কিয়ামতের দিন নামাজের হিসাব আগে হবে
- আপলোড টাইম : ০৫:০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
- / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ। আল্লাহতায়ালার সঙ্গে বান্দার যোগাযোগের অন্যতম এক মাধ্যম। নামাজ এমন একটা ইবাদত যা মুমিনের ইমানের প্রথম পরিচায়ক, যার মাধ্যমে বান্দা তার রবের সবচেয়ে নিকটবর্তী হতে পারে। হাশরের ময়দানে সর্বপ্রথম এই ইবাদতের হিসাব গ্রহণ করা হবে এবং নামাজ পরিত্যাগকারী কাফের হিসেবে পরিগণিত হবে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলকে (সা.) বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন বান্দার আমলের মধ্যে সর্বপ্রথম তার নামাজের হিসাব নেয়া হবে। তার নামাজ যদি যথাযথ প্রমাণিত হয় তবে সে সাফল্য লাভ করবে। আর যদি নামাজের হিসাব খারাপ হয় তবে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে’ -সুনানে তিরমিজি। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজকে ইমানের মূল পরিচায়ক হিসেবে ঘোষণা করেছেন এভাবে, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে যে নামাজ ছেড়ে দেয় সে কাফের।’ অর্থাৎ নামাজ ত্যাগকারীর মুসলমান থাকার কোনো অবকাশই নেই। সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বোঝা যায়, নামাজ একটি মহা মূল্যবান ইবাদতের নাম। মহান আল্লাহ সুনির্দিষ্ট সময়ে সুনির্ধারিত নিয়মে সমাজকে বান্দার ওপর ফরজ করেছেন। আমরা জানি ইবাদত অর্থ আনুগত্য, মেনে নেয়া, অধীনতা স্বীকার করা। দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেকটি পদক্ষেপে আল্লাহতায়ালার বিধানের আনুগত্য করাই হলো ইবাদতের মূল অর্থ। বান্দা তার আইন মেনে নিবে, তার দাসত্বে নিজেকে আবদ্ধ রাখবে, তার অধীনতা স্বীকার করে জীবন-যাপন করবে এটাই আল্লাহ চান। এটাই সৃষ্টির উদ্দেশ্য। তাই জীবনের এ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করতে বান্দার কঠোর পরিশ্রম দরকার। দরকার নিরবচ্ছিন্ন সাধনা, নিয়মিত অধ্যবসায়, নিয়মনিষ্ঠ দৈনন্দিন জীবন। দরকার একটি অনুগত অন্তর, বিনম্র হৃদয়। আর এভাবে নামাজ একজন মুমিনকে কর্মমুখর জীবন-বিধান, দীন ইসলাম পরিপালনের জন্য কর্তব্যপরায়ণ ও দায়িত্ববান করে গড়ে তোলে।