ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খাদ্যগুদামে পুরোনো চাল, গুদাম সিলগালা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯
  • / ৫৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাদ্যগুদামে পুরোনো চাল রাখা হয়েছে, এমন অভিযোগে একটি গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। গত সোমবার ওই গুদামের খামাল থেকে চালের নমুনা নিয়ে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় গুদামটি সিলগালা করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াশীমুল বারী। সিলগালা করা গুদামে ৫০৬ দশমিক ৬৬০ মেট্রিক টন চাল রয়েছে।
এদিকে গত ১৬ মে থেকে খাদ্য অধিদপ্তর সারা দেশে অভ্যন্তরীণ বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করে। বাজার দাম স্থিতিশীল ও কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত এবং আপদকালীন খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলা করার লক্ষ্যে মূলত চাল সংগ্রহ কর্মসূচি চালু করা হয়। প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দরে সরকার সরাসরি মিলারদের কাছ থেকে চাল ক্রয় করছে।
এবার জেলার চার উপজেলা থেকে ৬ হাজার ৪৯০ টন চাল সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার ১৮৫টি হাস্কিং ও ৩টি অটোমেটিক চালকলের মালিকেরা এ চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা ২০১৭ অনুসারে চাল সরবরাহের শর্ত থাকলেও তা মানা হচ্ছে কি না, এ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। যেখানে উল্লেখ রয়েছে, চুক্তিবদ্ধ মিলার বাজার থেকে ওই (চলতি) মৌসুমে উৎপাদিত ধান ক্রয় করে তাঁর মিলে ছাঁটাই করে বিনির্দেশ মানের চাল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংযুক্ত সংগ্রহকেন্দ্রে সরবরাহ করবেন। এ ছাড়াও খাদ্যশস্যের বিনির্দেশে বলা আছে, সরবরাহকৃত চালের আর্দ্রতা থাকতে হবে শতকরা ১৪ ভাগ, বড় ভাঙ্গা দানা শতকরা ৬, ছোট ভাঙ্গা দানা শতকরা ২, ভিন্ন জাতের মিশ্রণ শতকরা ৮, বিনষ্ট দানা/ মরা দানা/ বিবর্ণ দানা শতকরা ১ ভাগ এবং অন্যান্য পদার্থ স্বাভাবিক ও উত্তম ছাঁটাই নিশ্চিত করতে হবে। অথচ বেশ কিছু মিলার বিনির্দেশ উপেক্ষা করে নি¤œমানের পুরোনো চাল খাদ্যগুদামে সরবরাহ করেছেন বলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রের অভিযোগ আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে যান সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াশীমুল বারী। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সদর উপজেলার খাদ্যগুদামের ১১ নম্বর গুদাম সিলগালা করেন তিনি। একই সঙ্গে মান যাচাইয়ের জন্য নমুনা চাল সংগ্রহ করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাবুল আলম বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কাছে কেউ অভিযোগ করেছে যে আমাদের গুদামে পুরোনো চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এ কারণে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ১১ নম্বর গুদাম থেকে নমুনা চাল নিয়ে সেটি সিলগালা করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে অধিকাংশই হাস্কিং মিল থেকে চাল সরবরাহ করা হয়। যে কারণে চাল দেখতে কিছুটা বিবর্ণ ও পুরোনো মনে হয়। আসলে এ চাল চলতি সংগ্রহ মৌসুমেই মজুত করা, পুরোনো নয়।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

খাদ্যগুদামে পুরোনো চাল, গুদাম সিলগালা

আপলোড টাইম : ১০:০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাদ্যগুদামে পুরোনো চাল রাখা হয়েছে, এমন অভিযোগে একটি গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। গত সোমবার ওই গুদামের খামাল থেকে চালের নমুনা নিয়ে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় গুদামটি সিলগালা করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াশীমুল বারী। সিলগালা করা গুদামে ৫০৬ দশমিক ৬৬০ মেট্রিক টন চাল রয়েছে।
এদিকে গত ১৬ মে থেকে খাদ্য অধিদপ্তর সারা দেশে অভ্যন্তরীণ বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করে। বাজার দাম স্থিতিশীল ও কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত এবং আপদকালীন খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলা করার লক্ষ্যে মূলত চাল সংগ্রহ কর্মসূচি চালু করা হয়। প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দরে সরকার সরাসরি মিলারদের কাছ থেকে চাল ক্রয় করছে।
এবার জেলার চার উপজেলা থেকে ৬ হাজার ৪৯০ টন চাল সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার ১৮৫টি হাস্কিং ও ৩টি অটোমেটিক চালকলের মালিকেরা এ চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা ২০১৭ অনুসারে চাল সরবরাহের শর্ত থাকলেও তা মানা হচ্ছে কি না, এ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। যেখানে উল্লেখ রয়েছে, চুক্তিবদ্ধ মিলার বাজার থেকে ওই (চলতি) মৌসুমে উৎপাদিত ধান ক্রয় করে তাঁর মিলে ছাঁটাই করে বিনির্দেশ মানের চাল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংযুক্ত সংগ্রহকেন্দ্রে সরবরাহ করবেন। এ ছাড়াও খাদ্যশস্যের বিনির্দেশে বলা আছে, সরবরাহকৃত চালের আর্দ্রতা থাকতে হবে শতকরা ১৪ ভাগ, বড় ভাঙ্গা দানা শতকরা ৬, ছোট ভাঙ্গা দানা শতকরা ২, ভিন্ন জাতের মিশ্রণ শতকরা ৮, বিনষ্ট দানা/ মরা দানা/ বিবর্ণ দানা শতকরা ১ ভাগ এবং অন্যান্য পদার্থ স্বাভাবিক ও উত্তম ছাঁটাই নিশ্চিত করতে হবে। অথচ বেশ কিছু মিলার বিনির্দেশ উপেক্ষা করে নি¤œমানের পুরোনো চাল খাদ্যগুদামে সরবরাহ করেছেন বলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রের অভিযোগ আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে যান সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াশীমুল বারী। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সদর উপজেলার খাদ্যগুদামের ১১ নম্বর গুদাম সিলগালা করেন তিনি। একই সঙ্গে মান যাচাইয়ের জন্য নমুনা চাল সংগ্রহ করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাবুল আলম বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কাছে কেউ অভিযোগ করেছে যে আমাদের গুদামে পুরোনো চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এ কারণে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ১১ নম্বর গুদাম থেকে নমুনা চাল নিয়ে সেটি সিলগালা করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে অধিকাংশই হাস্কিং মিল থেকে চাল সরবরাহ করা হয়। যে কারণে চাল দেখতে কিছুটা বিবর্ণ ও পুরোনো মনে হয়। আসলে এ চাল চলতি সংগ্রহ মৌসুমেই মজুত করা, পুরোনো নয়।’