ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৯:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০
  • / ১৩১ বার পড়া হয়েছে

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩৫, শনাক্ত ২,৯৬০; মোট মৃত্যু ৩,০০০, শনাক্ত ২,২৯,১৮৫
সমীকরণ প্রতিবেদন:
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার ১৪৩ দিনের মাথায় সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা তিন হাজারে পৌঁছল। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৩০ হাজারের ঘর ছুঁই ছুঁই করছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে তিন হাজার। গত এক দিনে আরও দুই হাজার ৯৬০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ২৯ হাজার ১৮৫ জনে। বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক হাজার ৭৩১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ২৭ হাজার ৪১৪ জন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। প্রায় এক মাস পর ২০ এপ্রিল মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছিল। তা ৫০০ ছাড়ায় গত ২৫ মে। এরপর ১০ জুন মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। দেড় হাজার ছাড়ায় ২২ জুন। করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ৮৫ দিন পর ৫ জুলাই মৃতের সংখ্যা দুই হাজারের ঘর ছাড়িয়ে যায়। এরপর তা আড়াই হাজারের ঘর ছাড়িয়ে যায় ১৭ জুলাই। মঙ্গলবার সেই সংখ্যা তিন হাজারের ঘর স্পর্শ করল। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় ১৮ জুলাই। এর মধ্যে ২ জুলাই চার হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ।
ড. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ, ৯ জন নারী। ২৬ জন হাসপাতালে এবং আটজন বাড়িতে মারা গেছেন; আর একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। এই ৩৫ জনের মধ্যে চারজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এ ছাড়া তিনজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১৩ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, তিনজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং দুইজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। তাদের ১২ জন ঢাকা বিভাগের, পাঁজজন চট্টগ্রাম বিভাগের, চারজন খুলনা বিভাগের, চারজন সিলেট বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, দুইজন রংপুর বিভাগের, দুইজন ময়মনসিংহ বিভাগের এবং তিনজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
নাসিমা সুলতানা জানান, এ পর্যন্ত মারা যাওয়া তিন হাজারের মধ্যে দুই হাজার ৩৫৮ জন পুরুষ এবং ৬৪২ জন নারী। তাদের মধ্যে এক হাজার ৩৭৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এ ছাড়া ৮৬৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪২৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২০০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৮৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩০ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৮ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম ছিল। এক হাজার ৪৪৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৭৩১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১৭৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ২১২ জন খুলনা বিভাগের, ১১৫ জন বরিশাল বিভাগের, ১৪৪ জন সিলেট বিভাগের, ১১৩ জন রংপর বিভাগের এবং ৬৪ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৮১টি ল্যাবে ১২ হাজার ৭১৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ ৩৭ হাজার ১৩১টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৭১৩ জন, ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৩২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৪৮ হাজার ৪৮৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫০১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৯৮৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৯২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন চার লাখ ২৯ হাজার ৯৮৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৫২৩ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৭২ হাজার ১৩০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৭ হাজার ৮৫৯ জন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

করোনায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৮:৫৯:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩৫, শনাক্ত ২,৯৬০; মোট মৃত্যু ৩,০০০, শনাক্ত ২,২৯,১৮৫
সমীকরণ প্রতিবেদন:
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার ১৪৩ দিনের মাথায় সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা তিন হাজারে পৌঁছল। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৩০ হাজারের ঘর ছুঁই ছুঁই করছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে তিন হাজার। গত এক দিনে আরও দুই হাজার ৯৬০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ২৯ হাজার ১৮৫ জনে। বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক হাজার ৭৩১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ২৭ হাজার ৪১৪ জন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। প্রায় এক মাস পর ২০ এপ্রিল মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছিল। তা ৫০০ ছাড়ায় গত ২৫ মে। এরপর ১০ জুন মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। দেড় হাজার ছাড়ায় ২২ জুন। করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ৮৫ দিন পর ৫ জুলাই মৃতের সংখ্যা দুই হাজারের ঘর ছাড়িয়ে যায়। এরপর তা আড়াই হাজারের ঘর ছাড়িয়ে যায় ১৭ জুলাই। মঙ্গলবার সেই সংখ্যা তিন হাজারের ঘর স্পর্শ করল। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় ১৮ জুলাই। এর মধ্যে ২ জুলাই চার হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ।
ড. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ, ৯ জন নারী। ২৬ জন হাসপাতালে এবং আটজন বাড়িতে মারা গেছেন; আর একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। এই ৩৫ জনের মধ্যে চারজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এ ছাড়া তিনজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১৩ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, তিনজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং দুইজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। তাদের ১২ জন ঢাকা বিভাগের, পাঁজজন চট্টগ্রাম বিভাগের, চারজন খুলনা বিভাগের, চারজন সিলেট বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, দুইজন রংপুর বিভাগের, দুইজন ময়মনসিংহ বিভাগের এবং তিনজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
নাসিমা সুলতানা জানান, এ পর্যন্ত মারা যাওয়া তিন হাজারের মধ্যে দুই হাজার ৩৫৮ জন পুরুষ এবং ৬৪২ জন নারী। তাদের মধ্যে এক হাজার ৩৭৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এ ছাড়া ৮৬৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪২৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২০০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৮৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩০ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৮ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম ছিল। এক হাজার ৪৪৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৭৩১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১৭৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ২১২ জন খুলনা বিভাগের, ১১৫ জন বরিশাল বিভাগের, ১৪৪ জন সিলেট বিভাগের, ১১৩ জন রংপর বিভাগের এবং ৬৪ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৮১টি ল্যাবে ১২ হাজার ৭১৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ ৩৭ হাজার ১৩১টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৭১৩ জন, ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৩২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৪৮ হাজার ৪৮৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫০১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৯৮৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৯২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন চার লাখ ২৯ হাজার ৯৮৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৫২৩ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৭২ হাজার ১৩০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৭ হাজার ৮৫৯ জন।