ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি : যেকোনো মূল্যে প্রশ্ন ফাঁস রোধ করুন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সামনে রেখে সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ে এক সভায় শিক্ষামন্ত্রী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। সরকারের নেওয়া এসব সিদ্ধান্তের একটি হচ্ছে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ করতে হবে। অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে আছে, গত শুক্রবার থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ, সব শিক্ষা বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলে পরীক্ষা বাতিল, শুধুু কেন্দ্রসচিব একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন ইত্যাদি। প্রশ্ন ফাঁস রোধ করতেই এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কোথাও প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলে পরীক্ষা বাতিল করা হবে। এমনকি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও যদি প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়, সে পরীক্ষাও বাতিল হবে। অর্থাৎ প্রশ্ন ফাঁস রোধ করতে সরকার এবার বদ্ধপরিকর। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসন গ্রহণের বিষয়টি। যানজটের শহরগুলোতে এই সিদ্ধান্ত কতটা বাস্তবমুখী এ প্রশ্নই সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে অভিভাবক মহলে। এছাড়া অভিযোগ আছে, অনেক কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রশ্নের প্যাকেট খোলা হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নের প্যাকেট খোলার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলে এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রশ্নের প্যাকেট খোলা না হলেই তো প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা রোধ করা সম্ভব। পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশের বাধ্যবাধকতা কেন? মূলকথা হচ্ছে প্রশ্ন ফাঁস রোধ। এর জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধার দিকটিও বিবেচনা করতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি : যেকোনো মূল্যে প্রশ্ন ফাঁস রোধ করুন

আপলোড টাইম : ১১:১৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০১৮

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সামনে রেখে সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ে এক সভায় শিক্ষামন্ত্রী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। সরকারের নেওয়া এসব সিদ্ধান্তের একটি হচ্ছে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ করতে হবে। অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে আছে, গত শুক্রবার থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ, সব শিক্ষা বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলে পরীক্ষা বাতিল, শুধুু কেন্দ্রসচিব একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন ইত্যাদি। প্রশ্ন ফাঁস রোধ করতেই এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কোথাও প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলে পরীক্ষা বাতিল করা হবে। এমনকি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও যদি প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়, সে পরীক্ষাও বাতিল হবে। অর্থাৎ প্রশ্ন ফাঁস রোধ করতে সরকার এবার বদ্ধপরিকর। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসন গ্রহণের বিষয়টি। যানজটের শহরগুলোতে এই সিদ্ধান্ত কতটা বাস্তবমুখী এ প্রশ্নই সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে অভিভাবক মহলে। এছাড়া অভিযোগ আছে, অনেক কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রশ্নের প্যাকেট খোলা হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নের প্যাকেট খোলার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলে এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রশ্নের প্যাকেট খোলা না হলেই তো প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা রোধ করা সম্ভব। পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশের বাধ্যবাধকতা কেন? মূলকথা হচ্ছে প্রশ্ন ফাঁস রোধ। এর জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধার দিকটিও বিবেচনা করতে হবে।