ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে অপারেশনে প্রসুতির মৃত্যু ক্লিনিক ভাংচুর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৭:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭
  • / ১৩৪২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের হাসনা ক্লিনিকে অপারেশনের পর আকলিমা খাতুন (৩৫) নামে এক প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রোগির স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লিনিক ভাংচুর করেছে। ক্লিনিকে ভর্তি থাকা রোগিরাও অন্যত্র চলে যায়। আকলিমা কালীগঞ্জ পৌরসভার আড়পাড়া গ্রামের মাজেদুল ইসলামের স্ত্রী। সে ওই ক্লিনিকে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। বাচ্চাটি সুস্থ আছে। স্বজনেরা সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ্াআকলিমার প্রসব বেদনা উঠলে তাকে স্থানীয় বেসরকারী হাসনা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। বেলা আড়াইটার দিকে ডা: প্রতাপ কুমার অস্ত্রাপচার করেন। এরপর থেকে তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারকে অনেকবার বলা সত্ত্বেও তারা গুরুত্ব দেয় না। নার্সরাও ছিল অনভিজ্ঞ। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আকলিমা মারা যায়। আকলিমার স্বামীর বড়ভাই মাসুদুর রহমান জানান, ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা খুবই খারাপ। অপারেশনের পর থেকে রোগির অবস্থা অবনতি হতে থাকলে বারবার ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিককে জানানোর পরও তারা কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শনিবার সকালে সে মারা যায়। সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে হয়তোবা তাকে বাঁচানো যেত। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এদিকে প্রসুতির মৃত্যুর পর থেকে ক্লিনিকের মালিক আব্দুর রহমান পলাতক রয়েছেন। তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়নি। অপারেশনের ডাক্তার প্রতাপ কুমারের মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান জানান, খবর পেয়ে আমি নিজে ক্লিনিকে গিয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কালীগঞ্জে অপারেশনে প্রসুতির মৃত্যু ক্লিনিক ভাংচুর

আপলোড টাইম : ১০:৪৭:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের হাসনা ক্লিনিকে অপারেশনের পর আকলিমা খাতুন (৩৫) নামে এক প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রোগির স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লিনিক ভাংচুর করেছে। ক্লিনিকে ভর্তি থাকা রোগিরাও অন্যত্র চলে যায়। আকলিমা কালীগঞ্জ পৌরসভার আড়পাড়া গ্রামের মাজেদুল ইসলামের স্ত্রী। সে ওই ক্লিনিকে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। বাচ্চাটি সুস্থ আছে। স্বজনেরা সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ্াআকলিমার প্রসব বেদনা উঠলে তাকে স্থানীয় বেসরকারী হাসনা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। বেলা আড়াইটার দিকে ডা: প্রতাপ কুমার অস্ত্রাপচার করেন। এরপর থেকে তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারকে অনেকবার বলা সত্ত্বেও তারা গুরুত্ব দেয় না। নার্সরাও ছিল অনভিজ্ঞ। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আকলিমা মারা যায়। আকলিমার স্বামীর বড়ভাই মাসুদুর রহমান জানান, ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা খুবই খারাপ। অপারেশনের পর থেকে রোগির অবস্থা অবনতি হতে থাকলে বারবার ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিককে জানানোর পরও তারা কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শনিবার সকালে সে মারা যায়। সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে হয়তোবা তাকে বাঁচানো যেত। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এদিকে প্রসুতির মৃত্যুর পর থেকে ক্লিনিকের মালিক আব্দুর রহমান পলাতক রয়েছেন। তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়নি। অপারেশনের ডাক্তার প্রতাপ কুমারের মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান জানান, খবর পেয়ে আমি নিজে ক্লিনিকে গিয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।