ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাসে সচেতনতামূলক নির্দেশনা সবাইকে অনুসরণ করতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০
  • / ২০২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গাসহ দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুজিববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মসূচির আওতায় চুয়াডাঙ্গাসহ দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সেরের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
কর্মসূচির উদ্বোধনকালে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভাইরাসের বিষয়ে সচেতনতামূলক নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। আমরা কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ভাইরাসের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য নিয়মিতভাবে নির্দেশনা দিচ্ছে। সচেতনতামূলক এসব নির্দেশনা সবাইকে অনুসরণ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন যে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বা ভাইরাস-আক্রান্তের কোনো নমুনা দেখা গেলে, তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে হবে। এ বিষয়ে আমরা প্রতিটি জেলা-উপজেলাতেও হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি।’
এ দেশের মানুষ স্বাস্থ্য সম্পর্কে কম সচেতন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য যেখানে সেখানে থুথু না ফেলা এবং বাইরে থেকে ঘরে ফিরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেন। তিনি সংক্রামক ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করার জন্য লোকজনকে তাঁদের বাড়ি, অফিস ও কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য দেশব্যাপী গ্রাম পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গড়তে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘আমি আগেও নির্দেশনা দিয়েছিলাম এবং আবারও দিচ্ছি যে আমাদের এমনকি গ্রাম পর্যায়েও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও অন্যান্য জায়গায় বর্জ্য ফেলার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকতে হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগ এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিদায়ী মেয়র সাঈদ খোকন উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি নিয়ে একটি উপস্থাপনা দেন।
চুয়াডাঙ্গা প্রান্তে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীনসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা অভিযান চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে। সবার সহযোগিতায় আমরা মুজিববর্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে পরিচ্ছন্ন জেলা হিসেবে ঘোষণা করবো। আমাদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় সচেতন হতে হবে। নিজের বাড়িসহ সব স্থান পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে এটি খুব বেশি কঠিন কাজ নয়। আর পরিষ্কার থাকলে আমাদেরই উপকার। পরিচ্ছন্নতায় যেকোনো রোগবালাই থেকে সুরক্ষায় থাকা যায়। দেখতে ভালো লাগে শহরকে। পরিবেশও ভালো থাকে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

করোনাভাইরাসে সচেতনতামূলক নির্দেশনা সবাইকে অনুসরণ করতে হবে

আপলোড টাইম : ১১:১৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০

চুয়াডাঙ্গাসহ দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুজিববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম-পরিচ্ছন্ন শহর’ কর্মসূচির আওতায় চুয়াডাঙ্গাসহ দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সেরের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
কর্মসূচির উদ্বোধনকালে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভাইরাসের বিষয়ে সচেতনতামূলক নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। আমরা কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ভাইরাসের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য নিয়মিতভাবে নির্দেশনা দিচ্ছে। সচেতনতামূলক এসব নির্দেশনা সবাইকে অনুসরণ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন যে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বা ভাইরাস-আক্রান্তের কোনো নমুনা দেখা গেলে, তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে হবে। এ বিষয়ে আমরা প্রতিটি জেলা-উপজেলাতেও হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি।’
এ দেশের মানুষ স্বাস্থ্য সম্পর্কে কম সচেতন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য যেখানে সেখানে থুথু না ফেলা এবং বাইরে থেকে ঘরে ফিরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেন। তিনি সংক্রামক ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করার জন্য লোকজনকে তাঁদের বাড়ি, অফিস ও কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য দেশব্যাপী গ্রাম পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গড়তে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘আমি আগেও নির্দেশনা দিয়েছিলাম এবং আবারও দিচ্ছি যে আমাদের এমনকি গ্রাম পর্যায়েও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও অন্যান্য জায়গায় বর্জ্য ফেলার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকতে হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগ এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিদায়ী মেয়র সাঈদ খোকন উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি নিয়ে একটি উপস্থাপনা দেন।
চুয়াডাঙ্গা প্রান্তে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীনসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা অভিযান চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে। সবার সহযোগিতায় আমরা মুজিববর্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে পরিচ্ছন্ন জেলা হিসেবে ঘোষণা করবো। আমাদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় সচেতন হতে হবে। নিজের বাড়িসহ সব স্থান পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে এটি খুব বেশি কঠিন কাজ নয়। আর পরিষ্কার থাকলে আমাদেরই উপকার। পরিচ্ছন্নতায় যেকোনো রোগবালাই থেকে সুরক্ষায় থাকা যায়। দেখতে ভালো লাগে শহরকে। পরিবেশও ভালো থাকে।’