ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পুষ্টিমান উন্নয়নে এই প্রশিক্ষণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
  • / ৫৩ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গায় কন্দাল ফসল আবাদবিষয়ক প্রশিক্ষণে কৃষি কর্মকর্তা সোহেল রানা
আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী কন্দাল ফসল আবাদবিষয়ক প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গত ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ গতকাল (৬ মে) বৃহস্পতিবার শেষ হয়। প্রশিক্ষণে উপজেলার ১৫০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যে সম্পর্কে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে কন্দাল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের বর্ধিত জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পুষ্টিমান উন্নয়ন করা। তা ছাড়া, পরিবর্তিত জলবায়ুর উপযোগী নতুন ফসল চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তোলা এ প্রকল্পের আরেকটি উদ্দেশ্য।
জানা গেছে, কন্দালের উন্নয়নে খরচ হচ্ছে দেড়শ কোটি টাকা। ধান ও গমের পরেই দেশের কৃষিতে কন্দাল জাতীয় ফসলের অবস্থান। আলু, মিষ্টি আলু, ওলকচু, মুখীকচু, পানিকচু, লতিকচু, কাসাভা, গাছ আলুসহ অন্যান্য কন্দাল জাতীয় ফসলের উন্নয়নে ১৫৬ কোটি ৩১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা খরচ করবে সরকার। কন্দাল ফসল চাষের উপযোগী মাটি, জলবায়ু ও চাষের চাহিদার ভিত্তিতে দেশের ৮ বিভাগের ৬০ জেলার ১৫০টি উপজেলাকে এই প্রকল্পের এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণ নিতে আসা কৃষক আজিবর রহমান জানান, ‘প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা কন্দাল ফসল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। ফলে আগের চেয়ে বেশি কন্দাল ফসল উৎপাদন করতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, কন্দল ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে সহজেই স্বাবলম্বী হওয়া যাবে। এটা বেশ লাভজনক ফসল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পুষ্টিমান উন্নয়নে এই প্রশিক্ষণ

আপলোড টাইম : ০৯:১৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

আলমডাঙ্গায় কন্দাল ফসল আবাদবিষয়ক প্রশিক্ষণে কৃষি কর্মকর্তা সোহেল রানা
আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী কন্দাল ফসল আবাদবিষয়ক প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গত ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ গতকাল (৬ মে) বৃহস্পতিবার শেষ হয়। প্রশিক্ষণে উপজেলার ১৫০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যে সম্পর্কে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে কন্দাল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের বর্ধিত জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পুষ্টিমান উন্নয়ন করা। তা ছাড়া, পরিবর্তিত জলবায়ুর উপযোগী নতুন ফসল চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তোলা এ প্রকল্পের আরেকটি উদ্দেশ্য।
জানা গেছে, কন্দালের উন্নয়নে খরচ হচ্ছে দেড়শ কোটি টাকা। ধান ও গমের পরেই দেশের কৃষিতে কন্দাল জাতীয় ফসলের অবস্থান। আলু, মিষ্টি আলু, ওলকচু, মুখীকচু, পানিকচু, লতিকচু, কাসাভা, গাছ আলুসহ অন্যান্য কন্দাল জাতীয় ফসলের উন্নয়নে ১৫৬ কোটি ৩১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা খরচ করবে সরকার। কন্দাল ফসল চাষের উপযোগী মাটি, জলবায়ু ও চাষের চাহিদার ভিত্তিতে দেশের ৮ বিভাগের ৬০ জেলার ১৫০টি উপজেলাকে এই প্রকল্পের এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণ নিতে আসা কৃষক আজিবর রহমান জানান, ‘প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা কন্দাল ফসল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। ফলে আগের চেয়ে বেশি কন্দাল ফসল উৎপাদন করতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, কন্দল ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে সহজেই স্বাবলম্বী হওয়া যাবে। এটা বেশ লাভজনক ফসল।