ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কে এই মাওলানা সাদ : তাঁর যে সব বক্তব্য নিয়ে বিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ১১৪৩ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভী। ‘তাবলিগ করা ছাড়া কেউ বেহেশতে যেতে পারবে না’ বলে বক্তব্য দেওয়ায় পর সবচেয়ে বিতর্কিত হয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ১০০ বছর আগে ইসলামের দাওয়াতি কাজকে ত্বরান্বিত করতে মাওলানা ইলিয়াছ শাহ (রহ.) দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদ থেকে তাবলিগের কাজ শুরু করেন। মাওলানা ইলিয়াছের (রহ.) ছেলে মাওলানা হারুন (রহ.)। তারই ছেলে হলেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী। মাওলানা সাদ ১৯৬৭ সালের ভারতের দিল্লির নিকটবর্তী এলাকা মেওয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৪ সালে তাবলিগ জামায়াতের আমির মাওলানা জোবায়েরুল হাসান মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি তাবলিগ জামাতের বিশ্ব মারকাজ দিল্লির নিজামুদ্দিনে মুরব্বি হিসেবে পালন করছেন।
সাদ কান্ধলভীর যে সব বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক: সাদ কান্ধলভীর ২৬টি বক্তব্য নিয়ে চরম বিতর্ক চলছে যা প্রত্যাহারের জন্য দেওবন্দ মাদ্রাসা ও পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমদের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা হলেও তিনি সম্মত হননি। বিভিন্ন সময় দেয়া সাদ এর বিতর্কিত বক্তব্যের মধ্যে রয়েছে: ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখা হারাম। কারো পকেটে ক্যামেরা বিশিষ্ট মোবাইল রেখে নামাজ পড়লে তার নামাজ শুদ্ধ হবে না। যে উলামায়ে কেরাম ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখেন, তাঁরা উলামায়ে ছূ। বারবার কসম করে বলেন, তাঁরা হলেন উলামায়ে ছূ। এমন আলেমরা হল গাধা।
কুরআন শরিফ শিখিয়ে যাঁরা বেতন গ্রহণ করেন, তাঁদের বেতন বেশ্যার উপার্জনের চেয়ে খারাপ। যেই ইমাম এবং শিক্ষকরা বেতন গ্রহণ করেন, তাদের আগে বেশ্যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন। মাদরাসাগুলোতে যাকাত না দেয়া হোক। মাদরাসায় যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে না। রাসূল (স.) এর পর কেবল তিনজনের বাই’আত পূর্ণতা পেয়েছেন, বাকি সকলের বাই’আত অপূর্ণ। তিনজন হলেন; শাহ ইসমাঈল শহীদ (রাহ.), মাওলানা ইলিয়াছ (রাহ.) ও মাওলানা ইউসূফ (রাহ.)। দাওয়াতের পথ নবীর পথ, তাছাউফের পথ নবীর পথ নয়। রাসূল (সা.) দাওয়াত ইলাল্লাহ’র কারণে ইশার নামাজ দেরিতে পড়েছেন। অর্থাৎ নামাজের চেয়ে দাওয়াতের গুরুত্ব বেশি। হযরত মুসা (আ.) দাওয়াত ছেড়ে দিয়ে কিতাব আনতে চলে যাওয়ার কারণে পাঁচলক্ষ সত্তর হাজার লোক মুরতাদ হয়ে গেল। হযরত মূসা (আ.) কর্তৃক হারুন আ. কে নিজের স্থলাভিষিক্ত বানানো উচিত হয়নি। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা বান্দাকে জিজ্ঞাস করবেন, তা’লীমে বসেছিলে কি না, গাশত করেছিলে কি না? প্রত্যেক সাহাবী অপর সাহাবীর বিরুদ্ধাচরণ করছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কে এই মাওলানা সাদ : তাঁর যে সব বক্তব্য নিয়ে বিত

আপলোড টাইম : ১২:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্ট: দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের বর্তমান মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভী। ‘তাবলিগ করা ছাড়া কেউ বেহেশতে যেতে পারবে না’ বলে বক্তব্য দেওয়ায় পর সবচেয়ে বিতর্কিত হয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ১০০ বছর আগে ইসলামের দাওয়াতি কাজকে ত্বরান্বিত করতে মাওলানা ইলিয়াছ শাহ (রহ.) দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদ থেকে তাবলিগের কাজ শুরু করেন। মাওলানা ইলিয়াছের (রহ.) ছেলে মাওলানা হারুন (রহ.)। তারই ছেলে হলেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী। মাওলানা সাদ ১৯৬৭ সালের ভারতের দিল্লির নিকটবর্তী এলাকা মেওয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৪ সালে তাবলিগ জামায়াতের আমির মাওলানা জোবায়েরুল হাসান মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি তাবলিগ জামাতের বিশ্ব মারকাজ দিল্লির নিজামুদ্দিনে মুরব্বি হিসেবে পালন করছেন।
সাদ কান্ধলভীর যে সব বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক: সাদ কান্ধলভীর ২৬টি বক্তব্য নিয়ে চরম বিতর্ক চলছে যা প্রত্যাহারের জন্য দেওবন্দ মাদ্রাসা ও পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের শীর্ষ আলেমদের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা হলেও তিনি সম্মত হননি। বিভিন্ন সময় দেয়া সাদ এর বিতর্কিত বক্তব্যের মধ্যে রয়েছে: ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখা হারাম। কারো পকেটে ক্যামেরা বিশিষ্ট মোবাইল রেখে নামাজ পড়লে তার নামাজ শুদ্ধ হবে না। যে উলামায়ে কেরাম ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখেন, তাঁরা উলামায়ে ছূ। বারবার কসম করে বলেন, তাঁরা হলেন উলামায়ে ছূ। এমন আলেমরা হল গাধা।
কুরআন শরিফ শিখিয়ে যাঁরা বেতন গ্রহণ করেন, তাঁদের বেতন বেশ্যার উপার্জনের চেয়ে খারাপ। যেই ইমাম এবং শিক্ষকরা বেতন গ্রহণ করেন, তাদের আগে বেশ্যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন। মাদরাসাগুলোতে যাকাত না দেয়া হোক। মাদরাসায় যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে না। রাসূল (স.) এর পর কেবল তিনজনের বাই’আত পূর্ণতা পেয়েছেন, বাকি সকলের বাই’আত অপূর্ণ। তিনজন হলেন; শাহ ইসমাঈল শহীদ (রাহ.), মাওলানা ইলিয়াছ (রাহ.) ও মাওলানা ইউসূফ (রাহ.)। দাওয়াতের পথ নবীর পথ, তাছাউফের পথ নবীর পথ নয়। রাসূল (সা.) দাওয়াত ইলাল্লাহ’র কারণে ইশার নামাজ দেরিতে পড়েছেন। অর্থাৎ নামাজের চেয়ে দাওয়াতের গুরুত্ব বেশি। হযরত মুসা (আ.) দাওয়াত ছেড়ে দিয়ে কিতাব আনতে চলে যাওয়ার কারণে পাঁচলক্ষ সত্তর হাজার লোক মুরতাদ হয়ে গেল। হযরত মূসা (আ.) কর্তৃক হারুন আ. কে নিজের স্থলাভিষিক্ত বানানো উচিত হয়নি। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা বান্দাকে জিজ্ঞাস করবেন, তা’লীমে বসেছিলে কি না, গাশত করেছিলে কি না? প্রত্যেক সাহাবী অপর সাহাবীর বিরুদ্ধাচরণ করছেন।