ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কেরালায় বন্যায় ২৬ জনের মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৪:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক:
দক্ষিণ ভারতের কেরালায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের পর নদীগুলোর কূল ছাপিয়ে ওঠা ব্যাপক প্লাবনে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শহর ও গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু রযেছে। বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বহু ঘরবাড়ি ভেসে গেছে এবং কেরালা রাজ্যের কোত্তাইয়াম জেলায় মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এলাকায় তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বন্যার পানিতে বাস প্লাবিত হওয়ায় আটকে পড়া যাত্রীদের সেখান থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে। রাজ্যের সবচেয়ে উপদ্রুত দুটি জেলা হল কোত্তাইয়াম এবং ইডুক্কি। কয়েকদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক জায়গায় প্রাণঘাতী ধস নেমেছে। বহু ছোট ছোট গ্রাম সংযোগকারী সেতু স্ফীত হয়ে ওঠা নদীর পানির তোড়ে ভেসে গেছে। উদ্ধারকারী দলগুলো নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করছে। ইডুক্কিতে একজন আর কোত্তাইয়ামে একজনের খোঁজ এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মকর্তারা বলেছেন, যেখানে মানুষ আটকা পড়ে আছে, সেখানে তাদের সাহায্যে ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মী পাঠানোর জন্য সেনা বাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং কেরালা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ১৮৪টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে আট হাজারের ওপর মানুষকে খাদ্য, বিছানা ও কাপড়চোপড় দেয়া হচ্ছে। ঘরবাড়ি ও ফসল হারানো মানুষদের জন্য সরকার আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, কেরালার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন। সূত্র : বিবিসি

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কেরালায় বন্যায় ২৬ জনের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৮:৪৪:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১

বিশ্ব ডেস্ক:
দক্ষিণ ভারতের কেরালায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের পর নদীগুলোর কূল ছাপিয়ে ওঠা ব্যাপক প্লাবনে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শহর ও গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু রযেছে। বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বহু ঘরবাড়ি ভেসে গেছে এবং কেরালা রাজ্যের কোত্তাইয়াম জেলায় মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এলাকায় তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বন্যার পানিতে বাস প্লাবিত হওয়ায় আটকে পড়া যাত্রীদের সেখান থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে। রাজ্যের সবচেয়ে উপদ্রুত দুটি জেলা হল কোত্তাইয়াম এবং ইডুক্কি। কয়েকদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক জায়গায় প্রাণঘাতী ধস নেমেছে। বহু ছোট ছোট গ্রাম সংযোগকারী সেতু স্ফীত হয়ে ওঠা নদীর পানির তোড়ে ভেসে গেছে। উদ্ধারকারী দলগুলো নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করছে। ইডুক্কিতে একজন আর কোত্তাইয়ামে একজনের খোঁজ এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মকর্তারা বলেছেন, যেখানে মানুষ আটকা পড়ে আছে, সেখানে তাদের সাহায্যে ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মী পাঠানোর জন্য সেনা বাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং কেরালা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ১৮৪টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে আট হাজারের ওপর মানুষকে খাদ্য, বিছানা ও কাপড়চোপড় দেয়া হচ্ছে। ঘরবাড়ি ও ফসল হারানো মানুষদের জন্য সরকার আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, কেরালার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন। সূত্র : বিবিসি