ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কার্পাসডাঙ্গায় ভূমিদস্যুদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ জমির মালিকরা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১০৭ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় ভূমিদস্যুদের অত্যাচারের শিকার এলাকাবাসী ও সাধারণ জমির মালিকেরা। জমি ভাঙন রোধে অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী বাদী হয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু তারপরও থেমে নেই কার্পাসডাঙ্গা হোগলার মাঠে ছয়জন ভূমিদস্যুর মাটিকাটা কাজ।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মজিবার, একই গ্রামের আনের ছেলে ভুট্টু, ওসমান খাবলির ছেলে আব্দুর রশিদ খাবলি, মহাসিনের মেয়ে নাছি খাতুন ও মৃত মহাসিন মিয়ার নাতি ছেলে হালিম ফসলি আবাদি জমির মাটি বিক্রি করে কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের করিম খরার ছেলে সিদ্দিক খরা, ও মৃত মিস্টার গাবরেল মণ্ডলের ছেলে লিটন মণ্ডলের কাছে। পরে মাটি বিক্রির দালাল সিদ্দিক ও লিটন মণ্ডল ওই জমির মাটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে কেটে স্থানীয় বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে। এতে একদিকে যেমন পাশের জমি ভাঙনের আশঙ্কা করছেন জমির মালিকরা, অন্য দিকে ওই মাটি যেই রাস্তা দিয়ে বহন করা হচ্ছে, সেই রাস্তায় মাটি পড়ে মানুষের চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কাটার ফলে পাশের আবাদি জমি ভেঙে যাচ্ছে। এতে করে ফসলি জমির মালিকরা বারবার নিষেধ করার শর্তেও ওই মাটি কাটার দালালরা নির্বিকারে মাটি কেটে যাচ্ছে। এতে বর্ষা মৌসুমেতে একটু ভারী বৃষ্টি হলে ফসলি জমি ভেঙে যাবে। ফসলি জমির মালিকরা ওই মাটিকাটা দালালদের মাটি কাটতে নিষেধকরতে গেলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। ভূমিদস্যুদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ফসলি জমির মালিকদের পক্ষে এরশাদ আলী বাদী হয়ে গত ৩/১২/২০২০ইং তারিখে চুয়াডাঙ্গা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে ১৩৩ ধারায় মামলা দায়ের করেন। ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনে শাস্তির ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করছেন ফসলি জমির মালিকরা।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন, এ ধরণের অভিযোগ অনেকেই করছে। আমরা পদক্ষেপও নিচ্ছি। তবে মাটিকাটা যাতে বন্ধ হয়, তার জন্য কঠিন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কার্পাসডাঙ্গায় ভূমিদস্যুদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ জমির মালিকরা!

আপলোড টাইম : ০৯:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২০

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় ভূমিদস্যুদের অত্যাচারের শিকার এলাকাবাসী ও সাধারণ জমির মালিকেরা। জমি ভাঙন রোধে অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী বাদী হয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু তারপরও থেমে নেই কার্পাসডাঙ্গা হোগলার মাঠে ছয়জন ভূমিদস্যুর মাটিকাটা কাজ।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মজিবার, একই গ্রামের আনের ছেলে ভুট্টু, ওসমান খাবলির ছেলে আব্দুর রশিদ খাবলি, মহাসিনের মেয়ে নাছি খাতুন ও মৃত মহাসিন মিয়ার নাতি ছেলে হালিম ফসলি আবাদি জমির মাটি বিক্রি করে কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের করিম খরার ছেলে সিদ্দিক খরা, ও মৃত মিস্টার গাবরেল মণ্ডলের ছেলে লিটন মণ্ডলের কাছে। পরে মাটি বিক্রির দালাল সিদ্দিক ও লিটন মণ্ডল ওই জমির মাটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে কেটে স্থানীয় বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে। এতে একদিকে যেমন পাশের জমি ভাঙনের আশঙ্কা করছেন জমির মালিকরা, অন্য দিকে ওই মাটি যেই রাস্তা দিয়ে বহন করা হচ্ছে, সেই রাস্তায় মাটি পড়ে মানুষের চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কাটার ফলে পাশের আবাদি জমি ভেঙে যাচ্ছে। এতে করে ফসলি জমির মালিকরা বারবার নিষেধ করার শর্তেও ওই মাটি কাটার দালালরা নির্বিকারে মাটি কেটে যাচ্ছে। এতে বর্ষা মৌসুমেতে একটু ভারী বৃষ্টি হলে ফসলি জমি ভেঙে যাবে। ফসলি জমির মালিকরা ওই মাটিকাটা দালালদের মাটি কাটতে নিষেধকরতে গেলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। ভূমিদস্যুদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ফসলি জমির মালিকদের পক্ষে এরশাদ আলী বাদী হয়ে গত ৩/১২/২০২০ইং তারিখে চুয়াডাঙ্গা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে ১৩৩ ধারায় মামলা দায়ের করেন। ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনে শাস্তির ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করছেন ফসলি জমির মালিকরা।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন, এ ধরণের অভিযোগ অনেকেই করছে। আমরা পদক্ষেপও নিচ্ছি। তবে মাটিকাটা যাতে বন্ধ হয়, তার জন্য কঠিন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।