ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ক্রোধ নিয়ে ৬ হাদিস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৪১ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন:
মানব প্রকৃতির ভেতর জন্ম থেকেই ক্রোধ বিদ্যমান। একে সমূলে উৎপাটন করা যায় না। হাত, দাত, নখ ইত্যাদি যেমন মানবের রক্ষার অস্ত্র, ক্রোধও তদ্রুপ একটি অস্ত্র। আর সেটা যথাস্থানে প্রয়োগ করলে পুণ্য অসদ্ব্যবহারে হয় পাপ। এর অন্যায় প্রয়োগ একটি ঘৃণ্য অপরাধ। অত্যধিক রাগ মানুষকে উদ্ধত এবং অহঙ্কারী করে তোলে। যার আদৌ রাগ নেই, তাকে ভীরু বলে। অত্যধিক রাগ ও রাগহীনতার মধ্যবর্তী পন্থার নাম বিনয় বা নম্রতা। এ চরিত্রের ভূষণ এবং সর্বোত্তম পন্থা। ১. হাদিস: হজরত সহল (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন ক্রোধ প্রকাশ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে তা হজম বা দমন করে, বিচারের দিন আল্লাহ সমস্ত সৃষ্ট জীবকে ডেকে সকলের সামনে তাকে যেকোন হুর পছন্দ করে নিতে বলবেন। (আবু দাউদ, তিরমিজী) ২. হাদিস: হজরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (স)-কে বলল, আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন, ক্রোধ কর । তিনি বারবার তা বলতে লাগলেন, রাগ কর না। ৩. হাদিস: হজরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, কুস্তিতে শক্তি নিহিত নয়। ক্রোধের সময় আত্মসংযমেই শক্তি নিহিত। (বোখারী, মুসলিম) ৪. হাদিস: হজরত আতিয়্যাহ বিন আরওয়াহ (রা) হতে বর্ণিত। হজরত (স) বলেছেন, ক্রোধ শয়তান হতে উৎপন্ন এবং শয়তান আগুন দ্বারা তৈরি। আগুন পানির সাহায্যে নির্বাপিত করা যায়। যখন তোমাদের কারও রাগ উপস্থিত হয়, সে যেন তখন অযু করে। (আবু দাউদ) ৫. হাদিস: হজরত আবুজর (রা) হতে বর্ণিত। হজরত (স) বলেছেন, যখন তোমাদের কারও রাগ হয়, দাঁড়ানো থাকলে সে যেন বসে পড়ে। যদি রাগের উপশম হয় তবে উত্তম। তা না হলে সে যেন শুয়ে পড়ে। (আহমদ, তিরমিজী) ৬. হাদিস: হজরত ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেন, ‘সৎ দ্বারা অসৎ দূর কর,’ এ আয়াত সম্বন্ধে বলেছেন: রাগে ধৈর্য এবং অসদ্ব্যবহারের সময় ক্ষমা কর। যখন তারা তা অবলম্বন করে, আল্লাহ তাদেরকে রক্ষা করবেন এবং তাদের শত্রুদের হেয় করবেন, যেন তারা পরম সুহূদ হয়। (বোখারী)

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ক্রোধ নিয়ে ৬ হাদিস

আপলোড টাইম : ১০:০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০

ধর্ম প্রতিবেদন:
মানব প্রকৃতির ভেতর জন্ম থেকেই ক্রোধ বিদ্যমান। একে সমূলে উৎপাটন করা যায় না। হাত, দাত, নখ ইত্যাদি যেমন মানবের রক্ষার অস্ত্র, ক্রোধও তদ্রুপ একটি অস্ত্র। আর সেটা যথাস্থানে প্রয়োগ করলে পুণ্য অসদ্ব্যবহারে হয় পাপ। এর অন্যায় প্রয়োগ একটি ঘৃণ্য অপরাধ। অত্যধিক রাগ মানুষকে উদ্ধত এবং অহঙ্কারী করে তোলে। যার আদৌ রাগ নেই, তাকে ভীরু বলে। অত্যধিক রাগ ও রাগহীনতার মধ্যবর্তী পন্থার নাম বিনয় বা নম্রতা। এ চরিত্রের ভূষণ এবং সর্বোত্তম পন্থা। ১. হাদিস: হজরত সহল (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন ক্রোধ প্রকাশ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে তা হজম বা দমন করে, বিচারের দিন আল্লাহ সমস্ত সৃষ্ট জীবকে ডেকে সকলের সামনে তাকে যেকোন হুর পছন্দ করে নিতে বলবেন। (আবু দাউদ, তিরমিজী) ২. হাদিস: হজরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (স)-কে বলল, আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন, ক্রোধ কর । তিনি বারবার তা বলতে লাগলেন, রাগ কর না। ৩. হাদিস: হজরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, কুস্তিতে শক্তি নিহিত নয়। ক্রোধের সময় আত্মসংযমেই শক্তি নিহিত। (বোখারী, মুসলিম) ৪. হাদিস: হজরত আতিয়্যাহ বিন আরওয়াহ (রা) হতে বর্ণিত। হজরত (স) বলেছেন, ক্রোধ শয়তান হতে উৎপন্ন এবং শয়তান আগুন দ্বারা তৈরি। আগুন পানির সাহায্যে নির্বাপিত করা যায়। যখন তোমাদের কারও রাগ উপস্থিত হয়, সে যেন তখন অযু করে। (আবু দাউদ) ৫. হাদিস: হজরত আবুজর (রা) হতে বর্ণিত। হজরত (স) বলেছেন, যখন তোমাদের কারও রাগ হয়, দাঁড়ানো থাকলে সে যেন বসে পড়ে। যদি রাগের উপশম হয় তবে উত্তম। তা না হলে সে যেন শুয়ে পড়ে। (আহমদ, তিরমিজী) ৬. হাদিস: হজরত ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেন, ‘সৎ দ্বারা অসৎ দূর কর,’ এ আয়াত সম্বন্ধে বলেছেন: রাগে ধৈর্য এবং অসদ্ব্যবহারের সময় ক্ষমা কর। যখন তারা তা অবলম্বন করে, আল্লাহ তাদেরকে রক্ষা করবেন এবং তাদের শত্রুদের হেয় করবেন, যেন তারা পরম সুহূদ হয়। (বোখারী)