ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাসের মাথায় সুচির কারাদণ্ড

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে

 

সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দী মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সুচিকে চার বছরের কারাদ- দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। গতকাল সোমবার জান্তাশাসিত দেশটির একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। কার্যত সরকারের শীর্ষ পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাসের মাথায় তার বিরুদ্ধে দেয়া প্রথম কোন রায়ে এই কারাদ-াদেশ দেয়া হলো।

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙ্গার দায়ে সুচিকে এই কারাদ- দেয়া হয়েছে। মিয়ানমারের আইন অনুযায়ী এই অভিযোগে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে যথাক্রমে সর্বোচ্চ দুই ও তিন বছরের কারাদ- দেয়ার বিধান রয়েছে। এদিকে রায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সোমবার ঘোষণা করা এই রায়ে সুচির পাশাপাশি মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট এবং সহ-আসামি উইন মিন্টকেও একই মেয়াদে কারাদ- দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ৩০ নবেম্বর এই রায় ঘোষণার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়। সেদিন সুচির বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও বাড়তি আরেক ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দী করা হয় গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সুচি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা হারানোর পর মিয়ানমারের সাবেক শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম কোন মামলার রায়। অভ্যুত্থানের পর ৭৬ বছর বয়সী গৃহবন্দী সুচির বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দায়ের করে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার। মামলাগুলোতে যেসব অভিযোগে করা হয়েছে তার মধ্যে, রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচার, নিয়মবহির্ভূতভাবে ওয়াকি টকি রাখা ও ব্যবহার, ক্ষমতায় থাকাকালে ঘুষ গ্রহণ, নিজের দাতব্যসংস্থার নামে অবৈধভাবে ভূমি অধিগ্রহণ ও করোনা পরিস্থিতি সামাল দেয়ায় গাফিলতিসহ উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙ্গার বিষয়টি রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত হলেও মূলত গত জুন থেকে রাজধানী নেপিডোর বিশেষ সামরিক আদালতে এসব মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। রয়টার্স বলছে, এসব মামলায় সুচির সর্বোচ্চ শাস্তি হলে মোট কারাদ-ের মেয়াদ ১০০ বছর ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী সুচি এবং দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট তাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাসের মাথায় সুচির কারাদণ্ড

আপলোড টাইম : ১০:৩৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

 

সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দী মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সুচিকে চার বছরের কারাদ- দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। গতকাল সোমবার জান্তাশাসিত দেশটির একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। কার্যত সরকারের শীর্ষ পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাসের মাথায় তার বিরুদ্ধে দেয়া প্রথম কোন রায়ে এই কারাদ-াদেশ দেয়া হলো।

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙ্গার দায়ে সুচিকে এই কারাদ- দেয়া হয়েছে। মিয়ানমারের আইন অনুযায়ী এই অভিযোগে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে যথাক্রমে সর্বোচ্চ দুই ও তিন বছরের কারাদ- দেয়ার বিধান রয়েছে। এদিকে রায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সোমবার ঘোষণা করা এই রায়ে সুচির পাশাপাশি মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট এবং সহ-আসামি উইন মিন্টকেও একই মেয়াদে কারাদ- দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ৩০ নবেম্বর এই রায় ঘোষণার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়। সেদিন সুচির বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও বাড়তি আরেক ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দী করা হয় গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সুচি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা হারানোর পর মিয়ানমারের সাবেক শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম কোন মামলার রায়। অভ্যুত্থানের পর ৭৬ বছর বয়সী গৃহবন্দী সুচির বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দায়ের করে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার। মামলাগুলোতে যেসব অভিযোগে করা হয়েছে তার মধ্যে, রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচার, নিয়মবহির্ভূতভাবে ওয়াকি টকি রাখা ও ব্যবহার, ক্ষমতায় থাকাকালে ঘুষ গ্রহণ, নিজের দাতব্যসংস্থার নামে অবৈধভাবে ভূমি অধিগ্রহণ ও করোনা পরিস্থিতি সামাল দেয়ায় গাফিলতিসহ উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙ্গার বিষয়টি রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত হলেও মূলত গত জুন থেকে রাজধানী নেপিডোর বিশেষ সামরিক আদালতে এসব মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। রয়টার্স বলছে, এসব মামলায় সুচির সর্বোচ্চ শাস্তি হলে মোট কারাদ-ের মেয়াদ ১০০ বছর ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী সুচি এবং দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট তাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।