ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনা উপসর্গ নিয়ে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩২:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০
  • / ২০৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় নতুন আরও ১০ জন আক্রান্ত, ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জন সুস্থ

নিজস্ব প্রতিবেদক:তিন দিন পর পিসিআর ল্যাব থেকে করোনা পরীক্ষার ফলাফল পেল চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিস। গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস চুয়াডাঙ্গা থেকে ২০ আগস্ট প্রেরিত ৩৫ জনের নমুনার ফলাফল প্রকাশ করে পিসিআর ল্যাব। এর মধ্যে ১০ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং বাকি ২৫ জনের নমুনার ফলাফল নেগেটিভ। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১১৮ জন। গতকাল করোনা উপসর্গে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০ আগস্ট করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত হাফিজা বেগমের প্রেরিত নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ জনে। গতকাল জেলায় নতুন ১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। গতকাল করোনা আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৭ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ২ জন ও জীবননগর উপজেলার ১ জন। নতুন আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে পুরুষ ৮ জন ও নারী ২ জন। আক্রান্তদের বয়স ৩৪ থেকে ৬৩ বছরের মধ্যে।

জানা যায়, ১৯ আগস্ট বুধবার জেলা সিভিল সার্জন অফিস চুয়াডাঙ্গায় নতুন ১৭ জন করোনা শনাক্তের ফলাফল পায়। গত মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) করোনা আক্রান্ত সন্দেহে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। এর মধ্যে গত বুধবার ২৮ জনের নমুনার ফলাফল আসে। যার মধ্যে করোনা পজিটিভ ৯ জন ও নেগেটিভ ১৯ জন। এদিকে, গত সোমবার (১৭ আগস্ট) সংগৃহীত নমুনার বাকি ২৯ জনের রিপোর্ট এসেছে। ২৯ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ জন ও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে ২১ জনের। এরপর কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পরপর তিন দিন ল্যাবে কোনো নমুনার পরীক্ষা করা হয়নি। গত শনিবার পর্যন্ত পিসিআর ল্যাবে আটকে ছিল চুয়াডাঙ্গার ২২৪টি নমুনার ফলাফল।

গতকাল করোনা আক্রান্ত সন্দেহে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৮০টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে। এ নিয়ে ফলাফল পেতে বাকি থাকছে ২৭৪টি নমুনার।

এদিকে, করোনা উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালের ইয়োলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া হাফিজা বেগমের (৬৩) নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের ইয়োলো জোনে তাঁর মৃত্যু হয়। শরীরে করোনা উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর পর তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। গতকাল রোববার উক্ত নমুনায় করোনা শনাক্ত করেছে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব। নিহত হাফিজা বেগম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিঅ্যান্ডবিপাড়ার মৃত আকরাম আলীর স্ত্রী।

অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গায় করোনা উপসর্গ নিয়ে আব্দুল হান্নান (৪৫) নমের এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। গতকার রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় আব্দুল হান্নানকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আব্দুল হান্নান কুষ্টিয়া জেলার দৌলাতপুর থানার সাতারপাড়া গ্রামের রিকাত আলী মেম্বারের ছেলে ও চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানাধীন মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পে কনস্টেবল পদে কর্তব্যরত ছিলেন।

জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবত আব্দুল হান্নান ঠাণ্ডা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল রোববার সকালে পরিবারে সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস আব্দুল হান্নানকে মৃত ঘোষণা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির বলেন, হাসপাতালের নেওয়ার পূর্বেই পুলিশ সদস্য আব্দুল হান্নানের মৃত্যু হয়। তিনি কিছুদিন যাবত ঠান্ডা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তাঁর শরীরে  করোনা উপসর্গ ঠান্ডা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে, গতকাল দুপুরেই পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিহতের লাশ নিয়ে নিজ ঠিকানা কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সেখানেই নিহতের লাশের দাফনকার্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানা যায়। গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হোম আইসোলেশন থেকে নতুন ১০ জন ও জীবননগর উপজেলার হোম আইসোলেশস থেকে ৩ জনসহ মোট ১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২৩ জন।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৪ হাজার ৭৪০টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৪ হাজার ৪৭১টি, পজেটিভ ১ হাজার ১১৮ জন, নেগেটিভ ৩ হাজার ২৬৩ জন। ফলাফল পেতে বাকি আছে ২৭৪টি নমুনার। গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হোম আইসোলেশন থেকে ১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থতার সংখ্যা ৬২৩ জন ও মৃত্যু ২৬ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলায় গতকাল হোম আইসোলেসনে ছিলেন ৪২০ জন ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ছিলেন ৪২ জন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

করোনা উপসর্গ নিয়ে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু!

আপলোড টাইম : ১০:৩২:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০

চুয়াডাঙ্গায় নতুন আরও ১০ জন আক্রান্ত, ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জন সুস্থ

নিজস্ব প্রতিবেদক:তিন দিন পর পিসিআর ল্যাব থেকে করোনা পরীক্ষার ফলাফল পেল চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিস। গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস চুয়াডাঙ্গা থেকে ২০ আগস্ট প্রেরিত ৩৫ জনের নমুনার ফলাফল প্রকাশ করে পিসিআর ল্যাব। এর মধ্যে ১০ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং বাকি ২৫ জনের নমুনার ফলাফল নেগেটিভ। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১১৮ জন। গতকাল করোনা উপসর্গে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০ আগস্ট করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত হাফিজা বেগমের প্রেরিত নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ জনে। গতকাল জেলায় নতুন ১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। গতকাল করোনা আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৭ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ২ জন ও জীবননগর উপজেলার ১ জন। নতুন আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে পুরুষ ৮ জন ও নারী ২ জন। আক্রান্তদের বয়স ৩৪ থেকে ৬৩ বছরের মধ্যে।

জানা যায়, ১৯ আগস্ট বুধবার জেলা সিভিল সার্জন অফিস চুয়াডাঙ্গায় নতুন ১৭ জন করোনা শনাক্তের ফলাফল পায়। গত মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) করোনা আক্রান্ত সন্দেহে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। এর মধ্যে গত বুধবার ২৮ জনের নমুনার ফলাফল আসে। যার মধ্যে করোনা পজিটিভ ৯ জন ও নেগেটিভ ১৯ জন। এদিকে, গত সোমবার (১৭ আগস্ট) সংগৃহীত নমুনার বাকি ২৯ জনের রিপোর্ট এসেছে। ২৯ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ জন ও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে ২১ জনের। এরপর কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পরপর তিন দিন ল্যাবে কোনো নমুনার পরীক্ষা করা হয়নি। গত শনিবার পর্যন্ত পিসিআর ল্যাবে আটকে ছিল চুয়াডাঙ্গার ২২৪টি নমুনার ফলাফল।

গতকাল করোনা আক্রান্ত সন্দেহে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৮০টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে। এ নিয়ে ফলাফল পেতে বাকি থাকছে ২৭৪টি নমুনার।

এদিকে, করোনা উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালের ইয়োলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া হাফিজা বেগমের (৬৩) নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের ইয়োলো জোনে তাঁর মৃত্যু হয়। শরীরে করোনা উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর পর তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। গতকাল রোববার উক্ত নমুনায় করোনা শনাক্ত করেছে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব। নিহত হাফিজা বেগম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিঅ্যান্ডবিপাড়ার মৃত আকরাম আলীর স্ত্রী।

অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গায় করোনা উপসর্গ নিয়ে আব্দুল হান্নান (৪৫) নমের এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। গতকার রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় আব্দুল হান্নানকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আব্দুল হান্নান কুষ্টিয়া জেলার দৌলাতপুর থানার সাতারপাড়া গ্রামের রিকাত আলী মেম্বারের ছেলে ও চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানাধীন মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পে কনস্টেবল পদে কর্তব্যরত ছিলেন।

জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবত আব্দুল হান্নান ঠাণ্ডা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল রোববার সকালে পরিবারে সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস আব্দুল হান্নানকে মৃত ঘোষণা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির বলেন, হাসপাতালের নেওয়ার পূর্বেই পুলিশ সদস্য আব্দুল হান্নানের মৃত্যু হয়। তিনি কিছুদিন যাবত ঠান্ডা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তাঁর শরীরে  করোনা উপসর্গ ঠান্ডা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে, গতকাল দুপুরেই পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিহতের লাশ নিয়ে নিজ ঠিকানা কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সেখানেই নিহতের লাশের দাফনকার্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানা যায়। গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হোম আইসোলেশন থেকে নতুন ১০ জন ও জীবননগর উপজেলার হোম আইসোলেশস থেকে ৩ জনসহ মোট ১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২৩ জন।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৪ হাজার ৭৪০টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৪ হাজার ৪৭১টি, পজেটিভ ১ হাজার ১১৮ জন, নেগেটিভ ৩ হাজার ২৬৩ জন। ফলাফল পেতে বাকি আছে ২৭৪টি নমুনার। গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের হোম আইসোলেশন থেকে ১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থতার সংখ্যা ৬২৩ জন ও মৃত্যু ২৬ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলায় গতকাল হোম আইসোলেসনে ছিলেন ৪২০ জন ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ছিলেন ৪২ জন।