ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ওষুধ ভেবে বিষপান, যুবকের মৃত্যু!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দামুড়হুদায় ওষুধ ভেবে বিষপানের ২৬দিন পর সাব্বির হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে সদর হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত যুবক দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারেণ কয়েকমাস যাবত সাব্বির একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের নিটক থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসছিল। গত মাসের ২২ তারিখে সাব্বির টেবিলের ওপরে রাখা কৃষিক্ষেতে ব্যবহারের জন্য রাখা ঘাসমারা বিষ ওষুধ ভেবে দুই মুটকি খেয়ে ফেলে। পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাব্বিরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বিরের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরদিনই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ২৩ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত তিনদিন সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পরে সাব্বিরের অবস্থার উন্নতি হলে ছুটি নিয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার আবার সাব্বিরের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পুনঃরায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটের আইসিইউ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। পরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বিকেল চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়। করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত সাব্বিরের লাশ সদর হাসপাতালের লাশ ঘরে রাখা ছিল। এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘সদর হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বির নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের লাশ হাসপাতালের লাশ ঘরে রাখা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে চুয়াঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। পরবর্তী  প্রক্রিয়া শেষে রাতেই পুলিশ নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়ায় দাফনের অনুমতি দিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ওষুধ ভেবে বিষপান, যুবকের মৃত্যু!

আপলোড টাইম : ০৫:৪৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দামুড়হুদায় ওষুধ ভেবে বিষপানের ২৬দিন পর সাব্বির হোসেন (১৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে সদর হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত যুবক দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারেণ কয়েকমাস যাবত সাব্বির একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের নিটক থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসছিল। গত মাসের ২২ তারিখে সাব্বির টেবিলের ওপরে রাখা কৃষিক্ষেতে ব্যবহারের জন্য রাখা ঘাসমারা বিষ ওষুধ ভেবে দুই মুটকি খেয়ে ফেলে। পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাব্বিরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বিরের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরদিনই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ২৩ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত তিনদিন সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পরে সাব্বিরের অবস্থার উন্নতি হলে ছুটি নিয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার আবার সাব্বিরের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পুনঃরায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটের আইসিইউ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। পরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বিকেল চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়। করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত সাব্বিরের লাশ সদর হাসপাতালের লাশ ঘরে রাখা ছিল। এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, ‘সদর হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বির নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের লাশ হাসপাতালের লাশ ঘরে রাখা হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে চুয়াঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। পরবর্তী  প্রক্রিয়া শেষে রাতেই পুলিশ নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়ায় দাফনের অনুমতি দিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।’