ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কালের আবর্তে বিলুপ্ত প্রায় ‘গরিবের এসি’

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৯
  • / ১০৪৪ বার পড়া হয়েছে

দালানে চাপা পড়েছে ঐতিহ্য : কেউ খোঁজে না ঘরামিদের
এসএম শাফায়েত:
মাটির দেয়াল, ওপরে টিন বা খড়ের চাল, সামনে বড় উঠোন; এই হলো ‘গরিবের এসি’। আর ঘরের পেছনে ছোট্ট একটি পুকুর থেকে আসে শীতল হাওয়া। চারপাশে গাছ-গাছালিতে ভরপুর। এক সময় এমন মনোরম দৃশ্য চোখে পড়তো বাংলার প্রতিটি অঞ্চলে। এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না মাটির ঘর, হারিয়ে গেছে চিরচেনা সেই মনোরম দৃশ্য। ঐতিহ্যের এই স্থাপনাটি এখন স্থান পাচ্ছে হারিয়ে যাওয়ার খাতায়। সম্ভ্রান্ত পরিবারের বাড়ির সামনে সেই বৈঠকখানা বা খানকাঘর তো বিলুপ্তই হয়ে গেছে। শান্তির নীড় সেসব মাটির ঘরের স্থান দখল করেছে এখন ইট-পাথরের দালান। চিরচেনা গ্রামগুলোকেও তাই এখন অচেনা লাগে। তবে এখনও দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় চোখে পড়ে কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত আটচালা ঘরটি। হয়তো জাতীয় কবির স্মৃতি বহণকারী হিসেবেই এখনও টিকিয়ে রাখা হয়েছে ঘরটিকে। এ ছাড়াও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ঢুঁকলে দু’একটি মাটির ঘর চোখে পড়ে। ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি তীব্র গরম ও কনকনে শীতে আদর্শ বসবাস-উপযোগী এসব ঘর তৈরি হতো মাটিতে।
এ প্রসঙ্গে প্রবীণেরা বলেন, ‘এঁটেল মাটি কাদায় পরিণত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হতো। ১০-১৫ ফুট উঁচু দেয়ালের ওপর কাঠ বা বাঁশের চাল তৈরি করে খড়-কুটা, গোলপাতা, মাটিরটালি অথবা ঢেউটিন দিয়ে ছাওয়া হতো। মাটি কুপিয়ে ও পানি দিয়ে কাঁদায় পরিণত করার পদ্ধতিকে জাব বলা হয়। জাব কেটে তা সুচারুভাবে গেঁথে ভাজে ভাজে তৈরি করতে হয় দেয়াল। দেয়ালের একেকটি ভাজের পুরূত্ব তিন থেকে চার ফুট। এভাবে পাঁচ থেকে ছয়টি ভাজ শেষ হওয়ার পর দেয়ালের উচ্চতা দাঁড়ায় ১৫-১৮ ফুট। যিনি মাটির চাপ গেঁথে দেয়াল ও বাঁশ দিয়ে চাল তৈরি করেন তাকে ঘরামি বলা হয়।
তাঁরা আরও বলেন, ‘ঘরের বারান্দা ও চালের ধরনের ওপর ভিত্তি করে ঘরকে বিভিন্ন নামকরণ করা হয়। চারপাশে বারান্দা থাকা ঘরকে আটচালা এবং তিনপাশে বারান্দা থাকা ঘরকে সাতচালা ঘর বলা হয়। গৃহিণীরা মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আল্পনা একে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন। শৈল্পিক আল্পনায় ফুটে উঠতো নিপুণ কারুকার্য।
বৈঠকখানা, দহলুজঘর বা খানকাঘরে এক সময় বসতো গ্রামের মানুষের আড্ডা, বিনোদন আর গল্পের আসর। সাধারণ মানুষ তাদের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না, মান-অভিমান, আনন্দ-বেদনা প্রকাশ করতেন মোড়ল বা মাব্বরের এ দহলুজঘরে বসে। হুকোয় টান দিয়ে জমিয়ে আড্ডা দিতেন তারা।
ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির ঘর শত বছরেরও বেশি স্থায়ী হয়। অথচ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বর্ষা মৌসুমে মাটির ঘরের ক্ষতি হয় বলে ইট-সিমেন্টের ঘর নির্মাণে উৎসাহী হচ্ছে মানুষ। আধুনিকতার ছোঁয়া আর কালের আবর্তে তাই দালান-কোঠা আর অট্টালিকার কাছে হার মানছে মাটির ঘর। একসময় মোরগডাকা ভোর থেকে কাঁকডাকা সন্ধ্যা পর্যন্তও খুঁজে পাওয়া যেতনা একজন ঘরামিকে। কিন্তু মাটিরঘর তৈরি ও ছাউনির প্রচলন হারিয়ে এখন আর ঘরামিদের কদর নেই বললেই চলে, আর কেউ খোঁজে না ঘরামিদের।
এক সময় চুয়াডাঙ্গার ৩৯টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই অনেক পরিবার মাটির ঘরে বাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত। আশির দশকেও এসব গ্রামে কাঁচা ঘরবাড়ি দেখা যেত। গরিবের এসির সংখ্যাধিক্যে ইট-পাথরের তৈরি পাকা দালানের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। সেই দিন বদলে গেছে। কাঁচাঘর ফেলে পাঁকাঘর নির্মাণে ঝুঁকছেন এ জেলার মানুষ। ফলে হাতেগোনা দু’একটি মাটির ঘর দেখা যায়। অধিকাংশ বাড়ি এখন ইট পাথরের তৈরি।
মাটির তৈরি এসব ঘর এখন আর চোখে না পড়লেও এটা মানতে হবে যে, এই ঘরগুলো শীত বা গরমে থাকার জন্য বেশ আরামদায়ক। মাটির ঘরে শীতের দিনে ঘর থাকে উষ্ণ আর গরমের দিনে শীতল। তাই মাটির ঘরকে ‘গরিবের এসি’ও বলা হয়ে থাকে। তবে এখন আর তেমন চোখে পড়ে না গ্রামীণ এই ঐতিহ্য। কারিগররাও এখন এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে কথা হয় দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের দলিয়ারপুর গ্রামের মাটিরঘর তৈরির কারিগর ভাদু মন্ডলের সঙ্গে।
ভাদু মন্ডলের বাপ-দাদাও এই পেশায় জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। ওনার বাবা মৃত খেদের মন্ডল ছিলেন তার দাদার সহযোগী। কয়েকবছর সহযোগী হিসেবে থাকার পর তার বাবাও এক সময় হয়ে যান মাটির ঘরের পাক্কা কারিগর। তখন মাটির ঘরের প্রচুর চাহিদা ছিল। বছরে ১০-১২ ঘরের কাজ পেতেন তিনি। তখন তাদের সংসার চলতো ভালোভাবেই। বাবার সঙ্গে কাজ করতে তিনি একদিন মাটির ঘরের কারিগর হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। কিন্তু এখন আর আগের মতো মাটির ঘরের চাহিদা না থাকায় তিনিও দূরে সরে গেছেন এই পেশা থেকে। কত বছর হচ্ছে আপনি এই পেশা ছেড়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত ৬ বছর ধরে এই কাজ করি না। এই কাজ চালু রাখলে তো পেটে ভাত মিলবে না। তাই এই পেশা ছেড়ে এখন মাঠে চাষাবাদের কাজ করি।’
আপনি কি এখনো মাটির ঘরে বসবাস করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ভাদু মন্ডল বলেন, ‘মাটির ঘর আছে। তবে ওটাতে থাকা হয় না। নতুন টিনের ঘর করেছি, ওটাতে থাকা হয় এখন। তবে মাটির ঘরে থাকার আরাম আর কোনো ঘরেই পাওয়া যাবে না।’
আধুনিকতার খাতিরে বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবনযাপনের চিত্র। বদলে যাচ্ছে থাকার জায়গা, পোশাক-আশাক, যোগাযোগ ব্যবস্থা। বদলে যাচ্ছে ভাদু মন্ডলের মতো শতশত মানুষের কর্মব্যস্ততা। ঠিক তেমনি আস্তে আস্তে নাই হয়ে যাচ্ছে প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক-বাহক এসব মাটিরঘর।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কালের আবর্তে বিলুপ্ত প্রায় ‘গরিবের এসি’

আপলোড টাইম : ১০:২৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৯

দালানে চাপা পড়েছে ঐতিহ্য : কেউ খোঁজে না ঘরামিদের
এসএম শাফায়েত:
মাটির দেয়াল, ওপরে টিন বা খড়ের চাল, সামনে বড় উঠোন; এই হলো ‘গরিবের এসি’। আর ঘরের পেছনে ছোট্ট একটি পুকুর থেকে আসে শীতল হাওয়া। চারপাশে গাছ-গাছালিতে ভরপুর। এক সময় এমন মনোরম দৃশ্য চোখে পড়তো বাংলার প্রতিটি অঞ্চলে। এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না মাটির ঘর, হারিয়ে গেছে চিরচেনা সেই মনোরম দৃশ্য। ঐতিহ্যের এই স্থাপনাটি এখন স্থান পাচ্ছে হারিয়ে যাওয়ার খাতায়। সম্ভ্রান্ত পরিবারের বাড়ির সামনে সেই বৈঠকখানা বা খানকাঘর তো বিলুপ্তই হয়ে গেছে। শান্তির নীড় সেসব মাটির ঘরের স্থান দখল করেছে এখন ইট-পাথরের দালান। চিরচেনা গ্রামগুলোকেও তাই এখন অচেনা লাগে। তবে এখনও দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় চোখে পড়ে কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত আটচালা ঘরটি। হয়তো জাতীয় কবির স্মৃতি বহণকারী হিসেবেই এখনও টিকিয়ে রাখা হয়েছে ঘরটিকে। এ ছাড়াও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ঢুঁকলে দু’একটি মাটির ঘর চোখে পড়ে। ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি তীব্র গরম ও কনকনে শীতে আদর্শ বসবাস-উপযোগী এসব ঘর তৈরি হতো মাটিতে।
এ প্রসঙ্গে প্রবীণেরা বলেন, ‘এঁটেল মাটি কাদায় পরিণত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হতো। ১০-১৫ ফুট উঁচু দেয়ালের ওপর কাঠ বা বাঁশের চাল তৈরি করে খড়-কুটা, গোলপাতা, মাটিরটালি অথবা ঢেউটিন দিয়ে ছাওয়া হতো। মাটি কুপিয়ে ও পানি দিয়ে কাঁদায় পরিণত করার পদ্ধতিকে জাব বলা হয়। জাব কেটে তা সুচারুভাবে গেঁথে ভাজে ভাজে তৈরি করতে হয় দেয়াল। দেয়ালের একেকটি ভাজের পুরূত্ব তিন থেকে চার ফুট। এভাবে পাঁচ থেকে ছয়টি ভাজ শেষ হওয়ার পর দেয়ালের উচ্চতা দাঁড়ায় ১৫-১৮ ফুট। যিনি মাটির চাপ গেঁথে দেয়াল ও বাঁশ দিয়ে চাল তৈরি করেন তাকে ঘরামি বলা হয়।
তাঁরা আরও বলেন, ‘ঘরের বারান্দা ও চালের ধরনের ওপর ভিত্তি করে ঘরকে বিভিন্ন নামকরণ করা হয়। চারপাশে বারান্দা থাকা ঘরকে আটচালা এবং তিনপাশে বারান্দা থাকা ঘরকে সাতচালা ঘর বলা হয়। গৃহিণীরা মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আল্পনা একে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন। শৈল্পিক আল্পনায় ফুটে উঠতো নিপুণ কারুকার্য।
বৈঠকখানা, দহলুজঘর বা খানকাঘরে এক সময় বসতো গ্রামের মানুষের আড্ডা, বিনোদন আর গল্পের আসর। সাধারণ মানুষ তাদের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না, মান-অভিমান, আনন্দ-বেদনা প্রকাশ করতেন মোড়ল বা মাব্বরের এ দহলুজঘরে বসে। হুকোয় টান দিয়ে জমিয়ে আড্ডা দিতেন তারা।
ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির ঘর শত বছরেরও বেশি স্থায়ী হয়। অথচ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বর্ষা মৌসুমে মাটির ঘরের ক্ষতি হয় বলে ইট-সিমেন্টের ঘর নির্মাণে উৎসাহী হচ্ছে মানুষ। আধুনিকতার ছোঁয়া আর কালের আবর্তে তাই দালান-কোঠা আর অট্টালিকার কাছে হার মানছে মাটির ঘর। একসময় মোরগডাকা ভোর থেকে কাঁকডাকা সন্ধ্যা পর্যন্তও খুঁজে পাওয়া যেতনা একজন ঘরামিকে। কিন্তু মাটিরঘর তৈরি ও ছাউনির প্রচলন হারিয়ে এখন আর ঘরামিদের কদর নেই বললেই চলে, আর কেউ খোঁজে না ঘরামিদের।
এক সময় চুয়াডাঙ্গার ৩৯টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই অনেক পরিবার মাটির ঘরে বাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত। আশির দশকেও এসব গ্রামে কাঁচা ঘরবাড়ি দেখা যেত। গরিবের এসির সংখ্যাধিক্যে ইট-পাথরের তৈরি পাকা দালানের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। সেই দিন বদলে গেছে। কাঁচাঘর ফেলে পাঁকাঘর নির্মাণে ঝুঁকছেন এ জেলার মানুষ। ফলে হাতেগোনা দু’একটি মাটির ঘর দেখা যায়। অধিকাংশ বাড়ি এখন ইট পাথরের তৈরি।
মাটির তৈরি এসব ঘর এখন আর চোখে না পড়লেও এটা মানতে হবে যে, এই ঘরগুলো শীত বা গরমে থাকার জন্য বেশ আরামদায়ক। মাটির ঘরে শীতের দিনে ঘর থাকে উষ্ণ আর গরমের দিনে শীতল। তাই মাটির ঘরকে ‘গরিবের এসি’ও বলা হয়ে থাকে। তবে এখন আর তেমন চোখে পড়ে না গ্রামীণ এই ঐতিহ্য। কারিগররাও এখন এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে কথা হয় দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের দলিয়ারপুর গ্রামের মাটিরঘর তৈরির কারিগর ভাদু মন্ডলের সঙ্গে।
ভাদু মন্ডলের বাপ-দাদাও এই পেশায় জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। ওনার বাবা মৃত খেদের মন্ডল ছিলেন তার দাদার সহযোগী। কয়েকবছর সহযোগী হিসেবে থাকার পর তার বাবাও এক সময় হয়ে যান মাটির ঘরের পাক্কা কারিগর। তখন মাটির ঘরের প্রচুর চাহিদা ছিল। বছরে ১০-১২ ঘরের কাজ পেতেন তিনি। তখন তাদের সংসার চলতো ভালোভাবেই। বাবার সঙ্গে কাজ করতে তিনি একদিন মাটির ঘরের কারিগর হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। কিন্তু এখন আর আগের মতো মাটির ঘরের চাহিদা না থাকায় তিনিও দূরে সরে গেছেন এই পেশা থেকে। কত বছর হচ্ছে আপনি এই পেশা ছেড়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত ৬ বছর ধরে এই কাজ করি না। এই কাজ চালু রাখলে তো পেটে ভাত মিলবে না। তাই এই পেশা ছেড়ে এখন মাঠে চাষাবাদের কাজ করি।’
আপনি কি এখনো মাটির ঘরে বসবাস করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ভাদু মন্ডল বলেন, ‘মাটির ঘর আছে। তবে ওটাতে থাকা হয় না। নতুন টিনের ঘর করেছি, ওটাতে থাকা হয় এখন। তবে মাটির ঘরে থাকার আরাম আর কোনো ঘরেই পাওয়া যাবে না।’
আধুনিকতার খাতিরে বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবনযাপনের চিত্র। বদলে যাচ্ছে থাকার জায়গা, পোশাক-আশাক, যোগাযোগ ব্যবস্থা। বদলে যাচ্ছে ভাদু মন্ডলের মতো শতশত মানুষের কর্মব্যস্ততা। ঠিক তেমনি আস্তে আস্তে নাই হয়ে যাচ্ছে প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক-বাহক এসব মাটিরঘর।