ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কার্পাসডাঙ্গায় দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ বছর ধরে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য, শিক্ষার বেহাল দশা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা:
দামুডহুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে প্রায় ১০ বছর ধরে। এর মধ্যে কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই তিন বছর। গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদে শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয় দুটির লেখাপড়ার মান একেবারেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। শিক্ষার এমন বেহাল দশায় এলাকার সচেতন মহল একেবারেই হতাশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিচালনা কমিটি গঠন করে শিক্ষার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন অভিভাবকসহ সচেতন মহল।
সরেজমিন বিদ্যালয় দুটি ঘুরে জানা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা এলাকার অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য কার্পাসডাঙ্গার এ দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করান। শিক্ষার মানও ছিল ঈর্ষন্বীয়। কিন্তু কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার মান নিম্নমুখী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ৪ বছর ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ ৭ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য প্রায় ১০ বছর। এসব শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য একাধিকবার জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিলেও শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেনি তৎকালীন পরিচালনা কমিটি।

এদিকে কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইন্মানুয়েল মণ্ডল বাবলু ২০১৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তারপর থেকেই বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক খাইরুল বাসার ২০১৫ সালে উক্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হলেও তিনি ২০১৯ চাকুরি ছেড়ে দেন। সেই থেকে বিদ্যালয়ে দু’টি পদই শূন্য রয়েছে।

এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জেসমিন আরা বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ও পরীক্ষার জন্য নিয়োগ প্রত্যাশীদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষার আগের দিন স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হলে আর পরীক্ষা হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়ে কোন কমিটি নেই। কমিটির বিষয়ে আদালতে মামলা থাকায় কমিটি গঠন ও নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিলেও কাউকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়ের কোন কমিটি নেই। কমিটি হলে তারপর নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কার্পাসডাঙ্গায় দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ বছর ধরে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য, শিক্ষার বেহাল দশা

আপলোড টাইম : ০৯:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

প্রতিবেদক, কার্পাসডাঙ্গা:
দামুডহুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে প্রায় ১০ বছর ধরে। এর মধ্যে কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই তিন বছর। গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদে শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয় দুটির লেখাপড়ার মান একেবারেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। শিক্ষার এমন বেহাল দশায় এলাকার সচেতন মহল একেবারেই হতাশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিচালনা কমিটি গঠন করে শিক্ষার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন অভিভাবকসহ সচেতন মহল।
সরেজমিন বিদ্যালয় দুটি ঘুরে জানা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা এলাকার অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য কার্পাসডাঙ্গার এ দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করান। শিক্ষার মানও ছিল ঈর্ষন্বীয়। কিন্তু কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার মান নিম্নমুখী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ৪ বছর ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ ৭ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য প্রায় ১০ বছর। এসব শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য একাধিকবার জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দিলেও শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেনি তৎকালীন পরিচালনা কমিটি।

এদিকে কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইন্মানুয়েল মণ্ডল বাবলু ২০১৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তারপর থেকেই বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক খাইরুল বাসার ২০১৫ সালে উক্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হলেও তিনি ২০১৯ চাকুরি ছেড়ে দেন। সেই থেকে বিদ্যালয়ে দু’টি পদই শূন্য রয়েছে।

এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জেসমিন আরা বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ও পরীক্ষার জন্য নিয়োগ প্রত্যাশীদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষার আগের দিন স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হলে আর পরীক্ষা হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়ে কোন কমিটি নেই। কমিটির বিষয়ে আদালতে মামলা থাকায় কমিটি গঠন ও নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিলেও কাউকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়ের কোন কমিটি নেই। কমিটি হলে তারপর নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’