ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় ধর্ষণ মামলার মাদ্রাসা সুপারের যাবজ্জীবন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
এবার কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মাত্র তিন কার্যদিবসে রায় দিল আদালত। রায়ে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবদুল কাদেরকে যাবজ্জীবন জেল ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুুন্সী মো. মশিয়ার রহমান। জরিমানার অর্থ আনাদায়ে আরও ১ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুর সোয়া ১টায় আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন তিনি। এত দ্রুত সময়ে রায় দেওয়ার ঘটনা জেলায় এটিই প্রথম।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, ৩ ও ৪ অক্টোবর মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ চকপাড়া এলাকায় সিরাজুল ইসলাম দারুল উলুম মরিয়ম নেসা মহিলা মাদ্রাসায় ১৩ বছরের এক ছাত্রীকে দুই দফায় ধর্ষণ করেন মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবদুল কাদের। ঘটনার পর ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই দিন পুলিশ মাওলানা আবদুল কাদেরকে গ্রেফতার করে। পরে আবদুল কাদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মিরপুর থানা পুলিশ তদন্ত করে মাত্র সাত দিনের মাথায় আদালতে ১৩ অক্টোবর তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়। এরপর গত ১২ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ মামলার চার্জ গঠন করেন। ১৩ ও ১৪ নভেম্বর ছুটি ছিল। ১৫ নভেম্বর বাদীসহ ১৩ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত। বিচারকাজ শুরুর মাত্র তিন দিনের মাথায় গতকাল দুপুর সোয়া ১টায় আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান আসামির উপস্থিতিতে রায় দেন। রায়ে আবদুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আদালতের পিপি আবদুল হালিম বলেন, মাত্র তিন কার্যদিবসে রায় হওয়ার বিষয়টি দেশে বিরল। এ রায়ের মাধ্যমে নির্যাতিত পরিবারটি ন্যায়বিচার পেয়েছে। এ রায়ের মাধ্যমে আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বেড়ে গেল। আগামীতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ ধরনের রায় হবে বলে আমরা আশা করছি। পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মামলা দায়ের করেন তার বাবা। পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে চার্জশিট দেয় আদালতে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কুষ্টিয়ায় ধর্ষণ মামলার মাদ্রাসা সুপারের যাবজ্জীবন

আপলোড টাইম : ১০:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদন:
এবার কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মাত্র তিন কার্যদিবসে রায় দিল আদালত। রায়ে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবদুল কাদেরকে যাবজ্জীবন জেল ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুুন্সী মো. মশিয়ার রহমান। জরিমানার অর্থ আনাদায়ে আরও ১ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুর সোয়া ১টায় আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন তিনি। এত দ্রুত সময়ে রায় দেওয়ার ঘটনা জেলায় এটিই প্রথম।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, ৩ ও ৪ অক্টোবর মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ চকপাড়া এলাকায় সিরাজুল ইসলাম দারুল উলুম মরিয়ম নেসা মহিলা মাদ্রাসায় ১৩ বছরের এক ছাত্রীকে দুই দফায় ধর্ষণ করেন মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবদুল কাদের। ঘটনার পর ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই দিন পুলিশ মাওলানা আবদুল কাদেরকে গ্রেফতার করে। পরে আবদুল কাদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মিরপুর থানা পুলিশ তদন্ত করে মাত্র সাত দিনের মাথায় আদালতে ১৩ অক্টোবর তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়। এরপর গত ১২ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ মামলার চার্জ গঠন করেন। ১৩ ও ১৪ নভেম্বর ছুটি ছিল। ১৫ নভেম্বর বাদীসহ ১৩ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত। বিচারকাজ শুরুর মাত্র তিন দিনের মাথায় গতকাল দুপুর সোয়া ১টায় আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান আসামির উপস্থিতিতে রায় দেন। রায়ে আবদুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আদালতের পিপি আবদুল হালিম বলেন, মাত্র তিন কার্যদিবসে রায় হওয়ার বিষয়টি দেশে বিরল। এ রায়ের মাধ্যমে নির্যাতিত পরিবারটি ন্যায়বিচার পেয়েছে। এ রায়ের মাধ্যমে আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বেড়ে গেল। আগামীতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ ধরনের রায় হবে বলে আমরা আশা করছি। পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মামলা দায়ের করেন তার বাবা। পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে চার্জশিট দেয় আদালতে।