ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কাউকে কষ্ট দেয়া পাপ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ মে ২০১৮
  • / ৫৪১ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: ইসলাম সমাজঘনিষ্ঠ একটি ধর্ম। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করবে এর বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে ইসলামে। ইসলামের নির্দেশনাগুলো হলো সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল সমাজের হাতিয়ার। ইসলাম সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। পারস্পরিক সহাবস্থানে কোনো ধরনের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় এমন কোনো প্রক্রিয়াকে ইসলাম সমর্থন করে না। মুসলমান হিসেবে সামাজিক আচার-আচরণ কী হওয়া উচিত এর নির্দেশনা ইসলামে দেয়া হয়েছে। অন্যের অধিকার যেন ক্ষুণœ না হয় সে দিকে ইসলামের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। একসঙ্গে বসবাসের ক্ষেত্রে কোনো মানুষকে কষ্ট দেয়া ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না। হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুসলমান তাকে বলা হবে যার মুখ ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ এবং মুমিন ওই ব্যক্তি যার পক্ষ থেকে অন্য মানুষের জান-মালের কোনো শঙ্কা থাকে না।’ সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে ইসলাম যত বিধিবিধান দিয়েছে, এর মূল উদ্দেশ্য হলো এর দ্বারা কোনো মানুষ যেন কষ্টে না পড়ে। হাদিসে মানুষের অনিষ্ট থেকে হাত ও মুখকে বিরত রাখার কথা বলা হয়েছে। হাতের দ্বারা কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্য তো স্পষ্ট। কেননা এর মাধ্যমে অন্যায়ভাবে মারপিট, লড়াই-ঝগড়া হয়ে থাকে। কিন্তু মুখের দ্বারা কষ্ট দেয়ার ভেতর অসংখ্য গুনাহ ও অন্যায়ের সমন্বয় ঘটে থাকে। যেমন মিথ্যা, ধোঁকা-প্রতারণা, অঙ্গীকার ভঙ্গ, গিবত, পরশ্রীকাতরতা, গালমন্দ বা এমন কোনো কথা বলে দেয়া যার দ্বারা অন্যের অন্তর ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এছাড়াও কষ্ট পোহানোর আরো যত পদ্ধতি হতে পারে, এর সবটিকেই এই হাদিসে হারাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ কারণেই ইসলামের প্রতিটি নির্দেশেই অন্যকে কষ্ট থেকে বাঁচানোর তাগিদ রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কাউকে কষ্ট দেয়া পাপ

আপলোড টাইম : ১১:০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ মে ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: ইসলাম সমাজঘনিষ্ঠ একটি ধর্ম। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করবে এর বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে ইসলামে। ইসলামের নির্দেশনাগুলো হলো সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল সমাজের হাতিয়ার। ইসলাম সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। পারস্পরিক সহাবস্থানে কোনো ধরনের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় এমন কোনো প্রক্রিয়াকে ইসলাম সমর্থন করে না। মুসলমান হিসেবে সামাজিক আচার-আচরণ কী হওয়া উচিত এর নির্দেশনা ইসলামে দেয়া হয়েছে। অন্যের অধিকার যেন ক্ষুণœ না হয় সে দিকে ইসলামের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। একসঙ্গে বসবাসের ক্ষেত্রে কোনো মানুষকে কষ্ট দেয়া ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না। হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুসলমান তাকে বলা হবে যার মুখ ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ এবং মুমিন ওই ব্যক্তি যার পক্ষ থেকে অন্য মানুষের জান-মালের কোনো শঙ্কা থাকে না।’ সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে ইসলাম যত বিধিবিধান দিয়েছে, এর মূল উদ্দেশ্য হলো এর দ্বারা কোনো মানুষ যেন কষ্টে না পড়ে। হাদিসে মানুষের অনিষ্ট থেকে হাত ও মুখকে বিরত রাখার কথা বলা হয়েছে। হাতের দ্বারা কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্য তো স্পষ্ট। কেননা এর মাধ্যমে অন্যায়ভাবে মারপিট, লড়াই-ঝগড়া হয়ে থাকে। কিন্তু মুখের দ্বারা কষ্ট দেয়ার ভেতর অসংখ্য গুনাহ ও অন্যায়ের সমন্বয় ঘটে থাকে। যেমন মিথ্যা, ধোঁকা-প্রতারণা, অঙ্গীকার ভঙ্গ, গিবত, পরশ্রীকাতরতা, গালমন্দ বা এমন কোনো কথা বলে দেয়া যার দ্বারা অন্যের অন্তর ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এছাড়াও কষ্ট পোহানোর আরো যত পদ্ধতি হতে পারে, এর সবটিকেই এই হাদিসে হারাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ কারণেই ইসলামের প্রতিটি নির্দেশেই অন্যকে কষ্ট থেকে বাঁচানোর তাগিদ রয়েছে।