ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে পিতা হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:০২:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯
  • / ২০১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বলিদাপাড়ায় পিতা আব্দুল গনি হত্যার দায়ে ছেলে তাহেরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এম জি আযম এ রায় প্রদান করেন। আদালত আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদ- প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার মোবারকগঞ্জ চিনিকলে কর্মচারী থাকাকালীন মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটে নিহত আব্দুল গনির। এ জন্য তাঁকে অবসর দেওয়া হয়। পরে তিনি ভিক্ষা করতেন আর খুনতলা গ্রামে এন্দেশ আলীর দরগায় রাত্রি যাপন করতেন। তাঁর ছোট ছেলে তাহেরুল বাবার সঙ্গে থাকতেন এবং চিনিকল থেকে পাওয়া দুই লাখ টাকা তাঁকে দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন। মাঝেমধ্যে বাবাকে মারধরও করতেন তাহেরুল। পরিবারের লোকজন বাধা দিলে তাঁদেরও মারধর করতেন তিনি। ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি ভিক্ষা শেষে রাতে দরগায় এসে ঘুমান আব্দুল গনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা ছেলে তাহেরুল পরদিন সকালে পরিবারের লোকদের জানান, বাবা মারা গেছেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, আব্দুল গনির দাঁত ভাঙা, মাথা ও হাতে রক্তাক্ত জখম রয়েছে। নিহত ব্যক্তির ভাই আব্দুর রহিম বাদী হয়ে তাহেরুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামি তাহেরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। সাক্ষ্য-প্রমাণে দোষী প্রমাণিত হলে আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কালীগঞ্জে পিতা হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

আপলোড টাইম : ০৮:০২:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বলিদাপাড়ায় পিতা আব্দুল গনি হত্যার দায়ে ছেলে তাহেরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এম জি আযম এ রায় প্রদান করেন। আদালত আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদ- প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার মোবারকগঞ্জ চিনিকলে কর্মচারী থাকাকালীন মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটে নিহত আব্দুল গনির। এ জন্য তাঁকে অবসর দেওয়া হয়। পরে তিনি ভিক্ষা করতেন আর খুনতলা গ্রামে এন্দেশ আলীর দরগায় রাত্রি যাপন করতেন। তাঁর ছোট ছেলে তাহেরুল বাবার সঙ্গে থাকতেন এবং চিনিকল থেকে পাওয়া দুই লাখ টাকা তাঁকে দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন। মাঝেমধ্যে বাবাকে মারধরও করতেন তাহেরুল। পরিবারের লোকজন বাধা দিলে তাঁদেরও মারধর করতেন তিনি। ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি ভিক্ষা শেষে রাতে দরগায় এসে ঘুমান আব্দুল গনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা ছেলে তাহেরুল পরদিন সকালে পরিবারের লোকদের জানান, বাবা মারা গেছেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, আব্দুল গনির দাঁত ভাঙা, মাথা ও হাতে রক্তাক্ত জখম রয়েছে। নিহত ব্যক্তির ভাই আব্দুর রহিম বাদী হয়ে তাহেরুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামি তাহেরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। সাক্ষ্য-প্রমাণে দোষী প্রমাণিত হলে আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।