ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কেন ‘সমুদ্রের স্বর্ণ’ বলা হয় এই মাছকে?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

বিস্ময় প্রতিবেদন:
ভারতের মহারাষ্ট্রের পালঘরের কয়েকজন মৎস্যজীবী সম্প্রতি সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তাদের জালে বেশ কিছু ঘোল মাছ ওঠে। আর তা দিয়েই ভাগ্য বদলে যায় তাদের। কোটি টাকায় নিলাম হয় সেই মাছ। অন্যান্য মাছের মতোই দেখতে, মুখের দিকে সোনালি আভার এই মাছ কেন এত দামি? দামের জন্যই ‘সমুদ্রের স্বর্ণ’ বলা হয় এই মাছকে। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘প্রোটোনিবিয়া ডায়াকানথুস’। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়—এই সব দেশে এই মাছের চাহিদা খুব বেশি। এই মাছে রয়েছে ঔষধি গুণ। আর এ কারণেই এর মূল্য এত বেশি। মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ওষুধ উৎপাদন সংস্থাগুলো এই মাছ কিনে নেয়। তারপর এর দেহের প্রায় প্রতিটি অংশ দিয়েই তৈরি হয় ওষুধ। এই মাছের বায়ু পটকা দিয়ে বৃক্কের নানা রোগ নিরাময়ের ওষুধ তৈরি হয়। বিশেষ করে বৃক্কে (কিডনি) পাথর জমলে, তা দূর করতে নাকি দারুণ উপকারী ঘোল মাছের পটকা থেকে উৎপন্ন ওষুধ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ওই মাছের হৃদয় (হার্ট)। যে কারণে এর হৃদয়কে ‘স্বর্ণের হৃদয়’ও বলা হয়। মাছের পাখনাও ফেলে দেওয়া যায় না। পাখনা দিয়েও নানা ওষুধ তৈরি হয় এবং দামি মদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ, ভিটামিন রয়েছে এই সামুদ্রিক মাছে। অস্ত্রপচারের পর দেহের সঙ্গে মিশে যাওয়া সেলাইয়ের সুতো তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় এই মাছের শরীরের অংশ। এই মাছের দাম নির্ভর করে এর ওজন এবং মাছটি পুরুষ না স্ত্রী, তার ওপর। একটি ৩০ কেজির পুরুষ ঘোলের দাম অন্তত চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। অন্যদিকে, ওই ওজনের একটি স্ত্রী ঘোলের দাম অনেকটাই কম হয়। এক থেকে দু’লাখ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। দেহের ভিতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আকার এবং কতটা পুরু তার ওপরও নির্ভর করে দাম। এর আগে সাড়ে ১৯ কেজির একটি ঘোল মাছ ধরা পড়েছিল ভারতের উড়িষ্যায়। এক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সেটি আট হাজার টাকা কেজিতে কিনেছিল। তারপর ২০১৯ সালে ১০ কেজি ওজনের মাছ ধরা পড়েছিল জালে। বিক্রি হয়েছিল কেজি প্রতি ১০ হাজার টাকায়। ১৯ কেজির ওই মাছটিই এখনও পর্যন্ত ভারতে ধরা পড়া সবচেয়ে বড় ঘোল মাছ। সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রের পালঘরের ওই মৎস্যজীবীরা ১৫৭টি ঘোল মাছ পেয়েছেন। যা বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ৩৩ লাখ রুপিতে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কেন ‘সমুদ্রের স্বর্ণ’ বলা হয় এই মাছকে?

আপলোড টাইম : ১০:০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিস্ময় প্রতিবেদন:
ভারতের মহারাষ্ট্রের পালঘরের কয়েকজন মৎস্যজীবী সম্প্রতি সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তাদের জালে বেশ কিছু ঘোল মাছ ওঠে। আর তা দিয়েই ভাগ্য বদলে যায় তাদের। কোটি টাকায় নিলাম হয় সেই মাছ। অন্যান্য মাছের মতোই দেখতে, মুখের দিকে সোনালি আভার এই মাছ কেন এত দামি? দামের জন্যই ‘সমুদ্রের স্বর্ণ’ বলা হয় এই মাছকে। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘প্রোটোনিবিয়া ডায়াকানথুস’। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়—এই সব দেশে এই মাছের চাহিদা খুব বেশি। এই মাছে রয়েছে ঔষধি গুণ। আর এ কারণেই এর মূল্য এত বেশি। মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ওষুধ উৎপাদন সংস্থাগুলো এই মাছ কিনে নেয়। তারপর এর দেহের প্রায় প্রতিটি অংশ দিয়েই তৈরি হয় ওষুধ। এই মাছের বায়ু পটকা দিয়ে বৃক্কের নানা রোগ নিরাময়ের ওষুধ তৈরি হয়। বিশেষ করে বৃক্কে (কিডনি) পাথর জমলে, তা দূর করতে নাকি দারুণ উপকারী ঘোল মাছের পটকা থেকে উৎপন্ন ওষুধ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ওই মাছের হৃদয় (হার্ট)। যে কারণে এর হৃদয়কে ‘স্বর্ণের হৃদয়’ও বলা হয়। মাছের পাখনাও ফেলে দেওয়া যায় না। পাখনা দিয়েও নানা ওষুধ তৈরি হয় এবং দামি মদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ, ভিটামিন রয়েছে এই সামুদ্রিক মাছে। অস্ত্রপচারের পর দেহের সঙ্গে মিশে যাওয়া সেলাইয়ের সুতো তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় এই মাছের শরীরের অংশ। এই মাছের দাম নির্ভর করে এর ওজন এবং মাছটি পুরুষ না স্ত্রী, তার ওপর। একটি ৩০ কেজির পুরুষ ঘোলের দাম অন্তত চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। অন্যদিকে, ওই ওজনের একটি স্ত্রী ঘোলের দাম অনেকটাই কম হয়। এক থেকে দু’লাখ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। দেহের ভিতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আকার এবং কতটা পুরু তার ওপরও নির্ভর করে দাম। এর আগে সাড়ে ১৯ কেজির একটি ঘোল মাছ ধরা পড়েছিল ভারতের উড়িষ্যায়। এক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সেটি আট হাজার টাকা কেজিতে কিনেছিল। তারপর ২০১৯ সালে ১০ কেজি ওজনের মাছ ধরা পড়েছিল জালে। বিক্রি হয়েছিল কেজি প্রতি ১০ হাজার টাকায়। ১৯ কেজির ওই মাছটিই এখনও পর্যন্ত ভারতে ধরা পড়া সবচেয়ে বড় ঘোল মাছ। সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রের পালঘরের ওই মৎস্যজীবীরা ১৫৭টি ঘোল মাছ পেয়েছেন। যা বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ৩৩ লাখ রুপিতে।