ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে নয়-ছয় : থানায় অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদার দলিয়ারপুরে বিষ প্রয়োগে এক একর জমির ধান বিনষ্ট!
নিজস্ব প্রতিবেদক, দামুড়হুদা :
দামুড়হুদার দলিয়ারপুরে অতিরিক্ত মাত্রায় আগাছানাশক ও কীটনাশক প্রয়োগ করে এক একর জমির বোরো ধানের ক্ষেত ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত শনিবার (২১ আগস্ট) রাতে দলিয়ারপুর স্কুলপাড়ার কৃষক আবু সাঈদ ওরফে সাইদুর তার ক্ষেতের ধান বিনষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার দামুড়হুদা মডেল থানায় হাজির হয়ে আবু সাঈদ ওরফে সাইদুর একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ডাবলু ও নাসির উদ্দিনের ছেলে রাফিকের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কৃষক আবু সাঈদের সঙ্গে একই এলাকার ডাবলু ও তার চাচাত ভাই রাফিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে কয়েকদিন আগে আবু সাঈদের এক একর জমির ধানে আগাছানাশক প্রয়োগ করে সমস্ত ধান নষ্ট করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত ওরাই আমাদের জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে। ধান নষ্ট করার প্রতিবাদ করতে গেলে অভিযুক্তরা আমাদেরকে মারধর করে। এ ঘটনার একটি ভিডিও আমাদের কাছে রয়েছে।
এদিকে, ঘটনাটি জানাজানি হলে একটি গ্রাম্য সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে ডাবলু ও রাফিক নিজেদের দোষ স্বীকার করে। কৃষক আবু সাঈদ তার ক্ষতির পরিমাণ দুই লাখ টাকা দাবি করলে, ডাবলু ও রফিক এক লাখ বিশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজিও হন। এই ক্ষতিপূরণে মিমাংসা হলেও পরবর্তীতে ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে নয়-ছয় করতে থাকে ডাবলু ও রাফিক। পরবর্তীতে ক্ষতিপূরণ না পেয়ে কৃষক আবু সাঈদ দামুড়হুদা মডেল থানায় ডাবলু ও রাফিকের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব জানান, থানায় অভিযোগ হওয়ার পরে বুধবার দামুড়হুদা থানার ওসি স্যারের নির্দেশে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে যেয়ে দেখা যায় শৈলমারী বিলমাঠে প্রায় এক একর জমির ধান অতিরিক্ত আগাছানাশক বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করা হয়েছে বা পুড়িয়ে দেওয়ার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা সত্য। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা প্রকৃত অপরাধী কিনা সেটা তদন্তসাপেক্ষে বেরিয়ে আসবে।
এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘এবিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অন্যদিকে, ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ডাবলুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে নয়-ছয় : থানায় অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৮:৩৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১

দামুড়হুদার দলিয়ারপুরে বিষ প্রয়োগে এক একর জমির ধান বিনষ্ট!
নিজস্ব প্রতিবেদক, দামুড়হুদা :
দামুড়হুদার দলিয়ারপুরে অতিরিক্ত মাত্রায় আগাছানাশক ও কীটনাশক প্রয়োগ করে এক একর জমির বোরো ধানের ক্ষেত ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত শনিবার (২১ আগস্ট) রাতে দলিয়ারপুর স্কুলপাড়ার কৃষক আবু সাঈদ ওরফে সাইদুর তার ক্ষেতের ধান বিনষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার দামুড়হুদা মডেল থানায় হাজির হয়ে আবু সাঈদ ওরফে সাইদুর একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ডাবলু ও নাসির উদ্দিনের ছেলে রাফিকের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কৃষক আবু সাঈদের সঙ্গে একই এলাকার ডাবলু ও তার চাচাত ভাই রাফিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে কয়েকদিন আগে আবু সাঈদের এক একর জমির ধানে আগাছানাশক প্রয়োগ করে সমস্ত ধান নষ্ট করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত ওরাই আমাদের জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে। ধান নষ্ট করার প্রতিবাদ করতে গেলে অভিযুক্তরা আমাদেরকে মারধর করে। এ ঘটনার একটি ভিডিও আমাদের কাছে রয়েছে।
এদিকে, ঘটনাটি জানাজানি হলে একটি গ্রাম্য সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে ডাবলু ও রাফিক নিজেদের দোষ স্বীকার করে। কৃষক আবু সাঈদ তার ক্ষতির পরিমাণ দুই লাখ টাকা দাবি করলে, ডাবলু ও রফিক এক লাখ বিশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজিও হন। এই ক্ষতিপূরণে মিমাংসা হলেও পরবর্তীতে ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে নয়-ছয় করতে থাকে ডাবলু ও রাফিক। পরবর্তীতে ক্ষতিপূরণ না পেয়ে কৃষক আবু সাঈদ দামুড়হুদা মডেল থানায় ডাবলু ও রাফিকের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব জানান, থানায় অভিযোগ হওয়ার পরে বুধবার দামুড়হুদা থানার ওসি স্যারের নির্দেশে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে যেয়ে দেখা যায় শৈলমারী বিলমাঠে প্রায় এক একর জমির ধান অতিরিক্ত আগাছানাশক বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করা হয়েছে বা পুড়িয়ে দেওয়ার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা সত্য। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা প্রকৃত অপরাধী কিনা সেটা তদন্তসাপেক্ষে বেরিয়ে আসবে।
এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘এবিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অন্যদিকে, ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ডাবলুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।