ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কোটচাঁদপুরের ২৮ স্কুল প্রধান শিক্ষককে শোকজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৮
  • / ২৮৭ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: যথাসময়ে স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (স্লিপ) টাকার হিসাব না দেয়ায় ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ আক্তারুজ্জামান সাক্ষরিত একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। কোটচাঁদপুর উপজেলার মোট ৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে স্লিপভুক্ত প্রতিষ্ঠান ৬৬টি। এদের মধ্যে ২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এই নোটিশ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান (চঃ দঃ)। তথ্য নিয়ে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার স্লিপ প্রকল্পের আওতায় ৯০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৭৪টি বিদ্যালয় রয়েছে, যার মধ্যে স্লিপভুক্ত প্রতিষ্ঠান আছে ৬৬টি। গত জুনের আগে প্রতিটি বিদ্যালয়ে দেয়া হয় ৪০ হাজার টাকা। বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যৌথ এ্যাকাউন্টে এই টাকা দেয়া হলেও অধিকাংশ স্কুলে ভুয়া বিল ভাউচার জমা দিয়ে টাকা আত্মসাত করার গুরত্বর অভিযোগ ওঠে। স্লিপ প্রকল্পের বরাদ্দ ও খরচ করানো সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অগ্রিম হিসাবে উত্তোলিত স্লিপ গ্রান্ডের অর্থ কোনরুপ বিলম্ব না করে দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করতে হবে এবং চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে স্লিপ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু সরেজমিনে এই কাজের অনিয়ম পাওয়ায় এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের শোকজ করা হয়েছে বলে জানা যায়। কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান (চঃ দঃ) বলেন, চলতি বছরের জুনের মধ্যে স্লিপ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি ছুটি থাকায় কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০-৪০ ভাগ কাজ বাকি রয়েছে। কাজের অগ্রগতি নিয়ে শোকজ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরো বলেন, আগে জবাবদিহীতা ছিলনা। কিন্তু এখন হিসাব নেয়া হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কোটচাঁদপুরের ২৮ স্কুল প্রধান শিক্ষককে শোকজ

আপলোড টাইম : ১১:৫৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: যথাসময়ে স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (স্লিপ) টাকার হিসাব না দেয়ায় ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ আক্তারুজ্জামান সাক্ষরিত একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। কোটচাঁদপুর উপজেলার মোট ৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে স্লিপভুক্ত প্রতিষ্ঠান ৬৬টি। এদের মধ্যে ২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এই নোটিশ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান (চঃ দঃ)। তথ্য নিয়ে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার স্লিপ প্রকল্পের আওতায় ৯০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৭৪টি বিদ্যালয় রয়েছে, যার মধ্যে স্লিপভুক্ত প্রতিষ্ঠান আছে ৬৬টি। গত জুনের আগে প্রতিটি বিদ্যালয়ে দেয়া হয় ৪০ হাজার টাকা। বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যৌথ এ্যাকাউন্টে এই টাকা দেয়া হলেও অধিকাংশ স্কুলে ভুয়া বিল ভাউচার জমা দিয়ে টাকা আত্মসাত করার গুরত্বর অভিযোগ ওঠে। স্লিপ প্রকল্পের বরাদ্দ ও খরচ করানো সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অগ্রিম হিসাবে উত্তোলিত স্লিপ গ্রান্ডের অর্থ কোনরুপ বিলম্ব না করে দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করতে হবে এবং চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে স্লিপ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু সরেজমিনে এই কাজের অনিয়ম পাওয়ায় এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের শোকজ করা হয়েছে বলে জানা যায়। কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান (চঃ দঃ) বলেন, চলতি বছরের জুনের মধ্যে স্লিপ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি ছুটি থাকায় কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০-৪০ ভাগ কাজ বাকি রয়েছে। কাজের অগ্রগতি নিয়ে শোকজ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরো বলেন, আগে জবাবদিহীতা ছিলনা। কিন্তু এখন হিসাব নেয়া হচ্ছে।