো। এর আগে গত ১৫ই মে খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে দিন ধার্য ছিল। ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতের অনুমতি নিয়ে অধিকতর শুনানি করেন। পরে রায়ের জন্য বুধবার দিন ধার্য রাখেন আপিল বিভাগ। এর আগে গত ৮ ও ৯ই মে উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর এবং অন্য আসামিদের ১০ বছর করে কারাদ- দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। পাশাপাশি আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা অর্থদ- দেয়া হয়।