ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কবর থেকে ১১ মাস পর লাশ উত্তোলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে

?

আলমডাঙ্গা বৈদ্যনাথপুরের আলোচিত শিশু হত্যা মামলা
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি/ হারদী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার বৈদ্যনাথপুরে ৮ মাস বয়সী শিশুকে গলাটিপে হত্যা মামলার পর ১১ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করলো পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বৈদ্যনাথপুর কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পূনরায় উত্তোলন করা হয়।পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের নাসির উদ্দীনের মেয়ে নাসরিনের সাথে মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গার গ্রামের বোরহানের ছেলে রাজার (২৫) সাথে গত ২ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। এরই মধ্যে তাদের বৈবাহিক জীবনের দুই বছরের মাথায় সিয়ামের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই যৌতুকের দাবিতে পারিবারিকভাবে নাসরিন ও রাজার সংসারের মধ্যে ফাটল ধরে। যৌতুকের টাকার জন্য নাসরিনকে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করে রাজা ও তার পরিবারের লোকজন। মাঝেমধ্যে রাজা নাসরিনকে তালাক দিবে বলে হুমকি দেয়। তাদের পারিবারিক যৌতুক আর তালাকের মধ্যে বাধাঁ সৃষ্টি করে ৮ মাসের শিশু সিয়াম। গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারী শিশু সিয়ামের মা নাসরিন ও বাবা রাজা প্রতিদিনের ন্যায় রাতের ঘুমিয়ে ছিলো। মাঝরাতে সিয়ামের মা নাসরিন বাইরে গেলে ঘরে ফিরে শিশু সিয়ামের নড়াচড়া বন্ধ দেখে চিৎকার করে। এতে পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা এগিয়ে এসে শিশু সিয়ামকে হাসপাতালে নিলে তারা শিশু সিয়ামকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এই ব্যাপারে শিশু সিয়ামে মা নাসরিন খাতুন সময়ের সমীকরণকে বলেন, গত বছরের ২৫ শে ফেব্রুয়ারী রাতে সিয়ামকে সাথে নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। রাতে বাইরের কাজ সেরে ঘরে ফিরে দেখি সিয়ামের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেছে। চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসে এবং সিয়ামে লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এরই পরেই সিয়ামের বাবা রাজা সেই রাতে পালিয়ে চলে যায়। এই নিয়ে নাসরিন খাতুন হারদী ইউনিয়ন পরিষদে মামলা করে। ইউনিয়ন পরিষদে বিচার না পাওয়ায় শিশু সিয়ামের মৃত্যুর ৯ মাস পরে নাসরিন খাতুন বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় রাজার বিরুদ্ধে শিশু সিয়াম হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার ২ মাস পরে কবর থেকে সিয়ামের লাশ উত্তোলন করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুচিত্র রঞ্জন দাস, আলমডাঙ্গার থানা উপপরিদর্শক একরাম হোসেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) একরাম হোসেন জানান, গত ২ মাস পূর্বে শিশু সিয়ামের মা নাসরিন খাতুন বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে বুধবার ১২টার দিকে সিয়ামের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট আসলে জানা যাবে, কি কারণে সিয়ামে মৃত্যু হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কবর থেকে ১১ মাস পর লাশ উত্তোলন

আপলোড টাইম : ১১:০০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৯

আলমডাঙ্গা বৈদ্যনাথপুরের আলোচিত শিশু হত্যা মামলা
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি/ হারদী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার বৈদ্যনাথপুরে ৮ মাস বয়সী শিশুকে গলাটিপে হত্যা মামলার পর ১১ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করলো পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বৈদ্যনাথপুর কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পূনরায় উত্তোলন করা হয়।পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের নাসির উদ্দীনের মেয়ে নাসরিনের সাথে মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গার গ্রামের বোরহানের ছেলে রাজার (২৫) সাথে গত ২ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। এরই মধ্যে তাদের বৈবাহিক জীবনের দুই বছরের মাথায় সিয়ামের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই যৌতুকের দাবিতে পারিবারিকভাবে নাসরিন ও রাজার সংসারের মধ্যে ফাটল ধরে। যৌতুকের টাকার জন্য নাসরিনকে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করে রাজা ও তার পরিবারের লোকজন। মাঝেমধ্যে রাজা নাসরিনকে তালাক দিবে বলে হুমকি দেয়। তাদের পারিবারিক যৌতুক আর তালাকের মধ্যে বাধাঁ সৃষ্টি করে ৮ মাসের শিশু সিয়াম। গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারী শিশু সিয়ামের মা নাসরিন ও বাবা রাজা প্রতিদিনের ন্যায় রাতের ঘুমিয়ে ছিলো। মাঝরাতে সিয়ামের মা নাসরিন বাইরে গেলে ঘরে ফিরে শিশু সিয়ামের নড়াচড়া বন্ধ দেখে চিৎকার করে। এতে পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা এগিয়ে এসে শিশু সিয়ামকে হাসপাতালে নিলে তারা শিশু সিয়ামকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এই ব্যাপারে শিশু সিয়ামে মা নাসরিন খাতুন সময়ের সমীকরণকে বলেন, গত বছরের ২৫ শে ফেব্রুয়ারী রাতে সিয়ামকে সাথে নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। রাতে বাইরের কাজ সেরে ঘরে ফিরে দেখি সিয়ামের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেছে। চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসে এবং সিয়ামে লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এরই পরেই সিয়ামের বাবা রাজা সেই রাতে পালিয়ে চলে যায়। এই নিয়ে নাসরিন খাতুন হারদী ইউনিয়ন পরিষদে মামলা করে। ইউনিয়ন পরিষদে বিচার না পাওয়ায় শিশু সিয়ামের মৃত্যুর ৯ মাস পরে নাসরিন খাতুন বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় রাজার বিরুদ্ধে শিশু সিয়াম হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার ২ মাস পরে কবর থেকে সিয়ামের লাশ উত্তোলন করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুচিত্র রঞ্জন দাস, আলমডাঙ্গার থানা উপপরিদর্শক একরাম হোসেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) একরাম হোসেন জানান, গত ২ মাস পূর্বে শিশু সিয়ামের মা নাসরিন খাতুন বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে বুধবার ১২টার দিকে সিয়ামের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট আসলে জানা যাবে, কি কারণে সিয়ামে মৃত্যু হয়েছে।