ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:১৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০২০
  • / ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৮১টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৭০৬। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ৭৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই লাখ ২৩ হাজার ৬৯৭ জন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট দুই লাখ ৫৮ হাজার ২১৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ছয় হাজার ৬০৫ জনের। তবে মৃতের হিসাবে শীর্ষে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ৬৮১। আর আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৮২৭ জন। মৃতের হিসাবে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৯৩৫। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ৭১০। স্পেনের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে চীনে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৮২ হাজার ৫০৯ জন। এর মধ্যে তিন হাজার ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে চীনের বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপনের অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) সন্দেহ প্রকাশ করবে।’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে নতুন সংক্রমণ গোপন না করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি খোয়াচিয়াম। গত ২৩ মার্চ কর্মকর্তাদের প্রতি দেওয়া তার এ সংক্রান্ত ভাষণ পরদিন ২৪ মার্চ সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। লি খোয়াচিয়াম বলেন, স্বচ্ছতার মানে হচ্ছে নতুন কেউ আক্রান্ত হলে অবশ্যই তা রিপোর্ট করা উচিত। যা ঘটেছে তাই বলা উচিত। কোনও কিছু অবশ্যই ধামাচাপা দেওয়া হবে না।
এদিকে করোনাভাইরাসের মহামারি এখনও সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পৌঁছায়নি বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সিরিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেনের মতো সংঘাত কবলিত দেশগুলোতে সংক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি আরও বিপর্যয়কর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। ৩ এপ্রিল শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘ভাইরাসটি দেখিয়ে দিয়েছে কত দ্রুত তা সীমান্ত পার হতে পারে, দেশ বিধ্বস্ত করে দিয়ে জীবন কেড়ে নিতে পারে।’ করোনা মহামারি মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে আরও বেশি সহায়তা দিতে উন্নত দেশ এবং বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে

আপলোড টাইম : ০৩:১৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদন:
দুনিয়াজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৮১টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৭০৬। এর মধ্যে ৫৬ হাজার ৭৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই লাখ ২৩ হাজার ৬৯৭ জন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট দুই লাখ ৫৮ হাজার ২১৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ছয় হাজার ৬০৫ জনের। তবে মৃতের হিসাবে শীর্ষে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ৬৮১। আর আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৮২৭ জন। মৃতের হিসাবে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৯৩৫। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ৭১০। স্পেনের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে চীনে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৮২ হাজার ৫০৯ জন। এর মধ্যে তিন হাজার ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে চীনের বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপনের অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনও মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) সন্দেহ প্রকাশ করবে।’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে নতুন সংক্রমণ গোপন না করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি খোয়াচিয়াম। গত ২৩ মার্চ কর্মকর্তাদের প্রতি দেওয়া তার এ সংক্রান্ত ভাষণ পরদিন ২৪ মার্চ সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। লি খোয়াচিয়াম বলেন, স্বচ্ছতার মানে হচ্ছে নতুন কেউ আক্রান্ত হলে অবশ্যই তা রিপোর্ট করা উচিত। যা ঘটেছে তাই বলা উচিত। কোনও কিছু অবশ্যই ধামাচাপা দেওয়া হবে না।
এদিকে করোনাভাইরাসের মহামারি এখনও সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পৌঁছায়নি বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সিরিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেনের মতো সংঘাত কবলিত দেশগুলোতে সংক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি আরও বিপর্যয়কর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। ৩ এপ্রিল শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘ভাইরাসটি দেখিয়ে দিয়েছে কত দ্রুত তা সীমান্ত পার হতে পারে, দেশ বিধ্বস্ত করে দিয়ে জীবন কেড়ে নিতে পারে।’ করোনা মহামারি মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে আরও বেশি সহায়তা দিতে উন্নত দেশ এবং বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস।