ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় অ্যালকোহল পানে রুয়েট ছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৪৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:

কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে চারজনে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়। এরপর দুপুরের দিকে আরও একজন মারা যান। এ ছাড়া কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আরও দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহতরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড় আইলচারা এলাকার মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে শাহিন (৪৭), ভেড়ামারা উপজেলার রকিবুল আলমের ছেলে ও কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সিফাতুল আলম সিপু (২৭), মিরপুর উপজেলার মশান বারুই পাড়া গ্রামের মৃত হনিফের ছেলে মো. রতন (২১) ও একই গ্রামের খলিলের ছেলে সবুজ (২৪)।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও পোড়াদহ এলাকা থেকে গত রোববার রাতে অ্যালকোহল কিনে পান করেন এরা। এরপর অসুস্থ হলে রাতেই তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত রতন ও সবুজের স্বজনরা জানান, রোববার রাতে পোড়াদহ থেকে অ্যালকোহল কিনে এনে একই পাড়ার ছয়-সাত জন মিলে একসঙ্গে বসে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, রোববার রাতে ‘বিষাক্ত অ্যালকোহল’ পান করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এসে কয়েকজন ভর্তি হন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তিনজন মারা যান। আরও তিনজন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ‘এ ছাড়া দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে মারা যান সবুজ। একজন এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনজন এবং রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন একজনের অবস্থাও ‘আশঙ্কজনক’ বলে জানান এই চিকিৎসক।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, রোববার রাতে ‘বিষাক্ত অ্যালকোহল’ পান করে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকজন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে চারজনের মৃত্যু হয়। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে রতন ও শাহীনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া সিফাতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনও আটক করা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কুষ্টিয়ায় অ্যালকোহল পানে রুয়েট ছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৭:৪৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:

কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে চারজনে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়। এরপর দুপুরের দিকে আরও একজন মারা যান। এ ছাড়া কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আরও দুজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহতরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড় আইলচারা এলাকার মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে শাহিন (৪৭), ভেড়ামারা উপজেলার রকিবুল আলমের ছেলে ও কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সিফাতুল আলম সিপু (২৭), মিরপুর উপজেলার মশান বারুই পাড়া গ্রামের মৃত হনিফের ছেলে মো. রতন (২১) ও একই গ্রামের খলিলের ছেলে সবুজ (২৪)।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও পোড়াদহ এলাকা থেকে গত রোববার রাতে অ্যালকোহল কিনে পান করেন এরা। এরপর অসুস্থ হলে রাতেই তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত রতন ও সবুজের স্বজনরা জানান, রোববার রাতে পোড়াদহ থেকে অ্যালকোহল কিনে এনে একই পাড়ার ছয়-সাত জন মিলে একসঙ্গে বসে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, রোববার রাতে ‘বিষাক্ত অ্যালকোহল’ পান করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এসে কয়েকজন ভর্তি হন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তিনজন মারা যান। আরও তিনজন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ‘এ ছাড়া দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে মারা যান সবুজ। একজন এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনজন এবং রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন একজনের অবস্থাও ‘আশঙ্কজনক’ বলে জানান এই চিকিৎসক।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, রোববার রাতে ‘বিষাক্ত অ্যালকোহল’ পান করে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকজন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে চারজনের মৃত্যু হয়। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে রতন ও শাহীনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া সিফাতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনও আটক করা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।