ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ক্ষতিপূরণ পেতে ভূমি মালিকদের গণস্বাক্ষর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২০
  • / ১৯৬ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর মুজিবনগরে সরস্বতী খাল পুনঃখননের উদ্যোগ
প্রতিবেদক, মুজিবনগর:
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সরস্বতী খাল পুনঃখননকে স্বাগত জানিয়েছেন উপজেলার সোনাপুর, নাজিরাকোনা, বল্লভপুর, ভবেরপাড়া, কেদারগঞ্জ ও মানিকনগর গ্রামবাসী। তবে ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় প্রকৃত ভূমি মালিকগণেরা যাতে তাঁদের নায্য অধিকার হতে বঞ্চিত না হন সে জন্য সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে গণস্বাক্ষরযুক্ত আবেদন পাঠিয়েছেন গ্রামবাসী।
প্রায় ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘের সরস্বতী খাল মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান হতে কেদারগঞ্জ বাজারের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কালের বিবর্তনে খালটি ভরাট হয়ে আবাদি কৃষি জমিতে পরিণত হয়। বহুদিন ধরে এ জমি এলাকার অনেকে বন্দোবস্ত নিয়ে সিএস ও এসএ রেকর্ডে লিপিবদ্ধ করে সরকারের সেরেস্তায় খাজনা জমা দিয়ে ভোগদখল করে আসছিলেন। গত ১৯ এপ্রিল সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এই সরস্বতী খালের পুনঃখনন উদ্বোধন করেছেন। এতে ভূমি মালিকগণকে কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এমনকি বিধি সম্মতভাবে অধিগ্রহণ না করে খালটি পুনঃখনন করা হচ্ছে বলেও দাবি জমির মালিকদের। এতে জমির মালিকগণ পরিবার-পরিজন নিয়ে ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে ভবরপাড়া গ্রামের আবুল হোসেন, ছমিরউদ্দিন মোল্লা ও শহিদুল মোল্লা জানান, সোনাপুর মৌজায় সিএস ২৫২ ও ১২১ খতিয়ানে ২ দশমিক ৫০ একর জমি আমাদের দাদা মৃত বশির উদ্দিন মোল্লার নামে, একই মৌজায় এসএ ৩০৬ ও ১৩২ খতিয়ানে ওই জমি আমাদের পিতা মৃত মোবারক উদ্দীন মোল্লার নামে এবং আরএস ২৯ নম্বর সোনাপুর মৌজায় ৩৮১ খতিয়ানে ২১৯২, ২২৬৯ ও ২২৭০ দাগে ওই জমি আমাদের নামে রেকর্ড করা। ওই জমিতে পুকুর খনন করে স্থায়ী পানির ব্যবস্থা করে মাছ চাষ করার পাশাপাশি পুকুরপাড়ে ফলদ ও বনজ গাছ লাগিয়ে ভোগ করে আসছি আমরা। এমনকি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, মুজিবনগর শাখা থেকে ১০ লাখ টাকা ওই জমির বিপরীতে লোন করেছি। যার সিসি নং-১১, তারিখ-১৪/০৩/২০১৩। ওই জমির ক্ষতিপূরণ না দিয়ে অধিগ্রহণ করা হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
গ্রামবাসী জানান, সরস্বতী খাল খননের পূর্বে ভূমি মালিকগণ তাদের দাবি আদায়ে সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে গণস্বাক্ষরযুক্ত আবেদন পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনি বলেন, ‘অভিযোগ আমি পাইনি। অভিযোগ পেলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ‘স্থানীয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যে টুকু খাল, শুধু সে টুকুই খনন করব। আমরা অন্যের জমিতে যাব না। তারপরও কারও পূর্বপুরুষেরা সে সময় যদি খালের জমি দিয়ে থাকেন, তবে তা জনস্বার্থেই দিয়েছিলেন, এটা আমার স্বার্থে নয়। ওই এলাকার জনগণের স্বার্থে খাল পুনঃখনন করা হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ক্ষতিপূরণ পেতে ভূমি মালিকদের গণস্বাক্ষর

আপলোড টাইম : ১০:৩১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২০

মেহেরপুর মুজিবনগরে সরস্বতী খাল পুনঃখননের উদ্যোগ
প্রতিবেদক, মুজিবনগর:
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সরস্বতী খাল পুনঃখননকে স্বাগত জানিয়েছেন উপজেলার সোনাপুর, নাজিরাকোনা, বল্লভপুর, ভবেরপাড়া, কেদারগঞ্জ ও মানিকনগর গ্রামবাসী। তবে ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় প্রকৃত ভূমি মালিকগণেরা যাতে তাঁদের নায্য অধিকার হতে বঞ্চিত না হন সে জন্য সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে গণস্বাক্ষরযুক্ত আবেদন পাঠিয়েছেন গ্রামবাসী।
প্রায় ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘের সরস্বতী খাল মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান হতে কেদারগঞ্জ বাজারের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কালের বিবর্তনে খালটি ভরাট হয়ে আবাদি কৃষি জমিতে পরিণত হয়। বহুদিন ধরে এ জমি এলাকার অনেকে বন্দোবস্ত নিয়ে সিএস ও এসএ রেকর্ডে লিপিবদ্ধ করে সরকারের সেরেস্তায় খাজনা জমা দিয়ে ভোগদখল করে আসছিলেন। গত ১৯ এপ্রিল সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এই সরস্বতী খালের পুনঃখনন উদ্বোধন করেছেন। এতে ভূমি মালিকগণকে কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এমনকি বিধি সম্মতভাবে অধিগ্রহণ না করে খালটি পুনঃখনন করা হচ্ছে বলেও দাবি জমির মালিকদের। এতে জমির মালিকগণ পরিবার-পরিজন নিয়ে ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে ভবরপাড়া গ্রামের আবুল হোসেন, ছমিরউদ্দিন মোল্লা ও শহিদুল মোল্লা জানান, সোনাপুর মৌজায় সিএস ২৫২ ও ১২১ খতিয়ানে ২ দশমিক ৫০ একর জমি আমাদের দাদা মৃত বশির উদ্দিন মোল্লার নামে, একই মৌজায় এসএ ৩০৬ ও ১৩২ খতিয়ানে ওই জমি আমাদের পিতা মৃত মোবারক উদ্দীন মোল্লার নামে এবং আরএস ২৯ নম্বর সোনাপুর মৌজায় ৩৮১ খতিয়ানে ২১৯২, ২২৬৯ ও ২২৭০ দাগে ওই জমি আমাদের নামে রেকর্ড করা। ওই জমিতে পুকুর খনন করে স্থায়ী পানির ব্যবস্থা করে মাছ চাষ করার পাশাপাশি পুকুরপাড়ে ফলদ ও বনজ গাছ লাগিয়ে ভোগ করে আসছি আমরা। এমনকি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, মুজিবনগর শাখা থেকে ১০ লাখ টাকা ওই জমির বিপরীতে লোন করেছি। যার সিসি নং-১১, তারিখ-১৪/০৩/২০১৩। ওই জমির ক্ষতিপূরণ না দিয়ে অধিগ্রহণ করা হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
গ্রামবাসী জানান, সরস্বতী খাল খননের পূর্বে ভূমি মালিকগণ তাদের দাবি আদায়ে সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে গণস্বাক্ষরযুক্ত আবেদন পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনি বলেন, ‘অভিযোগ আমি পাইনি। অভিযোগ পেলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ‘স্থানীয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যে টুকু খাল, শুধু সে টুকুই খনন করব। আমরা অন্যের জমিতে যাব না। তারপরও কারও পূর্বপুরুষেরা সে সময় যদি খালের জমি দিয়ে থাকেন, তবে তা জনস্বার্থেই দিয়েছিলেন, এটা আমার স্বার্থে নয়। ওই এলাকার জনগণের স্বার্থে খাল পুনঃখনন করা হবে।’