ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনায় আতঙ্ক নয়, সমাধান সচেতনতায়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
  • / ২১১ বার পড়া হয়েছে

সমসাময়িক বিষয়ভিত্তিক ‘সমীকরণ সংলাপে’ এসপি জাহিদ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
মহামারী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সচেতনতায় যখন মুক্তির পথ। ঠিক সেই মুহূর্তে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক এবং গণমাধ্যমকর্মীদের করণীয় নিয়ে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে দৈনিক সময়ের সমীকরণ। পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিকের পরিকল্পনা ও গ্রন্থনায় দৈনিক সময়ের সমীকর-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে নিয়মিত “সমসাময়িক বিষয়ভিত্তিক ‘সমীকরণ সংলাপ’ নামের একটি আলোচনার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারে কারিগরী সহযোগিতায় ছিলেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদক এসএম শাফায়েতসহ সমীকরণ অনলাইন টিম।
আলোচনার প্রসঙ্গ রাখা হয়েছে ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও আমাদের করণীয়’। অনুষ্ঠানে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় দৈনিক সময়ের সমীকরণ’র প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপনের পরিচালনা ও সঞ্চালনায় নিজ কার্যালয় থেকে সংলাপে সরাসরি অংশ নেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
নাজমুল হক স্বপনের স্বাগত বক্তব্যের পর দর্শক ও শ্রোতাদের সালাম জানিয়ে প্রসঙ্গত আলোচনা শুরু করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। শুরুতে তিনি বলেন, ‘এই মহামারী করোনাভাইরাসের ক্রান্তিলগ্নে সবাইকে অনুরোধ করবো মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে দোয়া করার জন্য। যেন আমরা অচিরেই এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পায়। আমরা মানুষকে সচেতন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। করোনায় কোন আতঙ্ক নয়, সচেতনতায় এর সমাধানের একমাত্র উপায়। এখনও কোন ভেক্সিনেশন কিম্বা টিকা যেহেতু আবিষ্কার হয়নি। তাই আপনি যতটা সঙ্গনিরোধ করবেন, মানুষের সান্নিধ্য এড়িয়ে চলবেন, ততটাই আমাদের জন্য মঙ্গল।’
পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রসঙ্গে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই পরিস্থিতির শুরুর দিকে যখন আমরা মাঠে নেমেছি তখন আমাদের কাছে সুরক্ষা সামগ্রী কিছুই ছিল না। তখন আমরাও বুঝতে পারিনি সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে এটা মোকাবিলা করতে হবে। তাৎক্ষণিক পুলিশ হেডকোয়াটার থেকে নির্দেশনা আসে- রেইনকোট পরেই মাঠে নেমে যাও। তখন আমরা রেইনকোটকেই পিপিই হিসেবে ব্যবহার করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করি। পরবর্তীতে আমাদের কাছে পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ডস্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লভস আসতে থাকে। এ ক্ষেত্রে আমাদের অভিভাবক পুলিশ প্রধান ড. বেনজির আহমেদ সার্বিক নির্দেশনা দিয়েছেন। পুলিশ লাইন্স থেকে শুরু করে প্রত্যেক থানা, ফাঁড়ি, ক্যাম্পে পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই পৌঁছে দিয়েছি। এরমধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে ছয় হাজার ৫৫১টি, পিপিই বিতরণ করেছি ৮৫৭টি। তবে পিপিই সবার লাগে না। ক্ষেত্র বিশেষ দায়িত্বপালন করতে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের পিপিই নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন, জিঙ্ক ট্যাবলেট ও কিছু হোমিও ওষুধ দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের কোন সদস্য করোনাভাইরাস আক্রান্ত হননি। তবে গোকুলখালি ক্যাম্পে কর্মরত আনসারের একজন সদস্য আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনি খুবই সুস্থ আছেন। তবে কোয়ারেন্টিনে রাখা ১৩ জন পুলিশ সদস্যের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাদের সবার নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।’
অসহায় ও কর্মহীন মানুষদের বাড়ি বাড়ি জেলা পুলিশের খাদ্য সহায়তা প্রদান প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, “মানুষ মানুষের জন্য, পুলিশ মানুষের বন্ধু, সেবাই পুলিশের ধর্ম’ স্লোগান নিয়ে একটা ফর্ম পূরণের সুযোগ তৈরি করি। যেখানে লেখা হয় ‘ফর্ম পূরণ করুন, খাদ্য সহায়তা নিন’। বিভিন্ন ভাবে এটি জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিই। পরবর্তীতে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ‘পি টু সি’ পদ্ধতিতে দুয়ারে দুয়ারে খাবার পৌঁছে দিয়েছি। ৫০০ প্যাকেট দিয়ে শুরু করেছিলাম, তারপর ৪০০ প্যাকেট। এ পর্যন্ত ছয় হাজার ৬৯২ প্যাকেট অসহায় ও দুস্থদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছি।’
এ ছাড়াও সঞ্চালক ও দর্শকদের সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দেয়াসহ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামজিক দূরত্ব নিশ্চিত, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা পুলিশের ভূমিকা, করোনাকালে অপরাধ প্রবণতা, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা, জেলাবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।
আজকের অতিথি: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন এবং যমুনা টিভি ও দেশ রুপান্তরের জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম ডালিম। দেখতে, শুনতে ও আপনার সুচিন্তিত পরামর্শ জানাতে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় যুক্ত হোন দৈনিক সময়ের সমীকরণ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

করোনায় আতঙ্ক নয়, সমাধান সচেতনতায়

আপলোড টাইম : ০৯:৫১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০

সমসাময়িক বিষয়ভিত্তিক ‘সমীকরণ সংলাপে’ এসপি জাহিদ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
মহামারী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সচেতনতায় যখন মুক্তির পথ। ঠিক সেই মুহূর্তে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক এবং গণমাধ্যমকর্মীদের করণীয় নিয়ে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে দৈনিক সময়ের সমীকরণ। পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিকের পরিকল্পনা ও গ্রন্থনায় দৈনিক সময়ের সমীকর-এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে নিয়মিত “সমসাময়িক বিষয়ভিত্তিক ‘সমীকরণ সংলাপ’ নামের একটি আলোচনার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারে কারিগরী সহযোগিতায় ছিলেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদক এসএম শাফায়েতসহ সমীকরণ অনলাইন টিম।
আলোচনার প্রসঙ্গ রাখা হয়েছে ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও আমাদের করণীয়’। অনুষ্ঠানে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে নয়টায় দৈনিক সময়ের সমীকরণ’র প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপনের পরিচালনা ও সঞ্চালনায় নিজ কার্যালয় থেকে সংলাপে সরাসরি অংশ নেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
নাজমুল হক স্বপনের স্বাগত বক্তব্যের পর দর্শক ও শ্রোতাদের সালাম জানিয়ে প্রসঙ্গত আলোচনা শুরু করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। শুরুতে তিনি বলেন, ‘এই মহামারী করোনাভাইরাসের ক্রান্তিলগ্নে সবাইকে অনুরোধ করবো মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে দোয়া করার জন্য। যেন আমরা অচিরেই এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পায়। আমরা মানুষকে সচেতন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। করোনায় কোন আতঙ্ক নয়, সচেতনতায় এর সমাধানের একমাত্র উপায়। এখনও কোন ভেক্সিনেশন কিম্বা টিকা যেহেতু আবিষ্কার হয়নি। তাই আপনি যতটা সঙ্গনিরোধ করবেন, মানুষের সান্নিধ্য এড়িয়ে চলবেন, ততটাই আমাদের জন্য মঙ্গল।’
পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রসঙ্গে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই পরিস্থিতির শুরুর দিকে যখন আমরা মাঠে নেমেছি তখন আমাদের কাছে সুরক্ষা সামগ্রী কিছুই ছিল না। তখন আমরাও বুঝতে পারিনি সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে এটা মোকাবিলা করতে হবে। তাৎক্ষণিক পুলিশ হেডকোয়াটার থেকে নির্দেশনা আসে- রেইনকোট পরেই মাঠে নেমে যাও। তখন আমরা রেইনকোটকেই পিপিই হিসেবে ব্যবহার করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করি। পরবর্তীতে আমাদের কাছে পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ডস্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লভস আসতে থাকে। এ ক্ষেত্রে আমাদের অভিভাবক পুলিশ প্রধান ড. বেনজির আহমেদ সার্বিক নির্দেশনা দিয়েছেন। পুলিশ লাইন্স থেকে শুরু করে প্রত্যেক থানা, ফাঁড়ি, ক্যাম্পে পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই পৌঁছে দিয়েছি। এরমধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে ছয় হাজার ৫৫১টি, পিপিই বিতরণ করেছি ৮৫৭টি। তবে পিপিই সবার লাগে না। ক্ষেত্র বিশেষ দায়িত্বপালন করতে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের পিপিই নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন, জিঙ্ক ট্যাবলেট ও কিছু হোমিও ওষুধ দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের কোন সদস্য করোনাভাইরাস আক্রান্ত হননি। তবে গোকুলখালি ক্যাম্পে কর্মরত আনসারের একজন সদস্য আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনি খুবই সুস্থ আছেন। তবে কোয়ারেন্টিনে রাখা ১৩ জন পুলিশ সদস্যের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাদের সবার নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।’
অসহায় ও কর্মহীন মানুষদের বাড়ি বাড়ি জেলা পুলিশের খাদ্য সহায়তা প্রদান প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, “মানুষ মানুষের জন্য, পুলিশ মানুষের বন্ধু, সেবাই পুলিশের ধর্ম’ স্লোগান নিয়ে একটা ফর্ম পূরণের সুযোগ তৈরি করি। যেখানে লেখা হয় ‘ফর্ম পূরণ করুন, খাদ্য সহায়তা নিন’। বিভিন্ন ভাবে এটি জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিই। পরবর্তীতে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ‘পি টু সি’ পদ্ধতিতে দুয়ারে দুয়ারে খাবার পৌঁছে দিয়েছি। ৫০০ প্যাকেট দিয়ে শুরু করেছিলাম, তারপর ৪০০ প্যাকেট। এ পর্যন্ত ছয় হাজার ৬৯২ প্যাকেট অসহায় ও দুস্থদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছি।’
এ ছাড়াও সঞ্চালক ও দর্শকদের সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দেয়াসহ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামজিক দূরত্ব নিশ্চিত, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা পুলিশের ভূমিকা, করোনাকালে অপরাধ প্রবণতা, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা, জেলাবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।
আজকের অতিথি: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন এবং যমুনা টিভি ও দেশ রুপান্তরের জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম ডালিম। দেখতে, শুনতে ও আপনার সুচিন্তিত পরামর্শ জানাতে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় যুক্ত হোন দৈনিক সময়ের সমীকরণ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।