ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এলিয়েনরা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কী ঘটবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২৯:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৩৭৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: রেডিও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে মহাকাশে ভেসে বেড়ানো শব্দ ধারণ করে বিশ্লেষণ করে আসছেন। তাদের ধারণা, এই শব্দের মধ্যেই মিলে যাবে কাঙ্খিত সেই শব্দ ‘এলিয়েনদের পাঠানো বার্তা’। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, মহাশূন্যের কোনো না কোনো গ্রহে হয়তো বসবাস করে এলিয়েনরা। সমস্ত পৃথিবীর চারপাশে স্থাপন করা বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে বিচিত্র যত শব্দ ধারণ করে তারা বিশ্লেষণ করে থাকেন রেডিও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এখন পর্যন্ত এমন কোনো শব্দ উদঘাটিত হয়নি যেটি এলিয়েনদের পাঠানো হতে পারে। তবে সত্যি সত্যি যদি এলিয়েনরা এমন কোন শব্দ পাঠিয়ে থাকে আর সেই ভাষা যদি তারা বুঝতে পারেন তাহলে তার জবাব কী হবে তা নিয়েই চিন্তা-ভাবনা করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সেই ভাষার জবাব দেওয়া হবে কীনা, দিলেও কীভাবে দেওয়া হবে সেসব কর্মপরিকল্পনা এখনই ঠিক করতে চান তারা। মহাশূন্যে ভেসে বেড়ানো এই ধরনের শব্দ নিয়ে কাজ করে থাকে সার্চ ফল এক্সট্রাটেরিস্ট্রিয়াল ইনটেলিজেন্স (সেতি)। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে সেতি’তে কাজ করছেন রেডিও জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেরি ইহমান। বিচিত্র অনেক শব্দের মধ্যে তার কাছে ধরা পড়া সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়েছে ‘ওয়াউ’ সিগন্যালটি। যুক্তরাজ্যের লিডস বাকেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. জন ইলিয়ট বলেন, মহাশূন্যে বিচিত্র সব শব্দ শুনতে পাওয়াটা সাধারণ একটা ঘটনা। তবে এই সব শব্দের বেশির ভাগের উত্সই মানব সৃষ্ট কারণ। তাই সত্যিকার অর্থে সেটি অন্য গ্রহের কোনো প্রাণির পাঠানো কোনো সিগন্যাল কিংবা বার্তা কিনা তা যাচাই করাটা খুবই কঠিন কাজ। এর জন্য প্রাপ্ত শব্দগুলোকে বিশ্লেষণে নিয়োজিত থাকে আরো কিছু দল। বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই ভাবেন ইলিয়ট। তার ভাবনা, সত্যি সত্যি এলিয়েনদের পাঠানো কোনো বার্তা আসলে তার জবাব কী হবে, আদৌ জবাব দেওয়া হবে কীনা, এইসব। তবে তিনি মনে করেন, সেই জবাব দিতে গেলে অবশ্যই তার জন্য আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখতে হবে পৃথিবীর মানুষকে। কারণ এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তার পরিণতি কিংবা ফলাফল পৃথিবীবাসীর জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয়।-বিবিসি

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

এলিয়েনরা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কী ঘটবে

আপলোড টাইম : ১১:২৯:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০১৮

প্রযুক্তি ডেস্ক: রেডিও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে মহাকাশে ভেসে বেড়ানো শব্দ ধারণ করে বিশ্লেষণ করে আসছেন। তাদের ধারণা, এই শব্দের মধ্যেই মিলে যাবে কাঙ্খিত সেই শব্দ ‘এলিয়েনদের পাঠানো বার্তা’। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, মহাশূন্যের কোনো না কোনো গ্রহে হয়তো বসবাস করে এলিয়েনরা। সমস্ত পৃথিবীর চারপাশে স্থাপন করা বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে বিচিত্র যত শব্দ ধারণ করে তারা বিশ্লেষণ করে থাকেন রেডিও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এখন পর্যন্ত এমন কোনো শব্দ উদঘাটিত হয়নি যেটি এলিয়েনদের পাঠানো হতে পারে। তবে সত্যি সত্যি যদি এলিয়েনরা এমন কোন শব্দ পাঠিয়ে থাকে আর সেই ভাষা যদি তারা বুঝতে পারেন তাহলে তার জবাব কী হবে তা নিয়েই চিন্তা-ভাবনা করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সেই ভাষার জবাব দেওয়া হবে কীনা, দিলেও কীভাবে দেওয়া হবে সেসব কর্মপরিকল্পনা এখনই ঠিক করতে চান তারা। মহাশূন্যে ভেসে বেড়ানো এই ধরনের শব্দ নিয়ে কাজ করে থাকে সার্চ ফল এক্সট্রাটেরিস্ট্রিয়াল ইনটেলিজেন্স (সেতি)। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে সেতি’তে কাজ করছেন রেডিও জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেরি ইহমান। বিচিত্র অনেক শব্দের মধ্যে তার কাছে ধরা পড়া সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়েছে ‘ওয়াউ’ সিগন্যালটি। যুক্তরাজ্যের লিডস বাকেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. জন ইলিয়ট বলেন, মহাশূন্যে বিচিত্র সব শব্দ শুনতে পাওয়াটা সাধারণ একটা ঘটনা। তবে এই সব শব্দের বেশির ভাগের উত্সই মানব সৃষ্ট কারণ। তাই সত্যিকার অর্থে সেটি অন্য গ্রহের কোনো প্রাণির পাঠানো কোনো সিগন্যাল কিংবা বার্তা কিনা তা যাচাই করাটা খুবই কঠিন কাজ। এর জন্য প্রাপ্ত শব্দগুলোকে বিশ্লেষণে নিয়োজিত থাকে আরো কিছু দল। বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই ভাবেন ইলিয়ট। তার ভাবনা, সত্যি সত্যি এলিয়েনদের পাঠানো কোনো বার্তা আসলে তার জবাব কী হবে, আদৌ জবাব দেওয়া হবে কীনা, এইসব। তবে তিনি মনে করেন, সেই জবাব দিতে গেলে অবশ্যই তার জন্য আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখতে হবে পৃথিবীর মানুষকে। কারণ এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তার পরিণতি কিংবা ফলাফল পৃথিবীবাসীর জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয়।-বিবিসি