ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করের আওতায় গুগল-ফেসবুক-ইউটিউব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুন ২০১৮
  • / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও গুগলকে করের আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৩৫ শতাংশ উৎসে কর দিতে বলা হলেও কীভাবে তা আদায় করা হবে তা প্রস্তাবনায় উল্লেখ করেননি তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিপুল অর্থ আয় করছে। এ সত্বেও তাদের কাছ থেকে আমরা তেমন একটা কর পাচ্ছি না। ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের বিষয়টি তুলনামূলক নতুন হওয়ায় এসব লেনদেনকে করের আওতায় আনার মতো পর্যাপ্ত বিধান এতদিন আমাদের কর আইনে ছিল না। এবার তাই ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল খাত যেমন- ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ইত্যাদির বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের ওপর করারোপের জন্য আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার আলোকে প্রয়োজনীয় আইনি বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করা হলো।’
অন্যদিকে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিংয়ের (উবার, চলো, পাঠাও ইত্যাদি) ভাড়ার ওপর ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। সেবা গ্রহীতাকে এই কর গুনতে হবে। তবে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসে কর দিতে হবে। যারা এসব সেবায় তাদের গাড়ি দেবেন তাদের টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, এবারের বাজেটের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে অর্থায়নের অন্যতম উৎস কর। টাকা আসবে বেশিরভাগই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর থেকে। প্রস্তাবিত বাজেটের ৬৩ দশমিক ৭ শতাংশ অর্থ আসবে ওই কর থেকে, যা দেশের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ দেবে। এ ছাড়া বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

করের আওতায় গুগল-ফেসবুক-ইউটিউব

আপলোড টাইম : ১০:৪৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুন ২০১৮

সমীকরণ ডেস্ক: বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও গুগলকে করের আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৩৫ শতাংশ উৎসে কর দিতে বলা হলেও কীভাবে তা আদায় করা হবে তা প্রস্তাবনায় উল্লেখ করেননি তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিপুল অর্থ আয় করছে। এ সত্বেও তাদের কাছ থেকে আমরা তেমন একটা কর পাচ্ছি না। ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের বিষয়টি তুলনামূলক নতুন হওয়ায় এসব লেনদেনকে করের আওতায় আনার মতো পর্যাপ্ত বিধান এতদিন আমাদের কর আইনে ছিল না। এবার তাই ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল খাত যেমন- ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ইত্যাদির বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের ওপর করারোপের জন্য আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার আলোকে প্রয়োজনীয় আইনি বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করা হলো।’
অন্যদিকে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিংয়ের (উবার, চলো, পাঠাও ইত্যাদি) ভাড়ার ওপর ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। সেবা গ্রহীতাকে এই কর গুনতে হবে। তবে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসে কর দিতে হবে। যারা এসব সেবায় তাদের গাড়ি দেবেন তাদের টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, এবারের বাজেটের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে অর্থায়নের অন্যতম উৎস কর। টাকা আসবে বেশিরভাগই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর থেকে। প্রস্তাবিত বাজেটের ৬৩ দশমিক ৭ শতাংশ অর্থ আসবে ওই কর থেকে, যা দেশের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ দেবে। এ ছাড়া বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ।