ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ওমান উপসাগরে হামলায় বাড়লো তেলের দাম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯
  • / ২৪৫ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক:
ইরানের উপকূলে ওমান উপসাগরে দু’টি তেলের ট্যাঙ্কারের উপরে আক্রমণ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ওই দুই ট্যাঙ্কারে হামলার পর নাবিকদের নিরাপদে ইরানের উপকূলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এএফপি। এই দুর্ঘটনার জেরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম আকস্মিক বেড়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী ওই হামলার খবর প্রকাশ্যে আসার পরই তেলের দাম চার শতাংশ বেড়ে যায়। এক ব্যারেল তেলের দাম তিন শতাংশ বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৬১.৭৪ ডলার এ। গত সপ্তাহ কয়েকের মধ্যে ইরানের উপকূলে এই ধরনের দু’টি বড় ধরনের ঘটনা ঘটল। যার ফলে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা আরো বেড়েছে। এসব ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করে থাকে। ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮.৫০-এ হামলার সময় নরওয়ের ফ্রন্ট অলটেয়ার দক্ষিণ ইরানের বন্দর-ই জসকের থেকে ২৫ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। ওই জাহাজ ইথানল নিয়ে কাতার থেকে তাইওয়ানের দিকে যাচ্ছিল। সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘জাহাজে আগুন লাগার পর থেকে ২৩ জন নাবিক জলে ঝাঁপ দেন। পার্শ্ববর্তী একটি জাহাজ তাঁদের উদ্ধার করে ইরানের উদ্ধারকারী দলের হাতে তুলে দেয়।” ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ‘‘প্রথম দুর্ঘটনার পরে দ্বিতীয় আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে বন্দর থেকে ২৮ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে সকাল ৯.৫০-এ।” পানামার পতাকা লাগানো কোকুকা কারেজিয়াস সৌদি আরব থেকে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিল মেথানল নিয়ে। ওই জাহাজ থেকেও ২১ জন নাবিক জলে লাফ দেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ওমান উপসাগরে হামলায় বাড়লো তেলের দাম

আপলোড টাইম : ০৯:৫৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯

বিশ্ব ডেস্ক:
ইরানের উপকূলে ওমান উপসাগরে দু’টি তেলের ট্যাঙ্কারের উপরে আক্রমণ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ওই দুই ট্যাঙ্কারে হামলার পর নাবিকদের নিরাপদে ইরানের উপকূলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এএফপি। এই দুর্ঘটনার জেরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম আকস্মিক বেড়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী ওই হামলার খবর প্রকাশ্যে আসার পরই তেলের দাম চার শতাংশ বেড়ে যায়। এক ব্যারেল তেলের দাম তিন শতাংশ বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৬১.৭৪ ডলার এ। গত সপ্তাহ কয়েকের মধ্যে ইরানের উপকূলে এই ধরনের দু’টি বড় ধরনের ঘটনা ঘটল। যার ফলে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা আরো বেড়েছে। এসব ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করে থাকে। ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮.৫০-এ হামলার সময় নরওয়ের ফ্রন্ট অলটেয়ার দক্ষিণ ইরানের বন্দর-ই জসকের থেকে ২৫ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। ওই জাহাজ ইথানল নিয়ে কাতার থেকে তাইওয়ানের দিকে যাচ্ছিল। সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘জাহাজে আগুন লাগার পর থেকে ২৩ জন নাবিক জলে ঝাঁপ দেন। পার্শ্ববর্তী একটি জাহাজ তাঁদের উদ্ধার করে ইরানের উদ্ধারকারী দলের হাতে তুলে দেয়।” ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ‘‘প্রথম দুর্ঘটনার পরে দ্বিতীয় আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে বন্দর থেকে ২৮ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে সকাল ৯.৫০-এ।” পানামার পতাকা লাগানো কোকুকা কারেজিয়াস সৌদি আরব থেকে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিল মেথানল নিয়ে। ওই জাহাজ থেকেও ২১ জন নাবিক জলে লাফ দেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।