ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনা শনাক্ত করবে মাস্ক!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৬:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
  • / ১৭৩ বার পড়া হয়েছে

বিষ্ময় ডেস্ক:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ‘মাস্কে’ মুখ ঢেকেছেন বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ। আর তাই মহামারী করোনাভাইরাস শনাক্তে সক্ষম এক ধরনের মাস্ক তৈরি করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা। এবার কেউ মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা শনাক্ত করবে সেই ‘মাস্ক’ই। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি) বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এক অভিনব ‘মাস্ক’ তৈরি করছেন, যাতে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির নিঃশ্বাস, হাঁচি কিংবা কাশি নিঃসৃত হলেই ফ্লুরোসেন্ট সিগন্যাল তৈরি হয়ে তা আলোকিত হয়ে উঠবে।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত সিনথেটিক জীববিজ্ঞানী ও এমআইটির অধ্যাপক জিম কলিন্স জানিয়েছেন, ‘এর আগে জিকা ও ইবোলার রুগীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করেই এবার মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে। মাস্কের মধ্যে একটি বিশেষ সেন্সর থাকছে। ওই সেন্সরই ভাইরাসকে শনাক্ত করবে। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রং হলুদ থেকে বেগুনিতে পরিবর্তিত হবে।’ করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য যে অত্যাধুনিক মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে, তা কার্যকরী কিনা তা প্রমাণ করার জন্য গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লালার নমুনা দিয়ে পরীক্ষা করা চলছে। তাতে সাফল্যও মিলেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। কলিন্সের কথায়, ‘নতুন এই মাস্কগুলো বিমানবন্দর, ট্রেন স্টেশন, অফিস, হাসপাতাল সহ অন্যান্য স্থানে সংক্রামিত লোকদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই সব স্থানে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার চেয়ে ফেস মাস্কগুলো আরও বেশি নির্ভরযোগ্য।’ কবে নাগাদ বাজারে মিলতে পারে ‘মাস্ক’ সেই প্রশ্নের জবাবে এমআইটি’র বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বলেন, ‘আরও বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। আশা করা যাচ্ছে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী গরমেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে বিশেষ ‘মাস্ক’।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

করোনা শনাক্ত করবে মাস্ক!

আপলোড টাইম : ০৯:২৬:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০

বিষ্ময় ডেস্ক:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ‘মাস্কে’ মুখ ঢেকেছেন বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ। আর তাই মহামারী করোনাভাইরাস শনাক্তে সক্ষম এক ধরনের মাস্ক তৈরি করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা। এবার কেউ মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা শনাক্ত করবে সেই ‘মাস্ক’ই। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি) বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এক অভিনব ‘মাস্ক’ তৈরি করছেন, যাতে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির নিঃশ্বাস, হাঁচি কিংবা কাশি নিঃসৃত হলেই ফ্লুরোসেন্ট সিগন্যাল তৈরি হয়ে তা আলোকিত হয়ে উঠবে।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত সিনথেটিক জীববিজ্ঞানী ও এমআইটির অধ্যাপক জিম কলিন্স জানিয়েছেন, ‘এর আগে জিকা ও ইবোলার রুগীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করেই এবার মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে। মাস্কের মধ্যে একটি বিশেষ সেন্সর থাকছে। ওই সেন্সরই ভাইরাসকে শনাক্ত করবে। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রং হলুদ থেকে বেগুনিতে পরিবর্তিত হবে।’ করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য যে অত্যাধুনিক মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে, তা কার্যকরী কিনা তা প্রমাণ করার জন্য গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লালার নমুনা দিয়ে পরীক্ষা করা চলছে। তাতে সাফল্যও মিলেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। কলিন্সের কথায়, ‘নতুন এই মাস্কগুলো বিমানবন্দর, ট্রেন স্টেশন, অফিস, হাসপাতাল সহ অন্যান্য স্থানে সংক্রামিত লোকদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই সব স্থানে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার চেয়ে ফেস মাস্কগুলো আরও বেশি নির্ভরযোগ্য।’ কবে নাগাদ বাজারে মিলতে পারে ‘মাস্ক’ সেই প্রশ্নের জবাবে এমআইটি’র বিশিষ্ট বিজ্ঞানী বলেন, ‘আরও বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। আশা করা যাচ্ছে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী গরমেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে বিশেষ ‘মাস্ক’।