ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালতে: হাইকোর্ট
- আপলোড টাইম : ১১:০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭
- / ৪৫০ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও এর মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে বলে মন্তব্য এসেছে উচ্চ আদালত থেকে। এমনকি নিজ স্বার্থ রক্ষা ও ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা আইনটির অপব্যহার করছেন বলেও মন্তব্য করেছে আদালত। সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনের সঙ্গে হাতাহাতি এবং পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজার ঘটনায় লক্ষীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের বিষয়ে আদেশের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্টের এই মন্তব্য আসে। হাতাহাতির ঘটনায় জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে গতকাল বুধবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ বেঞ্চ আদেশ দেয়। এক রিটের আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত মঙ্গলবার আদালত সাবেক ঘটনার ব্যাখ্যা শুনতে শেখ মুর্শিদুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে তলব করে। সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন সালাহ উদ্দিন শরীফকেও আদালতে থাকতে বলা হয়। বুধবার শেখ মুর্শিদুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষামা প্রার্থণা করলে আদালত তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকেও অব্যাহতি দেয়। আদালতে লক্ষীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল বাসেত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন সাঈদ আহমেদ রাজা। আর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের পক্ষে শুনানি করেন ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। এছাড়া শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস এবং রিটকারী আইনজীবী হাসান এম এস আজিম।
হাতাহাতির পর সাজা দেওয়ার ঘটনাটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রকৃষ্ট উদহারণ উল্লেখ করে আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলে, “একটি সভ্য সমাজে সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন কর্মকা- সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত ইতিপূর্বে দেখা গিয়েছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য প্রণীত আইন অমান্য করে নিজ ইচ্ছামত ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।