ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কালুপোলে রাজার গুপ্ত প্রাসাদে পুরাকীর্তি সন্ধানের কাজ শেষ এবার চারুলিয়ায় পুরাকীর্তির সন্ধান চলছে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫১:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০১৭
  • / ৩৮২ বার পড়া হয়েছে

IMG_20170416_125758আকিমুল ইসলাম: চুয়াডাঙ্গা তিতুদহ ইউনিয়নের কালুপোলে গন্ধোপ রাজার গুপ্ত প্রসাদ সন্ধানে খুলনা প্রতœতত্ব অধিদপ্তর গত ৯ এপ্রিল এ জেলায় প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে গত ৩০ এপ্রিল কাজ শেষ করে। প্রতœতত্ব অধিদপ্তরের ১২জনের একটি দল এই নিদর্শন খোঁজার কাজ শেষ করে। এপর্যন্ত প্রাসাদের ৭৫ ইঞ্চি প্রাচীরসহ মাটির তৈরি বল, পুতুল, ওজন মাপার কেজি, ছাই ভর্তি চুলা, ঢাকনা, কলস, পাতিল (চাড়ি), লোহার মরিচাধরা প্রাচীন অস্ত্র, হরিণের মাথার শিং ও হাড় এবং বিভিন্ন ধরনের ইটের সন্ধান মেলে। আরও অনেক কিছু পাওয়া যাবে বলে জানান খুলনা প্রতœতত্ব অধিদপ্তরের কর্তব্যরত অফিসার গোলাম ফেরদৌস। তিনি আরও জানান মুঘল আমলে এখানে গোবিন্দ চন্দ্র (গন্ধোপ) রাজা নামের একজন রাজা ছিল বলে আমরা ধারনা করছি যে অত্র এলাকা পরিচালনা করতো কিন্তুু ইসলাম ধর্ম প্রচারকে কেন্দ্র করে গড়াইটুপি অ¤্রবর্তী মেলার শায়িত হযরত মালেক-উল গাউসের সাথে তার বিরোধ বাঁধে এবং হঠাৎ একদিন হিন্দু এই রাজার প্রাসাদ ঢসে পড়ে মাটির নিচে গুপ্ত হয়ে যায়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত সেই অবস্থায় পড়ে আছে। কিন্তুু প্রাসাদ গুপ্ত হয়ে গেলেও প্রাসাদের ছাদ এখনও দেখা যায়। ৪ বিঘা জমির ওপর গুপ্ত প্রাসাদ সন্ধানে খননের সার্বিক সহোযোগিতায় আছেন খুলনা আঞ্চলিক প্রতœতত্ব পরিচালক আফরোজা খাঁন মিতা, সহ পরিচালক  একেএম  সাইফুল ইসলাম,  সিনিয়ার ড্রাপ্টম্যান জাহান্দার আলী, সদস্য মহিদুল ইসলাম, গোলাম ফেরদৌস, রিপন আলী প্রমূখ। প্রতœতত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ২ মে থেকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়ায় পুরাকীর্তির সন্ধানে খনন শুরু হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কালুপোলে রাজার গুপ্ত প্রাসাদে পুরাকীর্তি সন্ধানের কাজ শেষ এবার চারুলিয়ায় পুরাকীর্তির সন্ধান চলছে

আপলোড টাইম : ০৪:৫১:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০১৭

IMG_20170416_125758আকিমুল ইসলাম: চুয়াডাঙ্গা তিতুদহ ইউনিয়নের কালুপোলে গন্ধোপ রাজার গুপ্ত প্রসাদ সন্ধানে খুলনা প্রতœতত্ব অধিদপ্তর গত ৯ এপ্রিল এ জেলায় প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে গত ৩০ এপ্রিল কাজ শেষ করে। প্রতœতত্ব অধিদপ্তরের ১২জনের একটি দল এই নিদর্শন খোঁজার কাজ শেষ করে। এপর্যন্ত প্রাসাদের ৭৫ ইঞ্চি প্রাচীরসহ মাটির তৈরি বল, পুতুল, ওজন মাপার কেজি, ছাই ভর্তি চুলা, ঢাকনা, কলস, পাতিল (চাড়ি), লোহার মরিচাধরা প্রাচীন অস্ত্র, হরিণের মাথার শিং ও হাড় এবং বিভিন্ন ধরনের ইটের সন্ধান মেলে। আরও অনেক কিছু পাওয়া যাবে বলে জানান খুলনা প্রতœতত্ব অধিদপ্তরের কর্তব্যরত অফিসার গোলাম ফেরদৌস। তিনি আরও জানান মুঘল আমলে এখানে গোবিন্দ চন্দ্র (গন্ধোপ) রাজা নামের একজন রাজা ছিল বলে আমরা ধারনা করছি যে অত্র এলাকা পরিচালনা করতো কিন্তুু ইসলাম ধর্ম প্রচারকে কেন্দ্র করে গড়াইটুপি অ¤্রবর্তী মেলার শায়িত হযরত মালেক-উল গাউসের সাথে তার বিরোধ বাঁধে এবং হঠাৎ একদিন হিন্দু এই রাজার প্রাসাদ ঢসে পড়ে মাটির নিচে গুপ্ত হয়ে যায়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত সেই অবস্থায় পড়ে আছে। কিন্তুু প্রাসাদ গুপ্ত হয়ে গেলেও প্রাসাদের ছাদ এখনও দেখা যায়। ৪ বিঘা জমির ওপর গুপ্ত প্রাসাদ সন্ধানে খননের সার্বিক সহোযোগিতায় আছেন খুলনা আঞ্চলিক প্রতœতত্ব পরিচালক আফরোজা খাঁন মিতা, সহ পরিচালক  একেএম  সাইফুল ইসলাম,  সিনিয়ার ড্রাপ্টম্যান জাহান্দার আলী, সদস্য মহিদুল ইসলাম, গোলাম ফেরদৌস, রিপন আলী প্রমূখ। প্রতœতত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ২ মে থেকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়ায় পুরাকীর্তির সন্ধানে খনন শুরু হবে।